এই পৃথিবীতে সবাই আগন্তুক,সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে,কিন্তু তাতে ভয় কিসের।
মানুষের জীবন আসলেই বড় বিচিত্র। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চোখ, একটি মুখ, একটি নাক দিয়েছেন যার কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহার আমরা করে থাকি। এর ব্যতিক্রমটাও অসম্ভব নয়। আমার দেখা এবং লেখা এরকমই একটি ব্যতিক্রমী ঘটনার বিবরন নিচে তুলে ধরছি।
বগুড়ার শেরপুর শহরের উত্তর সাহা পাড়ার ৬ বছর বয়সী শিশু সুমন। জন্মের সময় দুটি হাত ছাড়াই তার জন্ম হয়। হাতের কাজগুলো সে পা দিয়ে করতে শিখে। অনেক চেষ্টায় সে পা দিলে লেখা শিখে এ বছর স্কুলে ভর্তি হয়ছে। তার বাবা মজিবর রহমান ও ফাতেমা জানান, ছেলের লেখাপড়ার আগ্রহ দেখে তারা তার পায়ের আঙ্গুলে চক ঢুকিয়ে দিয়ে লেখা শেখান।
তারপর নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী প্রাইমারী স্কুলে। ষ্কুলের শিক্ষকরা সুমনের লেখা দেখে এবং বুদ্ধিমত্তা দেখে তাকে ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি করে নেন। বর্তমানে সে প্রতিবন্ধী হিসাবে স্কুলে পড়াশোনা করছে। স্কুলে ব্রেঞ্চের উপর বসে সুমন লিখতে পারে অন্যসব ছাত্রের মতই। পা দিয়ে লেখাই যেন তার নিয়তি হয়ে গেছে।
অন্য সবার ক্ষেত্রে হাতের লেখা হলেও সমুনের কাছেই কেবল তা পায়ের লেখা। আসলে বিচিত্র মানবজীবনে কত কিই তো ঘটছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।