"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
৪
“চিঠি লিখলাম, ও লিখলাম তো-ও-ও-মা-আ-আ-কে, পড়ে জবাব দিও গো-ও-ও আমাকে, আমি ভাল মানুষ, আমার নাই কোনো দোষ বলে দিও তোমার ভাবীজানকে এএ.....”
ঠাস্ (চড়)
রমজান: হ্উহ্! তুমি আমাকে মারলে!
(আশকার বাসার সামনে দাড়িয়ে এইগানটা কল্পনা করছিল রমজান, সেই সময় আশকা তার ফালতু চিঠির জন্য চড় বসায়)
আশকা: তোকে যে অপমান করিনি এই তোর ভাগ্য। এটা কি দিয়েছিস! যা ভাগ এখান থেকে
রমজান ভয়ে আর দেখলো না চিঠিটা। চলে গেল চোখ মুছতে মুছতে।
৫
পরদিন
রমজান সব ভুলে গেল নতুন উদ্যোমে আবার নতুনভাবে কিছু করার চিন্তাভাবনা করছিল। তখন ছাইফুল আসলো।
ছাইফুলের নতুন হেয়ারকাট দেখে মনে হল, আরেএ্ আমার মাথায় এই কথাটা আগে আসে নি কেন! আমার তো চেহারাটা আর আগের মত নাই..রোদে পুড়ে কেমন যেন স্পট পড়ে গেছে.. সাথে সাথে সে একটা সানস্ক্রীন লোশন বের করে একগাদা ঢালছে আর মাখছে।
রমজানকে তেলতেলে দেখা যাচ্ছে দেখে
ছাইফুল: দোস্ত কি মাখতাছিস? ওইটা কি রঙ ফর্সা করা কোন ক্রীম? আমাকে ...
রমজান: তোকে কি? যা দেখবি তাইই না! তোর যা চেহারা (তাচ্ছিল্যের হাসি) তাতে আর সানস্ক্রীন মাখা লাগবে না। চুলটুল কেটে স্টাইল কর। (আবার তাচ্ছিল্যের হাসি)
ছাইফুল মন খারাপ করে চলে গেল।
৬
আশকা তুমি কিন্তু এখনও আমাকে বলো নাই আমার লেখাটা তোমার কেমন লাগছে, আশকাদের বাসায় চা খেতে খেতে ছাইফুল বলল।
আশকা: তোমার লেখার থেকে তোমাকে আজকাল অন্যরকম লাগছে, কি ব্যাপার? হুমম..
ছাইফুল: আরে তুমি তো জানই আমি একটু ডিফরেন্ট (গলতে গলতে ছাইফুল বলল)
আশকা: না সত্যিই কেমন যেন...
ছাইফুল: কেন তোমার ভাল লাগে না?!
আশকা: আরে না, তোমাকে কে না পছন্দ করবে! তুমি না খুব cute… আমি তোমাকে...
ছাইফুল: কি? তুমি আমাকে কি?
আশকা: যা বোঝার বুঝে নাও।
ছাইফুল: by the way.... তোমার ফোন নাম্বারটা দাও তো...
আশকা নাম্বার বলল, ছাইফুল মতিন নামে ওই নাম্বারটা সেইভ করল।
আশকা: দ্যাখো আমি তোমাকে বিশ্বাস করে দিছি....তুমি কিন্তু আবার রমজান গ্যাঞ্জাম কে দিও না।
ছাইফুল গদগদ হয়ে একটা কিছু বলতে যাচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে অসহ্য হয়ে ওই ঘরে পিংগুলির মা ভাবী ঢুকলেন।
পিংগুলির মা ভাবী: কি ছাইফুল, তোমার কোনো কাজকাম নাই?! সারাদিন দেখি আমাদের বাসার সামনে...আজকে তো দেখছি ঘরেই এসে গেড়ে বসেছো, সেই তখন থেকে চা্ খাচ্ছ।
এবার মাফ করো, এবার যাও...
না ভাবী ঠিক আছে...খুবই বিনীত গলায় বলে ছাইফুল সালাম দিয়ে চলে গেল। আশকা ওকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিল।
৭
আশকা: এ্যাই বেটি! তুই আমার ফ্রেন্ড ছাইফুলের সাথে ওভাবে কথা বললি কেন!
পিংগুলির মা ভাবী: তো কিভাবে বলবো (রেগে বলল)
আশকা: তুই behave কবে শিখবি?!
পিংগুলির মা ভাবী: তুমি আমাকে তুই তোকারি করছো এটা কি ধরনের behave!
আশকা: কি আমি behave জানি না! দাড়া তোকে behave শেখাচ্ছি বলে... পিংগুলির মাকে দেয়ালের সাথে ধাক্কা মারল।
(এতে রক্তারক্তি তেমন কিছুই হয় নি শুধু পিংগুলির মা ভাবীর কপাল সামান্য ফুলে গেল)
ফোলা কপাল নিয়ে পিংগুলির মা আবার পিংগুলির বাবার সেই ছবির সামনে যেয়ে বলল, দেখলে কিভাবে তোমার বোন আমাকে রক্তাক্ত করল! উহুহু....(কান্না)যে আমি বাপের বাড়িতে কোনদিন একটা প্লেটও ধুয়ে খাই নি সেই আমাকে আজ মার খেতে হচ্ছে...ওগো তুমি আমাকে নিয়ে যাও উহুহু....(কান্না) আবার
৮
আজকে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে রাশেদ স্যার আজকে পাঞ্জাবী পড়ে এসেছেন। ক্লাস নেবার সময় ছ্যাবলা রাশেদ স্যার এমন একটা ভাব করতে থাকলেন যেন উনি কিছুই জানেন না।
এক ছাত্র স্যারের মুড দেখে বলল, স্যার আজকে কোন পড়া হবে না, আজ শুধুই ভালবাসার কথা।
রাশেদ স্যার: না না, আজকে পড়াবো।
২/৩ জন ছাত্র স্যারকে রিকোয়েস্ট করল। স্যার সবাইকে জোরে এ্কটা ঝাড়ি দিল।
আশকা: স্যার প্লিজজ... না করবেন না।
রাশেদ স্যার: ঠিক আছে...তোমরা এত করেই যখন বলছো... আচ্ছা কি বিষয়ে কথা বলব আমরা?
:স্যার, আপনার প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা বলেন
রাশেদ স্যার: আমি খুব নরম মানুষ, আমি কোন দিন প্রেমট্রেম করি নাই।
: স্যার তাহলে একটা গল্প বলেন
রাশেদ স্যার : আচ্ছা একটা জোক বলি........একটা লোক ট্রেনে করে যাচ্ছিল...ট্রেন একটা স্টেশনে থামলে, পাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা ভাই এটা কোন স্টেশন?
লোকটা বলল, এটা রেলস্টেশন (হাহাহাহাহা)
(ছাত্ররা মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।