ঘুড়ি উৎসব করতে আমাদের আগের দল সেন্টমার্টিন গেল ২৩ তারিখ। আমরা রওয়ানা হলাম ২৭ তারিখ রাতে। সবাই ছবির হাটের আড্ডাবাজ। চারুশিল্পী, ছাত্র, বেকার, চাকুরীজীবি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সকল পেশার আমরা দুদল মিলে ৮২ জন। একদল সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে, অন্যদল অবকাশে থাকার ব্যবস্থা।
এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক।
গোল বাঁধালো আমাদের পেচালো বন্ধু সালেহর আরেক দোস্ত হানিফ। মধ্যরাতে ফোন করে জানালো- তার পরিবার থেকে ১২ জন যাবে। ভালো কথা। সে অনুযায়ী টিকেটও করা হলো।
শেষ মুহূর্ত্যে বললো- ১২ জন নয়, যাবে মাত্র ৪ জন। তাতেও অর্থদন্ড ছাড়া আমাদের কোন সমস্যা ছিলনা।
তখনও বুঝিনি কী ভয়াবহ যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!
হানিফ গংকে সিট দেয়া হলো আলাদা বাসে। ফকিরেরপুল থেকে সৌদিয়াতে যাবেন তিনি। ২৭ তারিখ রাত ৮ টা থেকে তার ফোনের যন্ত্রণা শুরু হলো।
কিছু নমুনা শুনুন:
১. মেসবাহ ভাই, বাসের কাউন্টার খুঁজে পাচ্ছিনা...
২. বাসটা ভালো না। একজন হকার চিরুনি বেচতে উঠেছে...
৩. বাসের লোকজন সিগারেট খায়...
৪. বাস জোরে চালাচ্ছে...
৫. বাস ভালো হোটেলে (রাতের খাবারের সময়) থামে নাই...
৬. হোটেলের খাবারের দাম বেশী...
এরকম ফানি সমস্যা এবং তার ফোনের অত্যাচার কাহাতক আর সহ্য করা যায় ? আমাদের বাসের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো- আর নয়, এই লোককে আমাদের দলে আগামী ৩ দিন আর রাখা যাবেনা।
টেকনাফ ঘাটে নেমে আবার ফোন :
১. মেসবাহ ভাই, আমি আপনাদের জাহাজে যাব না। ওই জাহাজটা ভালো না, রিস্কি।
' চন্ডিদাসের' মত অসীম ধৈর্য্য নিয়ে বললাম, জাহাজের তো টিকেট কাটা হয়ে গেছে।
তাছাড়া জাহাজ রিস্কি আপনাকে কে বলেছে ??
বাসের লোকজন বলেছে- বললেন জনাব হানিফ।
যাই হোক, তিনি আমাদের রিস্কি জাহাজে গেলেন না। গেলেন অন্য জাহাজে। সেখানেও সমস্যা। হোটেল অবকাশে তিনি আমাদের মিনিট দশেক আগে পৌছলেন এবং গিয়েই ফোন।
তার রুম নং কত ?
১৮ টা রুম আমাদের বুকিং দেয়া ছিল। তাছাড়া ২ টার আগে রুম পাওয়া যাবেনা। সেটা আমরা আগেই জানতাম। জানতেন না মি: হানিফ। কারন এর আগে তিনি কোনদিন সেন্টমার্টিন যাননি... ( চলবে )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।