সকল প্রশংসা মডারেটরদের
ড়াশু "পাত্রী চাই" বিগ্গাপনটি দুইবার অতীব মনযোগ সহকারে পাঠ করলো।
পাঠান্তে ড়াশুর মনে কিন্চিৎ মিচকা হাসি দেখা দিলো। বারান্দায় এসে,চেয়ারে বসে হুইস্কি পান করতে করতে সে নানা প্রকার বুদ্ধি আটতে লাগলো।
ভাবলো,এতো বড় মজার বিগ্গাপন। সে যদি ইতিমধ্যে ৪ বার বিবাহ না করতো তাহলে- বালিকা বাগিয়ে নেবার বেশ একটা সুযোগ ছিলো।
ষোল বছর বয়সী বালিকা- না জানি দেখতে কি রকম!এতদিন পর্যন্ত ড়াশু শুধু বালিকাদের মায়েদের সাথেই প্রেম করে এসেছে, কিন্তু ১৬-১৭ বয়সী স্কুল,কলেজগামী বালিকাদের পিছন পিছন ঘুরিয়াও তাদের কাছে পাত্তা পায়নি তাই এরুপ বালিকাদের প্রতি তার অনন্ত কৌতুহল সন্চিত ছিলো।
হুইস্কি পান শেষ হলে গ্লাস নামিয়ে রেখে ড়াশু ভাবলো,"একটা কাজ করা যায়। পাত্রের অভিভাবক কে পত্র লিখে,গিয়ে দেখা করি। কিছুদিন মজা লুটে তারপরপ মানে মানে সটাকাইলেই হবে"।
হুইস্কির নেশায় এরুপ মজার মাৎলব ভাজতে ভাজতে ড়াশুর অত্যন্ত হাসি আসতে লাগলো।
সে যে আগে ৪ খান বিবাহ করেছে, তা পাত্রীর অভিভাবকরা জানবে কেমন করে?। বালিকা কে বিবাহ করে কিছুদিন কাটিয়ে তারপর চম্পট। ড়াশু হা হা করে হাসতে লাগলো
ভাবলো আর দেরি না করে চিঠিটা এখুনি লিখে ফেলতে হবে। ড়াশু তার ঘরে ঢুকে খাতা কলম নিয়ে চিঠি লিখতে শুরু করলো। লিখতে লিখতে তার মনে হলো যদি পাত্রীর অভিভাবকরা শুনে যে সে বি.এ পরীক্ষায় তিন তিন বার ফেল করে, ফেলের হ্যাট্রিক করেছে তাহলে পাত্রী নাও দিতে পারে,এই ভেবে ড়াশু লিখলো শারিরীক অসুস্থতার কারনে বি.এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নাই।
নিজের সচ্চরিত্রের কথা লিখতে গিয়ে ড়াশুর মুখে শয়তানি হাসি দেখা দিলো। কলম রেখে সে কিছুক্ষন দাত কেলাইয়া হাসিয়া নিল.পরে লিখলো,সে অত্যন্ত উচ্চবংশীয় ঘরের অতীব ভদ্র সন্তান,বিয়ের পর বিলাত যেতে তার বিন্দুমাত্র আপত্তি নাই। পাত্রীর যদি কোন ছবি থাকে তাহলে যেন তার নিকট পাঠান হয়
সেদিন রাতে ড়াশুর ভালো করে ঘুম হলো না। ভবিষ্যত সমন্ধে যতই চিন্তা করে,ততই তার হাসি সম্বরন করা কঠিন হয়ে উঠে। সারারাত বিছানায় শুয়ে সে বালিকার কথা চিন্তা করে বিটলা মার্কা হাসি হাসতে লাগলো আর নিজের চিপা বুদ্ধির কথা ভেবে নিজেই নিজের পিঠ থাবড়াতে লাগলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।