সুশীলের ভেকধারী এক মহা ভন্ড!
১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে।
২. দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সরকারকে বিচারের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনের আহবান। রাষ্ট্র বাদী হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়।
৩. পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগীদের বিচারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল (ক্রাইমস) ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর অধীনে ট্রাইবুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি। প্রয়োজনে জাতিসংঘের সাহায্য কামনার আহবান।
৪. যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিচারের দাবী কোন দলীয় বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ নয়। এটি জাতীয় নৈতিকতার দাবি।
৫. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারহীনতার জন্যই অপরাধীরা সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষের সাহস দেখাচ্ছে।
৬. ন্যায়ভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য এই সরকারকেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৭. গণহত্যার সাথে জড়িত সবাইকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে।
তারা যেন কোন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। সকল রাজনৈথিক দল হতে তাদের বহিস্কার করতে হবে।
৮. যুদ্ধাপরাধীদের সাথে কোন নির্বাচনী আঁতাত বা সমঝোতা থেকে বিরত থাকা। যারা ১৯৭৩ সালের সাধারন ক্ষমার আওতায় আসেনি, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের আইনের প্রয়োগ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাধ্যতামূলক করা।
৯. যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।
যুদ্ধাপরাধের সাথে সংস্লিষ্ট দল যেন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে না পারে।
১০. যেসব দলের গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানকে অস্বীকার করে বা তার মূল চেতনার সাথে অসংগতিপূর্ণ, তাদের নিবন্ধন না করা। যারা ১৯৭২ সালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ ৮ এর অধীনে কারাগারে অন্তরিন অথবা ফেরার ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের অপরাধের বিবরণ প্রকাশের দাবি।
১১. বাংলাদেশের গণহত্যার সাথে জড়িতদের ভিসা বা আশ্রয়-প্রশয় না দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান।
১২. স্বাধীনতাবিরোধীদের আর্থিক শক্তির সহায়ক প্রতিষ্ঠান বর্জনের আহবান দেশবাসীর প্রতি।
১৩. সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান ও নিরবিচ্ছিন্ন কর্মসূচির প্রত্যাশা।
১৪. সকল বধ্যভূমি চিহ্নিতকরণ। স্থানীয়ভাবে ঘাতক-দালালদের তালিকা করা ও অপরাধের বিবরণ সংগ্রহ ও প্রকাশ করা। ধিক্কারস্তম্ভ তৈরির আহবান।
১৫. ২৫ মার্চ রাত ১২ টা থেকে ১২ টা এক মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে এক মিনিট নিষ্প্রদীপ এবং স্বাধীনতা স্মরণে বারোটা এক মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি পালন।
১৬. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আমৃত্যু আপষহীন থাকার অঙ্গীকার।
এছাড়া গণমাধ্যমে স্বাধীণতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের কোনো ছবি প্রকাশ ও প্রচার না করা" এই প্রস্তাবটা সংযোজনের দাবী তোলেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।
আসুন আমরাও তাঁদের সাথে হাত তুলি, দেশের শত্রুদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হই।
সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৩ মার্চ, ২০০৮
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।