আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই হরতালের আগের দিন রাতে প্রতিদিনের ন্যায় কাওরান বাজার (অফিস ) থেকে বেড়িয়েছি । ঘড়িতে সময় পৌঁনে দশটা গন্তব্য উত্তরা। জামায়াতের ডাকা হরতালে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি পুরেছে নগর জুড়ে। যা ভেবে ছিলাম তাই রাস্তায় একদম যানবাহন নেই। অনেকক্ষণ পর মিরপুরের দুই একটা গাড়ি আসছে কিন্তু সেগুলো যাত্রী বোঝাই ।
তারপরও কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসে উঠছে। দশ মিনিট যায় বিশ মিনিট যায়, আমার রাতে বাসা ফেরার সঙ্গি তিন নাম্বার গাড়ি আর আসে না।
মধ্যরাতেও ঘরমুখো মানুষের বেশ জটলা কাওরান বাজার মোড়ে। অগ্যতা আমি বেশ চিন্তিত হয়ে পরলাম। একটু পর লক্ষ করলাম আমারমতো বয়সের এক যুবক এসে বললো ভাই কি উত্তরা যাবেন ? মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম জ্বি ভাই।
ভদ্র যুবকটি বললো গাড়িতো মনে হয় আর আসবে না। চলেন সিএনজিতে যাই।
এরপর লেগে পরলাম সিএনজি খুঁজতে। ফাঁকা সিএনজি পাওয়া মুশকিল যে কয়েকটা পেলাম ভাড়া চায় ৫০০টাকা। একেবারে ডাবল।
তারপর ভদ্রলোককে বললাম দুইজন গিয়ে পোষাতে পারবো না। আরেকজন খোজেঁন। বলতে না বলতেই দুইজন উত্তরা গামি ভাই-ব্রাদার পেয়ে গেলাম। কিন্তু ভাড়া আর মেলে না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আগে সিএনজিতে উঠি তারপর দেখা যাক।
৫০০টাকা ভাড়া ঠিক করে উঠলাম সিএনজিতে।
আমরা সিএনজিতে উঠলাম চারজন। পেছনে তিন জন আর সামনে একজন ড্রাইভারের সাথে। সিএনজিতে ওঠার আগে ঠিক হলো আমরা সিএনজিটা থামাবো ঠিক হাউস বিল্ডিং পুলিশ বক্সের সামনে। আর মিটারে যা আসবে তারচেয়ে ইনসাফ মতো কিছু বেশি দিব।
সিএনজি ফাঁকা রাস্তায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। গাড়ি থামালাম একদম পুলিশ বক্সের সামনে। চারজন যুবককে দেখে এগিয়ে আসলেন দুইটা পুলিশ। আমি সিএনজির মিটারে দেখলাম বিল উঠেছে ১৫৫ টাকা। পুলিশগুলো তখনো পাশে দাঁড়ানো।
এরপর পকেট থেকে তিনশত টাকা বের করে দিয়ে পুলিশদের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।
সিএনজি চালক বজ্জাত বেটা আর কি করবে কিছু না বলেই চলে গেল। এরপর আমরা কয়েকজন বেশ হাসলাম। যেমন চালক তেমন তার শাস্তি। কোন উপলক্ষ্য পেলেই সিএনজি চালকদের দৃর্বৃত্ততা বেড়ে যায়।
যেন আমরা তাদের কাছে অসহায়। এদের এখনই প্রতিহত করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।