এক বছর আগে রাফায়েল নাদালের সময়টা খুব বাজে কেটেছিল। ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সাত মাস তাঁকে থাকতে হয়েছে টেনিসের বাইরে। মাঠের বাইরে থাকায় র্যাঙ্কিংয়েও হয়েছিল অবনতি। এক নম্বর থেকে তাঁকে নেমে যেতে হয়েছিল পাঁচে। গত আট বছরের মধ্যে ওটা ছিল তাঁর সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবর্তনটা তাঁর লাতিন অঞ্চলের এক ক্লে কোর্ট প্রতিযোগিতায়। ফেরার মাত্র এক বছরের মধ্যেই যে তিনি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠে আসতে পারবেন—এটা কেউ ভাবতেও পারেনি। নাদাল নিজেও তা ভাবেননি। হাঁটুতে ব্যান্ডেজ বেঁধে খুঁড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন খেলা। এবারের উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর অনেকেই তাঁর ভবিষ্যত্ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু হঠাত্ করেই যেন নতুন সম্ভাবনা দেখছেন নাদাল। আচমকাই তাঁর সামনে চলে এসেছে ফের এক নম্বর হওয়ার সম্ভাবনা। বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টারে ফ্রান্সের রিচার্ড গ্যাসকুয়েটকে হারিয়ে তিনি উঠে গেছেন ফাইনালে। ফাইনালে ওঠাটা ঘটনা না হলেও তিনি যে ঢঙে গ্যাসকুয়েটকে হারিয়েছেন, তাতে আপাত শীর্ষ বাছাই জোকোভিচ একটু ভয়ই পাচ্ছেন।
জোকোভিচের ফাইনালের ওঠাটা সহজ ছিল না।
সেমিতে আর্থার অ্যাশের কোর্টে চরম উত্তেজনায় ঠাসা, মহাকাব্যিক এক ম্যাচে চার ঘণ্টা লড়ে তিনি হারিয়েছেন স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কাকে। মাত্র এক দিন বিশ্রাম শেষেই শিরোপার লড়াইয়ে নেমে যেতে হচ্ছে বলে ফাইনাল নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত জোকোভিচ। এই মুহূর্তে নাদালের বাধাটা তাই তাঁর কাছে মনে হচ্ছে পাহাড়সম, ‘ফাইনালে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জার রাফা। ওর চেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ খুব বেশি নেই। ’
শনিবারের দীর্ঘ ম্যাচের ক্লান্তিটাই বিরাট সমস্যা মানছেন জোকোভিচ।
নাদালের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোর্টে নেমে এই ক্লান্তি না আবার কাল হয়ে দাঁড়ায়। তবে হার্ড কোর্টে দুবার নাদালের বিপক্ষে লড়াই-ই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে জোকোভিচকে, ‘নাদাল শক্ত প্রতিপক্ষ সন্দেহ নেই। সে এই মৌসুমে হার্ড কোর্টে দুর্দান্ত খেলছে। তবে আমি জানি, হার্ড কোর্ট ওর প্রিয় সারফেস নয়। ওর বিপক্ষে হার্ড কোর্টে দুবার খেলার ব্যাপারটিই আমাকে অনুপ্রাণিত করছে।
’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।