সুর্যের দিকে হাতের আড়াল নিয়ে তাকিয়ে প্রবালদ্বীপ চোখে পড়ে,
আরো যা আছে তা উড়ুক্কু দৃশ্যমান কিছু পাখি আর
স্যাটেলাইটের কিছু শব্দতরংগ এসে আমার কান ভারী করে তোলে।
পা-য়ের কাছে বিষাক্ত প্রাণী সাপের প্রণামের মত ঢেউশীর্ষ অবনত হয়।
মাস্তুল কিছু দেখতে পাই অতি পুরাতন কালের ডুবে যাওয়া জাহাজের,
জলের অশান্ত উপরিতল থেকে নিজের উর্বর মস্তিস্ক প্রদর্শন করছে যেন।
আমি এগিয়ে গিয়ে ভাসমান জলযানে নিখোঁজ হবার বাসনা রাখি,
পকেটের ছুরি বের করে মাস্তুলের কিছু শ্যাওলা চেছে নিয়ে উপকৃত হই।
দুপায়ের গোড়ালিতে কেউ যেন মুঠি পাকায়,
দুহাতে যেন বড়শির সুতা বাঁধা ছিলো আর যেন তাতে টান পড়লো,
আমাকে নিয়ে সমুদ্রের কোনো পরিকল্পনা আছে,তাই পায়ের কুন্ডুলী আরো দৃঢ় হয়।
বড়শির শিকারেরা আমাকে ডাঙায়
অন্যদিকে সমুদ্রের ব্যক্তিগত ইচ্ছার টানপোড়েনে
আমি নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যাই,
এইসব রেশ হারালো যখন,
তখন আমি তলিয়ে যাচ্ছিলাম সবুজ জলে,
পৃথিবীর প্রাণের উদ্ভবের সেই প্রথম উপাদানটি
আমার হাতে কাকড়ার খোলস দিয়ে দেয়,
একটা তারামাছ মহাবিশ্বের নিভৃত স্হানের সন্ধান দিতে চায়।
আমি কিছু বলতে গিয়েও আমতা করি...
দেহের অধিকার পুনরায় ফিরে এলে
চোখে সুর্যের প্রখরতা বোধহয়,হাতের আড়াল নিই ফের।
(হঠাৎ ২০০১ সালে পড়াশোনা,নাগরিকতা, সবকিছু অর্থহীন বোধ হতে থাকে। সমস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে একদিন পালিয়ে কাধে শুধু গিটারটি ঝুলিয়ে চলে গেলাম সমুদ্রের কাছে,কক্সবাজারে। অন্তত সে প্রতারণা করেনি।
অতীতের সবকিছু ফিকে হতে শুরু করে। সমুদ্রে আমার পলাতক জীবন ছিলো ৮ মাসের কিছু বেশী। স্থনীয় একটি জায়গায় কাজ করতাম,আর সমুদ্রের আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম।
সে সময় একদিন ভাটার সময় গোসল করছিলাম সংগীদের নিয়ে,হঠাৎ তলিয়ে যাচ্ছিলাম ভাটার টানে....মৃত্যুর একটা অনুভুতি,অনেক কাছ থেকে। আজকের আবহাওয়া,বৃস্টি সমুদ্রের কথা মনে করিয়ে দিলো)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।