"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
১৩
রাশেদ স্যার তার প্রিয় বিড়ালকে(বহুরূপী মহাজন) কোলে নিয়ে বসে ছিল, বেল বাজল। রাশেদ স্যার একরকম হুমড়ি খেয়ে পড়ার মত করে বিড়ালটাকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে দরজা খুললেন।
রাশেদ স্যার: কি হল? কি বলল ওরা?
মনচিলা কিছু বলার আগে একটু অশ্রু সজল ভাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল মনে মনে।
মহাজন মিআও ম্যাও মি্অ্যাও, মিআও ম্যাও, মিআও ম্যাও শুরু করল আর মনচিলার পায়ের কাছে ঘুরঘুর শুরু করল। মনচিলার মনে হল মহাজন যেন বলছে, ইলিশ মাছ খাবো, ইলিশ মাছ, ইলিশ মাছ...।
রেগে মনচিলা রেগে এক লাথি মারল মহাজনকে, মহাজন ক্যাক করে ছিটকে সিড়ি দিয়ে পড়ে গেল। মনচিলা দরজা টা আটকে দিল।
কি হল? কি বলল ওরা? অধীর আগ্রহে রাশেদ স্যার আবার জিজ্ঞেস করলেন।
মনচিলা: কি হল আবার! তাড়িয়ে দিল।
রাশেদ স্যার কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন, তাকে থামিয়ে দিয়ে মনচিলা আবার শুরু করল, বলে কি তোমার ৩৯ বছর বয়স্ক ভাই যার ২দিন পরে দাত পড়বে, তার সাথে আমার ১৮ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার সাহস পাও কিভাবে!!? আমি বললাম, আমার ভাই জিনিয়াস, ওর বয়স ৩৯ না ৩৭।
তারা বললো, রাখ ছেমড়ি, তোর ভাই! বুড়া হাবড়া! আমি তারপরও বিবেচনা করে দেখতে বলাতে ওই মহিলা আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিল। অ্যাহ্, অ্যাহ্....(কান্না)। এসবের মাঝখানে মনচিলা বলতে ভুলে গেল, আশকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
সব শুনে রাশেদ স্যার নিজের ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে বিছানায় লাফ দিয়ে পড়ে বালিশটাকে জাপটিয়ে ধরে মুখ গুজে ডুকরে কেদে উঠল। (চোখ জ্বলে ভেজা স্যাতস্যাতে বালিশের উপর, কাটছে শুয়ে অনেক রাত......)
১৩
শামীমা (একরামুল হক শামীম) আশকাদের বাসার কাজের মেয়ে, কুটনামীতে এইট পয়েন্ট থ্রি, আশকা বাসায় আসার সাথেসাথে তার কাছে জাম্বু ও তার বাহিণী আসার কারণ বলল এবং একটা মেয়ে আসছিল তাকে কিভাবে অপমান করা হয়েছে তাও বলতে ভুলল না শুধু বলতে পারল না মেয়েটা কে।
আশকা শামীমাকে ঘর থেকে বের করে একটা ফোন করল।
আশকা তার কাপড় চোপড় গুছিয়ে ফেলল, তাকে আজ পালাতেই হবে। ওই ঘর থেকে শুনলো তার ভাবী গান গাইছে, তু চিজ বড়ি হে মাস্ত মাস্ত.... আশকা বিরক্ত হয়ে ভাবীকে থামাতে যেয়ে দেখলো, বাদর চৌধুরী, জাম্বু, নাড়িয়া, ছালু, শামীমা ও পাশের বাসার মুন্না ও পিংগুলি নাচছে বিমা ভাবীর গানের তালে তালে। এদের সবাইকে ব্যস্ত দেখে সুযোগ বুঝে আশকা বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
কি মনে করে জাম্বুর মনে হল আশকা পালাতে পারে ভেবে নাড়িয়াকে বলল, আশকার ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিতে।
আশকা বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই আশকাদের বাসার মেইন গেট খোলা দেখে অভাবী ও বোকা চোর চিকন মিয়া আশকার ঘরে ঢুকলো কিছু চুরি করার জন্য.....নাড়িয়া ঘরে খুটখাট আওয়াজ শুনে ভাবল আশকা ঘরে, তাই সে চিকন মিয়াকে তালাবদ্ধ করে রাখল।
১৪
বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে কিন্তু আশকা ঠিক করতে পারছে না কোথায় তার এখন যাওয়া উচিত। তার বান্ধবীদের বাসা বা আত্নীয়ের বাসায় যাবে একবার ভাবলো কিন্তু ওসব জায়গায় যাওয়াটা তার কাছে মোটেও নিরাপদ মনে হলো না।
অবশেষে আশকা তার শেষ আশ্রয়স্থল খুজে পেল যদিও সে জানেনা ওখানে তার আশ্রয় মিলবে কিনা। তারপরেও সে একবুক আশা নিয়ে ওপথে পা বাড়ালো।
বেল বাজলো।
রাশেদ স্যার দরজা খুলেই অবাক হলো! সামনে আশকা! সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারলো না। নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলো। নাহ! স্বপ্ন নয়! এসব সত্যিই ঘটছে তার সাথে!
রাশেদ স্যার: আশকা তুমি?!?
আশকা: স্যার আমি বাসা থেকে একেবারে চলে এসেছি।
নোটিশ: অশ্লীলতার দায়ে জনপ্রিয় অভিনেতা উদাসী স্বপ্নকে উজবুক রিকশাওয়ালার পাট থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।