কিশোর বয়সের ছেলেরা ( যখন বয়স ১৭ )
আজকের আমি। মানে আমার এখনকার সময়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপ ।
ঘুম থেকে উঠা
সকাল ১১টাঃঘুম থেকে মাত্র উঠা হলো। হাত মুখ না ধুয়েই ঘুম ঘুম চোখেই পিসি ছাড়লাম এবং এক কাপ চা খেলাম দাত ব্রাশ না করেই। তারপর ফেইসবুকের নোটিফিকেশন চেক করলাম।
বেলা ১২টাঃ কলেজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলাম। তারপর বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে কলেজে যাওয়া এবং ১০ মিনিট পর ক্লাসে পদার্পণ।
দুপুর ২.৫০:অনেক তো ক্লাস করলাম। টানা তিনটা ক্লাস করলাম। এইবার কলেজের পিছনের গেট দিয়ে পলায়ন।
বিকাল ৪.৩৫:কলেজ পালিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে বাসায় যাইতেছি।
বিকাল ৫টাঃ বাসায় আসলাম । এসে আবার পিসি ছাড়লাম এবং ফেইসবুক এবং গান ।
সন্ধ্যা ৭টাঃ এলাকার বন্ধুদের কল “কিরে কই? তারাতারি এলাকার মামুর ফুচকার দোকানের সামনে আয়”। আর আমি??
দৌড়।
তারপর আড্ডা , মেয়েদের টিজ করা, এলাকায় ঘোরাঘোরি, কোন বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে মেয়ে আছে কিনা?
তার খোজ খবর নেয়া।
রাত ১০টাঃ আবার পিসি ছাড়া এবং ২০ মিনিটের জন্য বিরতি বাবার বয়ান শোনা এবং খাওয়া দাওয়া করার জন্য।
তারপর রাত ৩.৫০ পর্যন্ত কিংবা কখনো কখনো সারা রাত জেগে ফেইসবুকিং।
১৫ বছর পরে ( বয়স যখন ৩২ )
সকাল ৬টাঃ ঘুম থেকে উঠা। তারপর বাজার করে বউয়ের হাতে বাজার দাও।
তারপর শুকনো রুটি এবং আলুভাজি চাবিয়ে এক কাপ চা ভহ্মন।
সকাল ৮টাঃ বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে অফিসে গমন।
সকাল ৯.১০:প্রতিদিনের মত ১০ মিনিটের লেট । আর বসের ঝাড়ি।
দুপুর ২টাঃ বাসা থেকে আনা ছোট মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে দুপুরের খুদা নিবারন।
বিকাল ৫টা: অফিস শেষ তারপর আবার বাসে স্পাইডারের মত ঝুলে বাসার উদ্দেশে গমন।
সন্ধ্যা ৬.৩০টাঃআধা ঘন্টার রাস্তা ১.৩০ ঘন্টা লাগিয়ে বাসায় ফেরা। ক্লান্ত স্রান্ত মন এবং শরীর।
রাত ৮টাঃ মেয়েটাকে স্কুলের হোমওয়ার্ক করানো।
রাত ১০টাঃ কোনোরকমে রাতের খাবার শেষ করা।
রাত ১১ টা: শোয়ার সময় বউয়ের হাজার অভিযোগ । যেমনঃ (১)মেয়ের স্কুল এবং কোচিংযের বেতন। (২) অনেকদিন ভালোমন্দ খাওয়া হয় না সুতরাং কালকে ভালো বাজার। (৩)ওইদিন মার্কেটে সুন্দর একটা শাড়ি দেখেছি মাত্র ৬ হাজার কিনে দিতে হবে।
(৪) বাসার বুয়া, ডিশের বিল,পত্রিকার বিল দিতে হবে।
ইত্যাদি(আরো লিখতে হলে রাত পার হয়ে যাবে)।
রাত ১২টাঃ অতঃপর জীবনের হিসাব নিকাশ করতে করতে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ঘুমিয়ে পরা।
পাইলটের কথাঃ অবশেষে একটা কথাই কমু ভাই ব্যাচেলর লাইফ+কিশোর জীবন ইজ বেস্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।