আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভগবান বুদ্ধের ব্যাপক মনুষ্যত্ব ও বস্তুবাদী দর্শন হইতে যৎকিঞ্চিৎ...

কশ্চিৎকান্তা বিরহগুরুণা শাপেনাস্তংগমিতমহিমা...

শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি, দু:খ-নিবারণ, বিবেকদংশন-জনিত পাপভয় তথা পুণ্যাকাঙ্ক্ষা, দার্শনিক জ্ঞানপিপাসা ... ইত্যাদি সমস্ত মূল উদ্দেশ্যে মনুষ্যজাতি ঈশ্বরচিন্তা করিয়া থাকে ... বুদ্ধ বলিতেছেন সেই সমস্ত উদ্দেশ্য সাধিত হইতে পারে কেবল মানুষের চিত্তশুদ্ধি ও সার্বিক চারিত্রিক উন্নতি হইলে । কেবলমাত্র উন্নত-চারিত্রিক মননশীলতা অবলম্বন করিয়া এই সমস্ত ইহজাগতিক উদ্দেশ্যসাধন সম্ভব। অষ্টাঙ্গিক মার্গ যথা সৎচিন্তা, সত্বাক্য, সত্জ্ঞান, সদাচরণ, সত্কার্য, সত্জীবন, সত্চেষ্টা তথা সত্প্রতিজ্ঞা অনুসরণ করিয়া যদি নিষ্ঠা ও দৃঢ়সংকল্প লইয়া অভ্যাস করা হয় তবে অতি অবশ্য আপনা হইতেই মনুষ্যচিত্ত শুদ্ধতর হইবে। অজ্ঞেয়-অচিন্ত্যনীয় কোন প্রমাণসাপেক্ষ ঐশ্বরিক অস্তিত্বের নিকটে নি:শর্ত-আত্মসমর্পণের চিন্তা না করিয়া, অথবা, কোন ঐশী শক্তিকে সন্তুষ্ট করিবার নিমিত্ত প্রার্থনা-উপাসনা না করিয়া মানুষের জীবন পরিচালিত হইবে কেবল সদাচরণ-সদাভ্যাস জনিত উন্নত-চারিত্রিক মানসে অবস্থিত সুচিন্তিত বিবেকবোধ-বুদ্ধির দ্বারা ... ইহাই বুদ্ধের শিক্ষা। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ভাষা, সংস্কৃতি, জীবিকা, শ্রেণী, ইত্যাদি নির্বিশেষে মনুষ্যজাতির প্রত্যেকটি সদস্য এক অপরের সমান। জীবন ও মনুষ্যত্ব এই সাম্যের ভিত্তি। মনুষ্য কিংবা প্রকৃতিসৃষ্ট কোন ভেদাভেদ-পদ্ধতিই সেই মহান সাম্যকে অস্বীকার করিতে পারে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।