ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....
অনেক ঘটা করে ঢাক ঢ়োল পিটিয়ে দেশরত্ন (নাকি চাঁদাবাজ) শেখ হাসিনা তার ফুফাত ভাই আরেক দেশরত্ন (পলাতক দুর্নীতিবাজ) আঃহাঃ আব্দুল্লাহর দুতিয়ালি তে সন্ত্রাসী লারমার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেছিল। মনে পড়ে আওয়ামিলীগের সে কি দৌড় ঝাপ, কেউ ঢাকায় যাচ্ছেন তো কেউ পার্বত্য চট্টগ্রাম, কেউবা পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তবর্তী গোপন স্থানে আবার কেউ দৌড়াচ্ছেন দাদার কাছে ডিক্টেশান নিতে।
অবশেষে বিশ হাজার বাঙালীর হন্তারক সন্ত্রাসি লারমাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে রাষ্ট্রিয় অতিথি ভবনে এনে উঞ্চ সংবর্ধনা দেয়া হলো, গৃহপালিত দুই মন্ত্রী নিয়ে গঠিত তথাকথিত আওয়ামি জাতীয় ঐক্যমতের সরকার সন্ত্রাসিদের কাছে দাসখত দিল আর লারমারা ভক্তিতে গদ গদ হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ষ্টেড়িয়ামে হাসিনার পরিচালনায় আত্মসমর্পনের নাটক মঞ্চস্থ করলো কিছু পুরনো অকেজো ভাঙ্গা অস্ত্র জমা দিয়ে, চারিদেকে চাটুকার বুদ্বিজীবি, কবি সাংবাদিকদের সে কি বন্দনা, দেশিকোত্তম, দেশরত্ন ....... আরো কতকি! স্তুতির জোরে মৃত মানুষও স্বপ্ন দেখা শুরু করল ........... মাভৈ মাভৈ । লুটেরা এম পি রা ঢাকায় বসে শান্তির সুবাতাস গায়ে মাখলো।
কিন্তু সরকার কি বিষয়ে সন্ত্রাসী লারমার কাছে দাসখত দিল এদেশবাসী ঘূর্নাক্ষরেও জানতে পারলনা, অতি গোপন চুক্তি - গোপন সমঝোতা, দাদারা জানলো এদেশ বাসী জানলনা এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরের দু'ঘন্টা আগেও না।
পরে জানা গেল সকল বাংলাদেশী এমনকি সন্ত্রাসী লারমারা দেশের যে কোন জায়গায় জমি ক্রয় বিক্রয় করতে পারলেও বাংলাভাষাভাষীরা পার্বত্য অঞ্চলে কোন জায়গা ক্রয় বা বসত বাড়ী করতে পারবেনা, পার্বত্য এলাকার সকল বাঙালি কে অপসারন করতে হবে, পার্বত্য পরিসদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকবে সন্ত্রাসি লারমাদের হাতে, পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত সকল সেনা ক্যাম্প পর্যায় ক্রমে প্রত্যাহার করতে হবে ............ ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে দেশের একদশমাংশ ভুখন্ড় মুল জনগোষ্ঠি দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত হলো।
গত বেশ কিছু ক'বছর যাবৎ সন্ত্রাসী লারমাদের হুমকি ধমকি শোনা যাচ্ছিল, বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের গোলা বারুদ সংগ্রহের খবরও আসছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে পার্বত্য হুমকি- প্রচারনা কোনটাই মিথ্যা না। তারা আবারো সশস্ত্র যুদ্বে লিপ্ত হতে যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত সেনা বাহিনীর হাতে তাদের সন্ত্রাসী আর গোলা বারুদ ধরা পড়ছে, তবে কি আওয়ামি কৃতিত্বের ফাঁফানো বেলুন চুপসে যাচ্ছে?
আমাদের রাম বাম পন্থি দুর্মখ বুদ্বজীবিরা মাঝে মধ্যে মিনমিনিয়ে চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী তোলেন, তারা একথা ভুলেও বলেনা এই অসম চুক্তির রিভিউ হওয়া উচিত, এতে বাংলাদেশের একদশমাংশ ভুমিতে তস্করদের বশ্যতা স্বিকার করা হয়েছে।
দেশের অখন্ড়তার স্বার্থে, জনগনের সমঅধিকারের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরিমার্জন প্রয়োজন, নতুবা শান্তি তো নয়ই দেশের স্বাধিনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখিন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।