আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
ছোট বেলায় গ্রামে থাকার সুবাদে লুঙ্গি পরার কৌশলটা আমার ভালই জানা ছিল। লুঙ্গি পরে মাদ্রাসা, মসজিদ এবং কি মাঝে মাঝে স্কুলেও চলে যেতাম। মাঝে মাঝে দুস্টামির ছলে লুঙ্গিটা মাথার উপর উঠিয়ে মাইল কে মাইল হেটে যেতাম। আস্তে আস্তে বড়ো হবার পর প্যান্ট পরতে শিখলাম। এর পর আর লুঙ্গি পরা হয়নি আমার।
জীবনে অনেক পাহাড় পেরিয়ে জীবন যুদ্ধে হয়রান হতে হতে এই লুঙ্গি পরা আর হয়নি। এর মানে হলো জীবনকে না থুক্কু মানে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে লুঙ্গিটা পরিহার করতে হয়েছে।
যাই হোক গতকিছুদিন আগে আমার বাসায় ডাকাতি হয়েছিলো। আমার হাত পা বেধেঁ সব নিয়ে গেছে। আর ওদের জন্য সুবিধা হয়েছিলো কারন বাসা পাল্টাবো বলে সব জিনিস সুন্দর করে প্যাক করে রেকেছিলাম।
ঘটনা রাতে হয়েছিলো আর রাতে ওইযে বল্লাম না লুঙ্গি পরি না, পরেছিলাম একটা সট প্যান্ট, তার আবার সালমান খান স্টাইলের একবারে রানের চিপায় উঠে থাকে। টানা পাঁচদিন এভাবে ছিলাম খাদ্য যা ছিলো তা বাচিয়ে বাচিয়ে খেয়েছি। আর পরনের তেনাটা পরনেই ছিলো। কাউকে বলতে পারিনাই কারন আমার কাছে মোবাইল নাই। বাধ্য হয়ে ছয়দিনের দিন রাতে পাশের বাড়ীর সামনে রাখা আল্লার রস্তের কাপড়ের ব্যাগটা অতি কৌশলে চুরি করেছি।
তাতে যা পেয়েছি তাতে চলে যাবে। সবচে মজার ব্যাপার হলো এতে আমি একটা লুঙ্গি ও পাইছি, মনে হয় পরিবারটি এশিয়ান ছিলো। যেখানে কামলা খাটি সেখানে যাইনি আজ এক সপ্তাহ। বর্তমানে আমার বোনের বাসায় আছি। দুলাভাই আমাকে দেখলেই হাসে।
কারন ডাকাতরা আমাকে বাধাঁর পর কিছু উওম মাধ্যম দিয়েছিলো যেনো আমি তাদের অসুবিধা না করি।
"এভাবে যারা আমার বস্ত্র হরন করছে তাদের উপর আল্লার গজব পড়ুক। তাদের ছেলে মেয়ে যেনো কানা লুলা খোড়া হয়, ওদের বউ যেনো রাস্তায় রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে হাটে, আর যারা আমারে মারছে তাদের যেন কবরে জায়গা না হয়, আল্লার গজব পড়ুক ওদের উপর"
"হে মনুষ্যজাতি যত যাই করো রাতে সিগারেট টানবার জন্য ভুল করেও দরজা খোলা রেখে বাইরে যেওনা'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।