আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশকা তুমি কার -৩ (পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি)

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

৯ ভাল লাগে শুধু তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে তোমার পানে তাকিয়ে কাটিয়ে দেই অনন্তকাল তুমি শুধু আমার ভাল লাগে তোমার পাশে বসে থাকার মুহুর্তগুলো ইচ্ছে করে তোমার টোল পড়া গালে শুধু আমার অধিকার প্রমাণে তুমি শুধু আমার এটা রাশেদ স্যারের কবিতা আশকাকে নিয়ে। প্রতিবারই কোন মেয়েকে পছন্দ হওয়ার পর কবিতা লেখে এবং তার বোন তার কবিতা নিয়ে ছ্যাবলামো শুরু করে এভাবে, হুম! এটা কি ভাইয়া!.......কি প্রেমে পড়েছ! এবং বরাবরের মতই রাশেদ স্যার বলেন, তুই যে কি বলিস না! উম!.....তখন বোন বলে, ভাইয়া প্লিজ প্লিজ প্লিজ আমাকে লুকাবে না। ........কিছুক্ষণ মোড়ানোর পর রাশেদ স্যার তার বোনকে বলে, পৃথিবীতে তুই ছাড়া আমার আর কে আছে বল! তোকে বলব না তো কাকে বলব। আসলে.....উম..উম..মানে...আ..আ...মানে....কথা দে তুই আমার ব্যবস্থা করবি......তখন, বোনের উত্তর থাকে, বোনটাকে এভাবে পর করে দিলি....রাশেদ স্যার তখন বলেন, এইটা একটা কথা বল্লি !! কিন্তু তোর ভাইটাই এমন। ......আচ্ছা বললাম যা, ওর নাম আশকা।

......বোন বলে.....আমি আজকেই ওর বাসায় যাব, ঠিকানা দে। এই হচ্ছেন মোছাম্মত মনচিলা(তানজিলা হক), রাশেদ স্যারের ছোট বোন। ছ্যাচরা টাইপের মেয়ে। তার ভাইয়ের যখনই কোন মেয়ে পছন্দ হয় তখন তাকে সেইসব মেয়েদের বাড়িতে পাঠানো হয় কিন্তু আফসোস তাকে সব জায়গায় অপমাণ করে বের করে দেওয়া হয়। তারপরেও সে নির্লজ্জের মত যায়।

১০ আশকাদের বাড়িতে আজ তার বিয়ের লোকজন এসেছে। পাত্র বাদর চৌধুরী(বিবর্তনবাদী), পিঙ্গুলীর মা ভাবির গ্রাম সম্পর্কের ভাই। সে গ্রামের চেয়ারম্যান। সে বিশিষ্ট লুজার। তার অনেকগুলো বিয়ে এবং সে কয়েকটা খুনের মামলার আসামী।

সম্বন্ধ নিয়ে এসেছে বেগম জাম্বুরা(জেবিন)। মোটা বলে সকলে জাম্বু বলে ডাকে। পিঙ্গুলীর মা ভাবির গ্রাম সম্পর্কের বোন। ইউপি মেম্বার জাম্বুরা গ্রামের পান খাওয়া এক হাইফাই শয়তান মহিলা। সে রেগে গেলে বলে লাত্তি খাবি, এইডারে পিছারদ্দে(ঝাটা) দেয়া লাগে ইত্যাদি।

তাদের সঙ্গে এসেছে ছালু (ছায়ার আলো), বাদর চৌধুরীর চামচা। সে তার স্ত্রীর ঝাটার বাড়ি খেয়ে পাগল হয়ে লোকজনকে ছালার মধ্যে ভরে পিটায় বলে সে গ্রামে ছালু নামে পরিচিত। কিন্তু স্ত্রীকে কিছুই বলতে পারে না। আর নাড়িয়া(নরাধম), বেগম জাম্বুরার চামচা। সে সবসময়ই মাথা ন্যাড়া করে রাখে কারণ তার ধারণা মাথায় চুল থাকলে তার মাথা গরম হয়ে যায় এবং মাথা থেকে কোনো বুদ্ধি বের হয় না।

যদিও সে এখন পর্যন্ত কোন বুদ্ধির কিছু দেখাতে পারেনি। ১১ বেল বাজছে। দরজা খুলল পিঙ্গুলির মা। সে তখন রান্নাবান্না নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলো যে দরজা খুলে মোছাম্মত মনচিলা কে ঢুকতে বলল না। মনচিলা কোনো কিছু গায়ে না মেখে বলল, আসতে পারি, ভেতরে আসতে পারি? বলে জবাবের অপেক্ষা না করে ভিতরে ঢুকে সোফায় বসে পড়লো এবং বলতে লাগলো, খালাম্মা! এই যে আমার ভাইয়ের বায়োডাটা।

আমাদের কোনো দাবিদাবা নাই। আমরা শুধু আপনার মেয়েটাকে চাই। পিঙ্গুলীর মা বলল, আমার আবার মেয়ে পেলেন কোথায়! আমার তো একটাই ছেলে। তাহলে, ও বুঝেছি আপনি বোধহয় আশকার কথা বলছেন। মোছাম্মত মনচিলা বলল, হ্যা হ্যা আমি ওর কথাই বলছি।

