১৬ মাসের সংস্কার কার্যক্রমের ভিত্তিতে কাংখিত রাজনৈতিক উত্তরনের চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত
ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
কালো টাকা ও পেশী শক্তি দমন,আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দূর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনা, আইন শৃ্খংলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর ও গতিশীল করে তুলতে সরকার আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
একটি নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে বহুলাংশে সাফল্য অর্জন করেছে সরকার।
আগামী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের যে কোন দিন সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্বাচন কমিশন যথানিয়মে নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক ঘোষনা দেবে।
ডিসেম্বরের পর নতুন বছরের সূর্য্য একটি নির্বাচিত ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকারকে স্বাগত জানাবে।
আমরা এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত। আমাদের লক্ষ্য রোডম্যাপ অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে টেকসই গনতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা । এ লক্ষ্য অর্জণ তত্তাবধায়ক সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় । এজন্য প্রয়োজন একটি অভিন্ন জাতীয় ঐকমত্য।
আগামী ২২শে মে থেকে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপে বসব । সংলাপের আমন্ত্রন জানিয়ে আগামীকাল থেকে আমার দফতর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি যাবে ।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ সংলাপে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের ওপর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে ।
সংলাপে সরকার রাজনৈতিক দল সকল শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে প্রণীত ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরী হওয়া একান্ত প্রয়োজন । এই জাতীয় সনদের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হবে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনী
অবকাঠামো।
সুিচত হবে একটি সুস্থ্য ও স্থিতিশীল গনতান্ত্রিক ধারা ।
নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রস্তাবিত সংশোধিত নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান শিগগিরই জারি করার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে ।
স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ কোন অবস্থাতেই জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের পথে বিঘœ ঘটাবে না । জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপরে আমরা থাকব আপোষহীন।
আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর স্বপ্রনোদিত আভ্যন্তরীন সংস্কারের সফল বাস্তবায়ন আশা করি ।
নির্বাচন পরবর্তী সংসদ কার্যকর করার ঐকমত্য নির্বাচনের আগেই প্রতিষ্ঠা করা জরুরী ।
কেউ নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে না, সংসদ বয়কট করবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে ।
আজকের রুঢ় বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ অংগ সংগঠন লেজুড় রাজনীতির অপসংস্কৃতিতে নিমজ্জিত । রাজনীতিকে এ অপসংস্কৃতি থেকে উদ্ধার করা জরুরী হয়ে পড়েছে ।
প্রতিটি দিন প্রতিটি কর্মঘন্টা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ।
তাই সকল প্রকার নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহারের ঐকমত্যে পৌছাতে হবে ।
চির অবসান ঘটাতে হবে হরতাল অবরোধ ও সহিংস বিক্ষোভের। জাতি ভবিষ্যতে কোন প্রকার নৈরাজ্যমূলক রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখতে চায় না ।
দলীয় করনের অসুস্থ্য সংস্কৃতি জাতির জন্য শুভ নয় । যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রশাসন পরিচালনা একটি স্বার্থক সাশন ব্যবস্থার অপরিহার্য দিক।
দুর্নীতি জাতীয় অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের প্রধান শত্র“। এই দুষ্ট চক্র থেকে যে কোন মুল্যে বেরিয়ে আসতে হবে ।
আমি সকল রাজনৈতিক দল পেশাজীবি সংগঠন এবং আপমর জনসাধারনের কাছে আহবান জানাচ্ছি, আসুন আমরা পরবর্তী সরকারগুলোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এমন একটি অবকাঠামো বা রূপরেখো তৈরী করি যেখানে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতীশীলতা সর্বদা অটুট থাকবে ।
সরকারের কোর পূর্ব নির্ধারিত এজেন্ডা নেই, কারো বিরুদ্ধে বৈরী ভাবও নেই, রয়েছে সমঝোতা উম্মুখ মুক্ত মন। আগামী কাল থেকেই সারাদেশ থেকে ঘরোয়া রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষনা দিচ্ছি ।
নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্ঠির জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী যথা সময়ে জরুরী আইন ও বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো স্থগিত বা শিথিল করা হবে ।
জাতি আমাদের সকলের কাছে আশা করছে একটি সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উত্তরন । এ পথে এগুতে হলে আমাদেরকে সংকীর্নতা প্রতিহিংসা ও অবিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠতে হবে ।
আামরা অতীতের দলীয় রাজনীতির সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে আর ফিরে যেতে চাই না । আমরা দেশের সরকার ও রাজনৈতিক কাঠামোয় গুনগত ও অর্থবহ পরিবর্তন চাই ।
নির্বাচনে সৎ যোগ্য জনকল্যানে নিবেদিত দেশপ্রেমিক মেধাবী ও দক্ষ প্রার্থীরা জয়যুক্ত হয়ে যাতে জাতীয় সংসদে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে ।
এ বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।
আগামী ২২শে মে থেকে আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করব ।
আগামীকাল থেকে দেশব্যাপী ঘরোয়া রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে ।
নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও নির্বাচনী প্রচারনা সহজতর করার জন্য আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী যথা সময়ে জরুরী আইন ও বিধি- বিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা স্থগিত বা শিথিল করবো।
নির্বাচনের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি “জাতীয় সনদ” প্রনয়নের প্রয়াস নেয়া হবে, যাতে করে নির্বাচনের পরে সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গুনগত উত্তরণ ঘটে
বর্তমান তত্তাবধায়ক সরকার এ বছরের শেষে আর থাকবে না। কিন্তু রয়ে যাবে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।