আ মা র আ মি
বড় বেলায় সবার একটা করে কোলবালিশ না থাকলেও, ছোট্ট বেলায় সবারই দুপাশে দুইটা কোলবালিশ থাকাটা মনেহ্য় খুব জরুরী। আমারও ছিলো হয়তো বা। যদিও স্মৃতির যতটুকু মনে আছে, তা হাতরে আমি একটার অস্তিত্বই খুঁজে পাই। সে আমার প্রিয় ছোট্ট কোলবালিশ।
ছোট না বলে ছোট্ট বলার পেছনে কারন আছে।
কোলবালিশটা আসলেই অনেক ছোট্ট ছিলো। আমি দিনে দিনে বড় হয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমার জন্মের পর আমার পাশে যে কোলবালিশটাকে শুইয়ে দেয়া হয়েছিলো, অথবা যে কোলবালিশের পাশে আমি শুয়েছিলাম, তাকেই জড়িয়ে ধরে ছিলাম আমার অনেক বয়স পর্যন্ত। মনে আছে, যখন আমার বয়স ১৫, তখনও কোলবালিশটাকে শুধু বুকে ধরে রাখতাম। ওটা আমার বুকজুড়ে ঘুমাতো।
তারপর কোন একদিন, মায়ের উদ্দোগেই সে বালিশটাকে বড় করা হলো, আমি তবুও চিনতাম তাকে।
বড় বালিশটাকেই মমতায় জড়িয়ে ধরে ভাবতাম, এর মাঝেই তো আছে আমার ছোট্ট কোলবালিশটা। তারপর ঘরছাড়া আমি আর খোজ নেইনি তার, আমার ঘরের মতই। আর সবার অলক্ষেই নানা রংয়ের কাপরের নিচে হারিয়ে গেছে তার পরিচয়, আজ চেষ্টা করলেও তারে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রিয় কোলবালিশ, আমি তোরে অনেক ভালোবাসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।