"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
১
পিংগুলির বাবার দেয়ালে ঝুলানো ছবিটার সামনে দাড়িয়ে পিংগুলির মা শাড়ির আচলে চোখ মুছলো। ওগো, আমায় এ কোথায় ফেলে চলে গেলে, আমি আর পারছি না যে, একদিকে তোমার বোন দুইদিন পরপর নতুন প্রেম আর ওদিকে তোমার পিংগুলি তার পোস্টম্যান। আমি কি করবো? কোথায় যাব? পাড়া প্রতিবেশী ছি ছি করে। ই আল্লা! আমাকে পিংগুলির বাপের কাছে নিয়ে যাও।
(আশকার প্রবেশ)
পিংগুলির মা ভাবী: কিরে এত সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছিস?
আশকা: সাজের আর কি দেখলে? এ আর এমন কি? একটা ম্যাচিং কানের দুল পর্যন্ত পড়তে পারলাম না।
যাই হোক, এখন আমি যাই। তোমার সাথে বকবক করার সময় আমার নাই।
পিংগুলির মা আবার ছবির কাছে গিয়ে দেখলে তো দেখলে তো তুমি!
২
আশকা রিকশা পাচ্ছে না। দেখলো মোড়ে রমজান আর ছাইফুল দাড়িয়ে আছে। রমজান আশকাকে দেখা মাত্রই চট করে তার নতুন কেনা মোবাইলটা বের করে ভাব মারতে যাবে তখন আশকা বলল এই একটা রিকশা পাঠায় দে তো।
রমজান তখন এতই নার্ভাস ছিল যে সে রিকশা ডাকতে চলে গেল। ছাইফুলও বোকার মত রমজানের পিছু পিছু চলে গেল।
এরপর ভার্সিটিতে
আশকা তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করছে।
আশকা: আমাদের রাশেদ স্যারটাকে দেখেছিস? কি লাজুক! ও মা! সেদিন হলো কি, আমি ক্লাস টেস্টে দেখে দেখে লিখছিলাম। স্যার দেখেও কিচ্ছু বলল না।
এত লাজুক। মনে হয় লজ্জা পেয়ে কিচ্ছু বলেনি আমাকে।
ক্যারোলিন: কোথায় স্যারতো যথেষ্ট স্ট্রিক্ট।
আশকা: জানিনা রে ছেলেরা আমাকে দেখলেই কেমন যেন হয়ে যায় বলে ওরা সবাই ক্লাসে চলে গেল।
(রাশেদ স্যারের চরিত্র: রাশেদ স্যার একজন অবিবাহিত শিক্ষক যিনি আশকাদের উপরের একই ক্লাসের ৪ জন ছাত্রীর বাসায় বিয়ের প্রপোজাল পাঠানোর পর রিজেক্টেড হয়েছেন।
প্রতিবার রিজেক্ট হবার পর স্টুডেন্টদের উপর সিডর বয়ে যায়। তখন ছাত্ররা বুঝে যায় ঘটনা কি! তার একটা ভাংগা চোরা মোটর সাইকেল আছে যা মেয়েদের সামনে আসলেই নষ্ট হয়ে যায়)
৩
রমজানের আশকাকে লেখা পত্রটা ছিল এরকম:
প্রিয়তমা, তোমাকে আমি সকালের রোদ বলব, না রাতের তারা বলব। তোমাকে আমি সকালের রোদই বলব, কেমন? কারণ তুমিই তো আমার প্রথম.................তারপরে এই ধরনের ছ্যাবলা ধরনের কথা লিখেছিল সে আশকাকে। কবি মানুষ তো।
রমজান: পত্রটা কেমন হলো?
ছাইফুল: দোস্ত এটা কিন্তু আমি পোস্ট করব।
রমজান: ওই আশকা না আশকা ভাবি বল।
ছাইফুল: হোখে।
ছাইফুল পাশের বাড়ির মুন্নাকে দিয়ে “আকাশে তে লক্ষ তারা রমজান কিন্তু ১টারে........” লিরিকটা লেখালো। গানের লিরিকটা খামে ভরে তাতে “রমজান+আশকা” লিখে পিংগুলির হাতে দিলো সাথে পিংগুলিকে একটা love candy খেতে দিল।
আর রমজানের চিঠিটা নিয়ে নিজের সুহস্তে লিখে নিজের নামে নিজ হাতে আশকাকে দিয়ে আসল।
(ছাইফুল রমজানকে গাছে উঠিয়ে তল দিয়ে গাছ কাটা শুরু করল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।