"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
১৯
দ্যাখো, আশকা আমি তোমার এই ব্যাপারটাকে কখনই সমর্থন করবো না, আমি তোমাকে ভালবাসি তার মানে এই নয় যে, তুমি বাসা থেকে পালিয়ে আসবে আমার কাছে, আর আমি তোমাকে গ্রহন করবো, রাশেদ স্যার বিড়াল মহাজনকে কোলে নিয়ে অত্যন্ত দাম বাড়িয়ে বললেন।
আশকা: আশ্চর্য! স্যার আপনি পারলেন কি করে এভাবে বলতে!!?
রাশেদ স্যার: কি? এই যে তুমি আমার কাছে এসেছো আর আমি তোমাকে বাসায় ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি?
আশকা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, রাশেদ স্যার তাকে বলার সুযোগ না দিয়ে আবা্র বলা শুরু করলেন, দ্যাখো আমি খুবই straight ভাবে তোমাকে বলছি, পালিয়ে বিয়ে করার মত সমাজে আমি বাস করিনা। আমি তোমাকে ফ্যামিলির মাধ্যমেই পেতে চাই।
আশকা: excuse me! Sir আপনি আশা করলেন কিভাবে যে আপনার মত বুড়া ব্যাটা কে আমি বিয়ে করবো??!!
রাশেদ স্যার: এ্যাই আশকা! এইটা তো তোমার মনের কথা না, মুখের কথা। তাইনা? আর তুমি অযথাই মাইন্ড করছো কেন বুঝতেছি না।
(রাশেদ স্যার জ্ঞানী ভঙ্গিতে গড়গড় করে বললেন)
আশকা: আপনি আমাকে কি বলতে দিবেন? (রেগে)
রাশেদ স্যার: আচ্ছা বলো।
আশকা: আমি যাকে ভালবাসি ওকে বিয়ে করবো, ও বগুড়া থেকে আসবে এখনও আসে নাই, রওনা দিয়েছে আমার এখন যাওয়ার কোন জায়গা নাই তাই ভাবলাম আপনার এখানে অপেক্ষা করি।
রাশেদ স্যার বিষম খেয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন, তাকে থামিয়ে আশকা বলল, আমার ভুল হয়েছে আপনার এখানে আসাটা। আমি চলে যাচ্ছি। অযথা বিরক্ত করার জন্য দু:খিত...
২০
মুন্না: পিংগুলি, please!!! তুই আশকা আপুর ইয়াহু আইডি টা দে।
পিংগুলি: দ্যাখ মুন্না আমার কারো আইডি মনে থাকে না।
মুন্না: আচ্ছা যা আর দেয়া লাগবে না। আশকা আপু আসলে আমি তার কাছেই চাইব। তোর সাথে আমি আর কথা বলব না।
হাসতে হাসতে পিংগুলি বলল: আরে ফুপী তো একেবারেই পালিয়েছে।
বগুড়া থেকে ফুপা আসবে আর সেখান থেকে তারা রাতের ট্রেনে চিটাগং যাবে।
মুন্না: তুই জানলি কিভাবে? তখন তুইও তো আমাদের সাথে নাচানাচি করছিলি।
পিংগুলি: আরে যখন আমি নাচতে নাচতে ক্লান্ত হয়ে ডাইনিং রুমে এসে পানি খেতে এসছিলাম তখন দেখি ফুপী গাট্টি বস্তা নিয়ে পালাচ্ছে। আমাকে দেখে বলল কাউকে বলিস না।
মুন্না আর পিংগুলির এ কথাপোকথন কাজের মেয়ে শামীমা সব শুনল এবং তক্ষুন্নী সে জাম্বুকে বলতে গেল কিন্তু জাম্বুকে সে ভয় পায়।
তাই বিমাকেই বললো। সব শুনে বাদর ধারণা করলো এখনও যদি তারা রেলস্টেশনে যায় তাহলে আশকাকে ধরা যাবে।
বাদর: ওই নাইড়া, এট্টা রিশকা বোলা(ডাক)। আর ও জাম্বু বু চল দি ছিমড়িরে ধইড়া আনি।
পিংগুলির মা কিছু একটা বলতে যায় কিন্তু তখন জাম্বু থামিয়ে দিয়ে বলল, ওই চোপ! তুই ছিমড়িরে লাই দিয়ে মাথাই তুইল্যা লাইছোস।
আর এট্টা কতা কবি তো তোরে পিছারদ্দে এই বাড়িত দিয়া তাড়ামু।
পিংগুলির মা অবাক হলো।
২১
কপাল ওদের সঙ্গে ছিল না, নাড়িয়া কোনো রিকশা পাচ্ছে না। মোড়ে একটা রিকশাওয়ালা(অলস) নবাবের ভঙ্গিতে রিকশায় বিড়ি টানছে।
নাড়িয়া: ওই খালি, যাবি?
রিকশাওয়ালা কোনো জবাব দিল না।
নাড়িয়া আবার: যাবি?
এবারও কোনো জবাব দিল না।
নাড়িয়া: কি কতা কানে যায় না?
রিকশাওয়ালা বহুত কষ্টে বলল: যামুনা।
নাড়িয়া : কেন যাবি না?
রিকশাওয়ালা এবারও জবাব দেয় না, নাড়িয়ার কয়েকবার গুতানির পর জবাব দেয়।
রিকশাওয়ালা: দ্যাহেন না বিড়ি খাই
নাড়িয়া: বিড়ি শেষ করে চল....
রিকশাওয়ালা: না আমার কষ্ট হইবো।
ওখানে আর কোন রিকশা নাই কাজেই নাড়িয়া একে বেশি ভাড়ার লোভ দেখিয়ে রাজী করাতে চাইল, কিন্তু সে কোনভাবেই রাজী হচ্ছে না, নাড়িয়াও নাছোড়বান্দা।
জাম্বু আর বাদর এসে দেখলো নাড়িয়া এক রিকশাওয়ালাকে বলছে, ভাইরে তোকে ২গুন, ৩গুন...৫গুন ভাড়া দিবো চল.....
দূর থেকে একটা রিকশা আসতে দেখে বাদর আর জাম্বু হাত ইশারায় রিকশাটা থামিয়ে উঠে পড়ে। বাদর রিকশাওয়ালার পিঠে হাত দিয়ে সামনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
(এই রিকশাওয়ালা শফিউল আলম ইমন এবং উনি এখানে বোবা রিকশাওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।