আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা।
বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল শিশুটা ঘুমিয়ে ছিল মায়ের কোলে নিরবে নিভৃতে,
পৃথিবীর সব কলুষটা হতে মুক্তি নিয়ে একাশ্রিত জগতে,
ঘুমপাড়ানি গানের মাঝে হঠাৎ বোমারু বিমান,
জাগতিক বোধ কে ধ্বংস করে আনলো নতুন শ্লোগান,
এ শ্লোগান জাজ্বল্যমান আগুনের ফুলকি ছড়ায়,
জাহান্নামের গরম শীশার দৃশ্য কেবল দেখায়,
ক্রুশবিদ্ধ শহর জুড়ে যান্ত্রিক কোলাহল,
উত্তরঙ্গ শব্দ গুলোয় আছে শিকল পরার ছল।
শিশুর মনে প্রশ্ন জাগে একি রঙ্গলীলা?
আগুন তো ভয়ের আনুষঙ্গ, তবে আগুন নিয়ে কেন খেলা?
সবাই ছুটছে ঘর ছেড়ে ইন্দ্রজাল ছিন্ন করে,
ক্ষিপ্যমাণ আগুনের গোলা হতে নিজেকে বাঁচাতে,
বাতাসে ভেসে আসছে শুধু বুলেটের তীক্ষ্ণ ঘ্রান,
অন্তরালে কাঁদছে মানুষের খর্বিত প্রান,
রাতের আকাশ চমকিত আগুন বর্ষণে,
উৎকণ্ঠায় অবচেতন মন মুক্তির প্রহর গোনে।
অবাক বিস্ময়ে শিশু দেখছে মসজিদের ভেঙ্গে পড়া,
প্রশ্ন জাগছে মনের কোনে বিধাতা কি দেখছে না?
পৃথিবীর কত বর্ষীয়ান নেতা সাম্যের কথা বলে,
ক্ষমতার জোরে সাম্য কি তবে ভেসে গেছে রক্তের জোয়ারে?
মানবতা কি পাওয়া যায় শুধু অভিধানের পাতায় ,
নরপশুর হিংস্রতা তবে কোন মানবতার গল্প শোনায়?
মানুষ মরছে পিঁপড়ার মত অমানুষের পদতলে,
পুরো পৃথিবী হাতগুটিয়ে দেখছে বিস্মিত নয়নে।
ত্রাতারুপী পূর্ণাত্মার দেখা মিলবে কবে?
মনুষ্যত্বহীন মানুষ গুলোর ধ্বংসলীলা কবে শেষ হবে?
যে শিশু জানে না তার অবরু কে বা কারা,
সে কেন মরবে অবলীলায় কোন বিচার ছাড়া?
শিশুর মনের বদ্ধ ঘরে ঘোর অমানিশা
পতঙ্গ রুপী জন্তু গুলো কখন ফেলে আগুনের গোলা,
কবে কাটবে শহর থেকে কোহেলিকার চাদর?
ঘুমন্ত বোধে শিশুর চাই যুদ্ধ নয়, ঘুমপরীদের আদর।
। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।