পিঙ্গুলীর মা বললেন, ও তো আমার ননদ। মনচিলা: ও স্যরি, আপনার চেহারাটা না একদম বুড়ি বুড়ি। পিঙ্গুলীর মা বিরক্ত হয়ে বলল: দাড়ান আমি একটু ভেতর থেকে আসি। মনচিলা: ওকে। বলে কারো অনুমতি না নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘোরাঘুরি শুরু করল।

পিঙ্গুলীর মা ভিতরে গেল। জাম্বু তখন শুয়ে শুয়ে বিয়ের প্ল্যানিং করছিল। সে জাম্বু কে সব খুলে বলল। কাজের সময় এ ধরনের কথায় বিরক্ত হয়ে জাম্বু বলল, ছিমড়িরে খেদায় দে। এদিকে মনচিলাও ঘুরতে ঘুরতে এ ঘরে চলে আসল এবং জাম্বু কে দেখিয়ে বলল, এটা কি আপনার শাশুড়ী? স্লামালিকুম খালাম্মা।

এমনিই মনচিলার আসার কথা শুনে জাম্বুর গা জ্বলছিল তার উপর তাকে বুড়ি বলায় চিতকার করে বলল, ওই ছিমড়ি! তোরে এই খল্টে(ঘরে) আসতি কইছে কিডা? এইডারে পিছারদ্দে দেয়া লাগে। ............তার সে কি হইচই! মনচিলা ছ্যাচরাটা তারপরেও গায়ে না মেখে বলল, খালাম্মা, আমি আপনার মেয়ে আশকার বিয়ে সম্বন্ধ নিয়ে এসেছি। তারপরে সে জাম্বু কে দেখিয়ে পিঙ্গুলীর মা কে বলল, কি উনার মাথায় কি কোনো সমস্যা আছে? জাম্বু রাগে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে বলল, পিঙ্গুলীর মা তুই এইডারে লাত্তি দিয়ে আমার চোখের সামনে দিয়ে খেদা। পিঙ্গুলীর মা বিশিষ্ট ভদ্রমহিলা ভদ্র ভাষায় বললেন, আপনি প্লিজ চলে যান। আশকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

মনচিলা: আপনারা বুঝছেন না আপনারা কি করছেন! আমার ভাই একটা জিনিয়াস ছেলে। পরে আফসোস করবেন। আমি বায়োডাটা রেখে গেলাম। আপনারা বিবেচনা করেন। পিঙ্গুলীর মা: আজকে রাতেই ওর বিয়ে।

জাম্বু এই মেয়ের কথা শুনে অতিষ্ট হয়ে তার চামচা নাড়িয়াকে ডেকে বলল, এইডারে পিছারদ্দে পিডাইয়া খেদা। মনচিলার মত সুন্দরীর সাথে খারাপ ব্যবহার নাড়িয়ার মত অল্প বয়সী যুবকদের পক্ষে সত্যিই কঠিন। অশিক্ষিত নাড়িয়া শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারেনা। তারপরেও যতদূর সম্ভব চেষ্টাটেষ্টা শুরু করলো, আপনে এরাকাম করতিচেন কেন? আপনে বাহিরে চলেন তো। ম্যাডামের মেঝাসটা ব্যাড কইরেন নাতো।

পিলিজ বাহিরে চলেন। ১২. মনচিলাও অশ্রুসজল চোখে বাইরে আসলো। বাইরে এসে নাড়িয়া: আপনের নেমটা কি পিলিজ বলা যাবে? মনচিলা ফুপিয়ে উঠে: হ্যা। আমি মিস মনচিলা। এবার নাড়িয়া: ওই বেডি.... বলে....একটু চুপ মেরে আবার বলে.....ওই লেডির কতায় কিচু মনে কইরেন না।

মাতায় একটু সমেসসা আচে..... মনচিলা: তাই বলে.... এইভাবে.....আমাকে অপমাণ... নাড়িয়া এবার রুমাল এগিয়ে দিলো। পিলিজ আপনে কেরাইং কঅরবেন না। মনচিলা: আমাকে কি একটা রিকশা ডেকে দিবেন? নাড়িয়া: আবার জিগায়?...চুপ মেরে আবার বলে... এক্কুনী দিচ্চি। নাড়িয়া হাত উচিয়ে বলে, এই খালি(রিকশা) এদিক আয়.... মনচিলা চলে যাবার পর নাড়িয়ার খুব আফসোস হলো সে কেন রিকশাওয়ালা হলো না! হলে......তখন একটা গান কল্পনা করল নাড়িয়া .....মনচিলা রিকশায় চড়ে গাইছে, “আরে ও রিকশায়ালা, তুই ধীরে ধীরে চালা, তুই বুঝিস না ক্যান মোর মনের জ্বালা”......আর সে গাইছে, “আরে ও রূপের মাইয়া, তুই দেখিস না ক্যান চাইয়া............”

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।