মাটি খোর
বুইদ্দা হালায় বুড়া অইলে কি অইব! তোহমডা অন্তক যায় নাই। কি দৌড়ানীডা দিল। মাগির পুতে দুফরেও গাই দোয়ায়! দোয়াইন্না গাইয়ের (হেও ডেহার লগে উড়াউড়ি কইরা) একটা বানে (খোদার কছম) দুইডা চুমুক দিছি, কি দেই নাই। গলাডা খালি কদ্দুর ভিজছে। কেইমতে বুড়ায় দেখল! অল্ফের লাইগ্যা ফাজুনের জলি ফিঠে বিন্দে নাই।
লড় পাইড়া না পাইরা ফাছুন ফেইক্যা মারছে হালায়। বেক্কল মাগির পুত! গাইয়ের বানে দুধরাজের দাঁতের কামড়। রাইতে তর বাপে দুধ খাইয়া যায়। হেরে দেহছ না! আমি খালি কদ্দুর গলাডা ভিজামু, হেইডা গায়ে লাগে!
ঘাষ নাই হালায় তাও ঘাটায় গাই বান্দে! খেড়ের পাড়ায় বইয়া হুক্কা টানে আর সব পহাড়া দেয়। গাইয়ের খাদার তলায় ফেনের লগে দুই একটা ভাতও থাহে।
ফাকে হের চোক্ষের আড়ালে হেইডা খাওয়নের সুযোগও নাই। বুড়ি আগে ভাতের ফেন দিত। কিন্তুক অহন গাইয়ের ঘাষ নাই, ফেন গাইয়েরে খাওয়ায়।
মাঝি বাড়ীর মিষ্টি আলুর ক্ষেতে ফলনের কোন লক্ষন নেই বলে, রক্ষার চেষ্টাও কেউ করছে না। সেখানে মাটি খুড়তে খুড়তে ঘেচু সাইজের দু'একটা মিষ্টি আলুর সন্ধান করছে চেরাইগ্যা।
ভাপা পিঠার মত ঝুড়ঝুড়ে মাটি। খালে পানি থাকলে সেচ দেয়ার চেষ্টা করা যেত। বৈশাখের আগে বৃষ্টির আশা সবাই ছেড়ে দিয়েছে। জৈনপুরী পীরের মেঘের নামাজ, পাড়ার ছেলেমেয়েদের মেঘ খেইল কোন কাজেই লাগেনি। বেহুদা বোনা বীজ গুলো নষ্ট হল।
অঙ্কুর শুকিয়ে খড়ের কুটোর মত ধুষর মলিন।
না ভাগ্য মন্দ। চেরাইগ্যার আগেও অনেকে মাটি খুড়ে মিষ্টি আলুর সন্ধান করেছে। সেই সকালে মায়ের রেখে যাওয়া কাঁচা গোল আলু এতক্ষন পেটে থাকে! আবার রাতে কাজ করে ফেরার সময় হয়তো কাপড়ের ভাজে কিছু লুকিয়ে নিয়ে আসবে। সে আশায় এখন পেটের জ্বালা মিটছে না!
তামাসা দেখার মত অদ্ভূত কলে মাটি খোরা দেখছে চেরাইগ্যা।
কোরিয়ান কম্পানী গ্যাস লাইন করছে। এই লাইনে গ্যাস শহরে যাবে, তবেই সাবেগো চুলা জ্বলবে! সুযোগ বুঝে এক ফাকে তাবুর পেছন টা দেখে এল। তাতে মনটা আরো বিগড়ে গেল!
খানকী-মাগীর পুতেরা কুত্তা খায়! কুত্তার মত হাড্ডিও চাইট্যা খাইছে। একটা হাড্ডিত ও কদ্দুর মশলার গন্ধ নাই। গোশ তো দূরের কথা!
গর্তের তলার মাটি গুলো আঠাল।
সদ্য চুলা থেকে নামানো ভাপা পিঠার মত! একটু গরমও। ঐ তো ভাপ উঠছে!
বিনি পয়সায় বিলানো বাতাসার মত! খোদাইয়া তাগারীতে ডানে বামে ফেলে দিচ্ছে! চেরাইগ্যার আর তর সয়না।
যেই হালায় মোন্দরে হেই হালায় বইয়া থাহুক। আমি এমন সুযোগ আর পামুনা।
মুঠো ভর্তি মাটি হাতে নিয়ে, দলা পাঁকিয়ে মুখের ভেতর চালান করে দেয় চেরাইগ্যা।
কেমন মজা করে চিটা গুড়ের মত চিবিয়ে গিলে ফেললো। আবার আর একটা দলা পাঁকাতে মাটি হাতে নিয়েছে!
বাঙ্গালী কন্টেকটার তা দেখে চেঁচিয়ে উঠল; মাটি খোর!
চেরাইগ্যা আবার পালানোর পথ দেখে, আর ভাবে;
মাগির পুতেরা আমারে মাডি ও খাইতে দিবি না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।