"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
২৫
ছালু: এই তুই কি আমার চিঙ্গা(চেয়ে) বেশি বুজস!
নাড়িয়া: জ্বে আমি বেশিই বুজি, ওই ক্যাপ মাতায় ওইডার লগেই ভাগবে...
ছালু: আমি কইলাম ওই ছানগেলাস পরা চ্যাংড়ার লগে পলাবে...
নাড়িয়া: তোরে কইছে....
ছালু: দ্যাখ এমন থাবড়া দিমু .........
নাড়িয়া: ই হি রে আইছে (টিটকারীর হাসি)...তুমি কেডা......হুম........ডেলি ডেলি খাও বউয়ের পিছার বাড়ি....আবার আইসো...আমারে থাবড়া দিতে...
নাড়িয়ার কথা শুনে ছালু হুঙ্কার দিল, নাড়িয়া ভয় পেয়ে গেল। মনে করল ছালুর ছালার মধ্যে আজকে তাকেই ঢুকতে হবে। কিন্তু নাড়িয়াকে অবাক করে দিয়ে ছালু পশুর মত দৌড় দিয়ে রমজানের মুখ চেপে ধরল। রমজান উপ উম উউউহু শব্দ করছে। আশকা আর ছাইফুল থতমত খেয়ে গেল।
ওদের দু’জনার কিছু বোঝার আগেই নাড়িয়াও সেখানে গিয়ে ছাইফুলের নাকে বেশ কয়েকটা ঘুষি মারল। কয়েক মুহূর্তের জন্য ছাইফুল চোখেমুখে অন্ধকার দেখলো।
আর এদিকে রমজান মনে করছে তার মোবাইল নেওয়ার জন্য তার উপর এ হামলা। রমজান সবকিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু তার মোবাইল নিয়ে ছিনিমিনি! এটা সে মেনে নিতে পারেনা। সে ছালুর হাতে জোরে কামড় বসায়, ছালু উহুরে বলে শব্দ করে।
রমজান হঠাত শক্তিশালী হয়ে যায়। “শয়তান, আমার মোবাইল নিতে এসেছিস”---বিশাল চিতকার করে রমজান। তারপরে আর রমজানকে দেখে কে। রমজান কি যেমন তেমন! ইচ্ছামত ঠাস ঠাস করে কতগুলো চড় বসায় ছালুর গালে। কিন্তু খালি চড়ে কি ছালুর কিছু যায় আসে! সে রমজানের চুলের মুঠি ধরে রমজানকে ছালার মধ্যে ঢুকানোর চেষ্টা করে।
রমজান মনে করে ওর মোবাইলটা বোধহয় শয়তানটা নিয়েই ছাড়বে। সে আবার গায়ের সমস্ত শক্তি নিয়ে উঠে ছালুরই চুল ধরে এবং পাশে একটি মাল বাহী ট্রেনের সাথে মাথা বেশ কয়েকবার ঠুকে দেয়। ছালুর মাথায় রক্ত বের হয়ে যায়। ছালুও কি থামার লোক! রমজানকে সে আবার ধরে মারতে চেষ্টা করে। রমজান এবার ছালুকে কোনো রকমভাবে নিচে ফেলায় তারপর বুকে উপর বসে চুল ধরে মাথাটা বেশ কয়েকবার মেঝের সাথে ঠুকে দেয়।
ছালু একটু দুর্বল হয়ে এলে সে ছালুর শরীরের উপর উঠে লাফায় আর বলে তোর বাতের ব্যমো আমি ছুটাচ্ছি। রমজান ছালুর উপর অনেক লাফালাফি করে। ছালু জ্ঞান হারালে রমজান ছালুকে সেই ছালাটার মধ্যে ভরে...
২৬
বাদর বোবা রিকশাওয়ালাকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে, উপায় না দেখে ঝাপ দেয় রিকশা থেকে, হাটুতে প্রচন্ড ব্যথা পায় বাদর...তারপর একটা স্কুটার নিয়ে সোজা স্টেশনে....
