পাগলা ছেলের... আউলা ব্লগ... যা বুঝি তাই লিখি... মাথা কম ঘামাই
আমি অনেক কেই দেখেছি ভালোবাসার জন্য নানাধরণের পাগলামি করতে।
যাই হোক আজকে আপনাদের সাথে তার মাঝ থেকে কয়েকটা ঘটনা শেয়ার করব।
১ম ঘটনাঃ
আমাদের ক্লাসের ছেলে হাসান... কয়েকদিন আগে ওর মেয়েবন্ধু ( যে ওর জীবনের সবচাইতে ভালো বন্ধু) ওকে ফোন করে বললো যে মেয়ের প্রেমিক তাকে ছেড়ে দিয়েছে তাই সে সব বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখবে এই কথা শুনে হাসান ওকে অনেক চেষ্টা করল বোঝাতে।
কিন্তু কে শুনে কার কথা? মেয়ে ফোন রেখে দিলো এরপরে হাসান অনেক বার ওর মোবাইলে ট্রাই করল কেউ রিসিভ করে না ফোন... কি করা যায়? তাই হাসান বাধ্য হয়ে করল এক পাগলামী ভোঁতা একটা ছুড়ি নিয়ে নিজের হাত কাটলো শুধু এক জায়গায় না বা-হাতের বেশ কয়েকটা জায়গায় বড় বড় করে ছুড়ির কাটা ক্ষত নিয়ে পরের দিন সে কলেজে আসলো আমরা দেখে তো পুরা টাশকি!
আমি ওর কাছ থেকে এই কাহিনী করার কারণ জানতে চাইলাম সে আমাকে সত্যিকার অর্থে কোন কারণ দেখাতে পারলো না... আসলেই কারণ ছাড়া এইটা কেন করল হাসান?
২য় ঘটনাঃ
অনি সাদিয়াকে অনেক অনেক ভালোবাসতো। তাদের মাঝে দারূন একটা বন্ধুত্ব ছিলো।
অনি সাদিয়ার প্রেমে পড়ে যায় একসময় কিন্তু সাদিয়া যখন ১৫ বছর তখন সে ব্যাপারটা সহজভাবে নেয় না। সে অনি কে বলে আমি এখনি এইসব নিয়ে ভাবছিনা কারণ আমার অনেক কিছু করতে হবে আর প্রেম-ট্রেম আমার কাছে মোটেই ভালো লাগে না। পরে সাদিয়ার ব্যাপারটা অনি মেনে নেয় কারণ সে জানে সাদিয়া তাকে প্রচন্ড ভালোবাসে মুখে না বললেও সে বুঝতে পারে এটা। এইভাবে তাদের সম্পর্ক গড়াতে থাকে ঝগড়া। হাসি, কান্না সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ আনন্দে তারা একসাথে নিজেদের সঙ্গ উপভোগ করে নেয়।
তবে একটা কথা অনি কখনই পছন্দ করত না সাদিয়া অন্য কারও সাথে এমন একটা বন্ধুত্ব গড়ে তুলুক। তবে সাদিয়া প্রায়ই অনিকে অনেক বিষয়ে কনফিউসড করে ফেলত তখন অনি ভাবত সাদিয়া বুঝি অন্য কাউকে ভালোবাসে বা সে অন্য কারো প্রেমে পড়েছে। সাদিয়া আসলে পুরোপুরি সৎ ছিলো এবং সে প্রস্তুত ছিলো যখন সময় আসবে অনি কে সে বিয়ে করবে।
ঐ দিকে সময়ের তালে সাদিয়া একসময় অনির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কেন জানি? অনি ভাবতে থাকে এই বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল সুযোগ। তাই সে নিজের উপর দোষারোপ করতে থাকে কি করলাম কেন করলাম?
পরে না আসলে সাদিয়াকে সে আবার ফিরে পায়... তবে কোন কারণে একবার অনি বুঝতে পারে সাদিয়া তার পাশাপাশি সাইদ নামক কাউকে সঙ্গ দেয়... এই বিষয়ে তাই সিওর না হয়ে সে কয়েকটা ঘটনা জোড়াতালি দিয়ে মিলিয়ে নিজের উপর ডেকে আনে ভয়ানক বিপদ... তার এই বিপদের কথা বলা হয়তোবা ঠিক হবে না... তবে তার জীবন আজ ধ্বংসের পথে ওদিকে সাদিয়া ভাবছে সবই ঠিক আছে সে তার মতই চলছে... অনিও সাদিয়াকে সাহস করে কিছু বলে নীরবে শুধু সে নিজের পায়ে কুড়াল মেরে যায়
এইসব পাগলামির শেষ কোথায়? কেন এইরকম হয়? মেয়েরা আরেকটু কেয়ারফুল হলেই কিন্তু এইরকম ঘটনা ঘটে না... খেয়ালিপনার খেসারত গুনতে হয় ছেলেদের... আপনাদের কারও এই বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করুন ... আর এই দুইটা কেস স্টাডি বিষয়ক কারো কোন ভাবনা থাকলে বলে ফালুন ঝটপট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।