তো হানিফ সাহেব বসে আছেন, আমরাও বসে আছি। অবকাশ হোটেলের বারান্দায়। কখন রুম খালি হবে- সে আশায়। ২টার পর একটা মাত্র রুম খালি হল। ১০৩ নং রুম।
হানিফ সাহেবকে রুমের চাবিটা বুঝিয়ে দিলাম। তিনি রুমে গেলেন, ৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসলেন। কী ব্যপার ? কোনো সমস্যা ? ভয়ে আছি আমরা সবাই...। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে...। দেখেনতো ভাই, আমার রুমের ছিটকিনিটা আটকাচ্ছে না, বললেন হানিফ পত্নী।
আমরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে উঠলাম। পরবর্তী ৩ দিন একটি কথাও হয়নি তাদের সাথে, শুধু দেখা হয়েছে...
ক্ষাণিক পর যে যার রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলাম। বিকেল ৪ টা নাগাদ সবাই জড়ো হলাম সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে। আগে থেকেই আমাদের ঘুড়িয়াল (যারা ৪/৫ দিন ধরে ঘুড়ি বানাচ্ছে) বন্ধুরা সেখানে ছিলো। সবাইকে একসাথে পেয়ে শুরু হয়ে গেল- হৈ, হুল্লোড়, চিল্লাচিল্লি, গান-বাজনা মোটকথা, এলাহি সব কান্ড কারখানা।
ইতোমধ্যে দেখা হয়ে গেল ওদের সব বানানো ঘুড়ি। কত ডিজাইনের ঘুড়ি যে ওরা বানিয়েছে ??
কামরাংগা, সাপ, জলপরি, দ্বৈত্য, প্লেন, ব্রাশ, পেরেক, ঈগল, মানুষসহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি।
পুরো সীমানা পেরিয়ের যেদিকে চোখ যায় শুধুই রং বেরং-এর ঘুড়ি। আর ঘুড়িয়াল বন্ধুদের চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। রোদে পুড়ে একেক জনের চেহারা যা হয়েছে না, মাশাল্লাহ !! ওরা তখনও মহা ব্যস্ত।
মনের মাধুরী (কিংবা ঐশ্বরিয়া !!) মিশিয়ে ঘুড়িতে তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছে।
মায়াই হল বেচারাদের জন্য...
এর মধ্যে কেউ কেউ নিজের বানানো ঘুড়ি নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে চলে গেছে। শেষবারের মত উড়িয়ে দেখছে। সব ঠিক আছে তো ! রাত পোহালেই যে আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব.... (চলবে)
ছবি : লুৎফর রহমান নির্ঝরের সৌজন্যে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।