ছাইফুল এমনিতেই ফাইটে ভাল তাই নাড়িয়াকে শাইজ করা তার বা হাতের খেইল ছিল, নাড়িয়াকে পিঠমোড়া দিয়ে বাধার চেষ্টা করছে আর রমজান ছালুকে ছালার মধ্যে ভরে মালবাহী ট্রেনে ছ্যাচড়াতে ছাচড়াতে উঠাচ্ছে
বাদর আশকাকে একা পেয়ে হাত ধরে টানতে থাকে, আচমকা একটা ঘুষি এসে পড়ে বাদরের মুখে। তবুও বাদর আশকার হাত ছাড়ে না, সে আশকাকে নিয়েই যাবে! আশকার হাত ছাড়িয়ে বাদরকে ছুড়ে মারে, বাদর ইশ্ শিরে বলে ওঠে..
আশকা: মারো, ওকে .....আরো মারো....আরো
বাদরের যখন আধমরা অবস্থা তখন পিংগুলির মা (ভুল বুঝতে পেরে) পুলিশ নিয়ে হাজির হন।
ইনসপেক্টর লায়ওনো বাদর আর নাড়িয়াকে বেধে গাড়িয়ে তোলার নির্দেশ দিল।
লায়ওনো: থ্যাংক ইউ, ম্যাডাম। আমরা এই বাদর চৌধুরীকে অনেক দিন ধরেই খুজছিলাম।
পিংগুলির মা: না, না এটা আমার দায়িত্ব ছিল।
পিংগুলির মা: আরে দোস্ত তুই!
আশকা: তুমি ওকে চেনো! ভাবী?
পিংগুলির মা: আরে পাগলী তুই বলবি না এর সাথে তোর প্রেম! তোর কি দরকার ছিল পালানোর! ও আমার কত প্রিয় বন্ধু জানিস?!
নাদান লাজুক হাসে।
পিংগুলির মা: তোকে আর পালাতে হবে না বোন, আমি নিজেই মহা ধুমধামের সাথে তোদের বিয়ে দিবো।
নাদান তোমার মা মানে এ্যাশ আন্টি (রাগ ইমন)র সাথে আমি কথা বলব।
২৭
ছাইফুল আশকাকে না পাওয়ার কষ্টটা সহ্য করতে পারছিল না, মনে দু:খে গান শুরু করল, “ও পাষানী বলে যাও কেন ভালবাসো নি.....মুছে দিয়ে যাও এ দু চোখের পানিই..... (আহ্ আহ্ আহ্...)স্টেশনের নামকরা জোত্তা পাগলীর (জয়িতা) মাথা গরম হয়ে গেল ছাইফুলের বেসুরা গানশুনে। এক পায়ে পরে থাকা স্যান্ডেলটা হাতে তুলে নিল জোত্তা....কয়েক ঘা বসালো ছাইফুলের পিঠের উপর
ওও মা গো বাবা গো, মরে গেলাম বলে চিতকার করে কাদতে কাদতে পালালো ছাইফুল।
ট্রেন ছেড়ে দেবার পর রমজান দেখলো আশকা অন্য একজনের হাত ধরে চলে যাচ্ছে, এটা মেনে নেয়া রমজানের জন্য সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠছিল, নিজের মন কে সে কি বুঝ দিবে!
একটা সামান্য কিলিক লাগাতে পারলাম না! এটা কিভাবে মেনে নেবো!! (নিজের মনে বারবার বিড় বিড় করছিল রমজান)
রমজান মনের দু:খ ঘুচানোর জন্য কুয়াকাটা চলে গেল, সমুদ্রের বিশাল জলরাশি যদি তার চোখের পানিকে বরণ করে নেয়, একটু ঠাই দেয়, একটু শাত্ত্বণা...সমবেদনা.....
কুয়াকাটায় রমজান মহুয়ার সন্ধান পেল, সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে মহুয়া খায় রমজান আর গান করে..
“ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়, বুকের জমানো ব্যথা কান্নার নোনাজলে.......অন্যের হাত ধরে চলে গেছো বহুদূরে.....”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।