আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
তিরিশ বছর পরেও এসে স্বাধিনতা খুঁজছি। হায়দার ভাই এর এই গানটা কার না মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে (শুধু তারা বাদে, যারা প্রগতিশীল ধারার ব্যানারে সবকিছুকে স্বাধিনতা ভাবেন)।
বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ কিংবা পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট, কিংবা জাসদ, কিংবা বাংলার অদলীয় সেসব ভাই যারা কারও প্ররোচনায়, কিংবা কোন ক্ষমতার লোভে নয়, দেশ প্রেমের মহান উদ্দেশ্যে জীবন বাজি রেখেছিলেন এবং কোন ট্রেনিং ছাড়াই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন আর সেই সব সামরিক, আধা-সামরিক ভাই-রা যারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশকে বাহিরের শত্রুমুক্ত করেছিলেন তারা সবাই কি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলেন কিনা জানি না। জানি না আসলে স্বাধিনতা বলতে কি বোঝায়? আর মুক্তির জন্য যে যুদ্ধ যা স্বাধিনতার তরে নিবেদিত ছিল, এর রাহবার কিংবা মুসাফির যারাই ছিলেন মৃত কিংবা আজও যারা জীবিত তারা সবাই কি উত্তর দিতে পেরেছিলেন, পারেন নি। যে যেখানেই যুদ্ধ করেছিলেন, সেখানেই সেরা ছিলেন কিন্তু যুদ্ধ সেরাদের সেদিনকার সে রক্তশপথ আজও অনেকের কলংক হয়ে জেলখানায় পচঁছে।
সেদিনকার রাহবার নেতার মেয়ে আজ চুরির, দূর্নীতির মামলায় কারাবাস রয়েছেন। সেই চুয়াত্তরের রক্ষীবাহিনী কিংবা তাহেরের উত্থান, নয়তো জিয়ার ক্ষমতায়ন। সবই ছিল স্বাধিনতা সমুন্নত রাখার মহান প্রত্যয়ে, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় স্বাধিনতার এতগুলো পাল্টাপাল্টি পক্ষ ছিল, নাকি ভারত আর সভিয়েত চক্র কিংবা চিন-আমেরিকা চক্রের কাছে বিক্রি ছিল মহান স্বাধিনতার অনেক স্হপতি।
জানি না? প্রশ্নের কেবল লাইন বেড়ে যায়,
তবে বারংবার সেই সব মহান দেশপ্রেমিক (জানি, তারা অনেকেই আজ মুক্তিযোদ্ধার লিস্টে নাম লেখানোর মত সুযোগ পাননি) তাদের সালাম জানাই। যারা না জেনেও জেনে গিয়েছিলেন স্বাধিনতার মানে।
তারা যদি আজ কোন বড় আসনে আসীন থাকতেন, কিংবা তাদের কোন টিভি চ্যানেল, কিংবা পত্রিকার মালিক হতেন, কিংবা জীবিত হয়ে কোন গায়ক হতেন তবে অব্শ্যই হায়দার ভাই এর গানের জবাব দিতেন।
হায়দার ভাই, তাই আপনার প্রশ্নের উত্তরে কেবলই প্রশ্নের সংখ্যাই বেড়ে যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।