ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
১৯ শতকে চায়না প্রচুর পরিমাণে আফিম আমদানি করতো বৃটেন থেকে। এ সময়ই চায়না সরকারের বোধোদয় হয় যে, আফিম জিনিসটা তাদের তরুণ সমাজের জন্য ভালো না। তবে সে সময় তারা আফিম আমদানি বন্ধ করতে পারেনি। কারণ বৃটেন সরকার রাজকীয় নৌবাহিনী পাঠিয়ে চায়নাকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আফিম আমদানি চালু রাখতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু এখন তারাই (বৃটেন, আমেরিকা) অনেক রাষ্ট্রকে মাদক উৎপাদন ও পাচারের অভিযোগে হামলা করছে।
আজকের কেস স্টাডি ছিল ইওরোপের একজন গার্মেন্টস সামগ্রী ক্রেতা বা বায়ার মুম্বাইতে পোশাক শিল্প পরিদর্শনে গিয়ে আবিষ্কার করে, শ্রমিকেরা এতোটাই অমানবেতর পরিস্থিতিতে কাজ করছে যে, তা বর্ণনা করার মতো না। কারখানার সিলিং এতো নিচু যে, সেখানে সোজা হয়ে দাড়ানো যায় না। খুব অল্প বেতনে দিনে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়। এমনকি এতো মানুষ এক জায়গায় গিজগিজ করছে যে সেখানে অক্সিজেনেরও অভাব হতে পারে।
তিনি খোজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে, কয়েকদিন আগে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে তিনি যে দামটা আরো কমিয়ে এনেছিলেন তার জের এ শ্রমিকদের ওপর দিয়েই গেছে।
এ পরিস্থিতিতে একজন ম্যানেজার হিসেবে তোমার কি করার আছে? টিচারের প্রশ্ন।
দ্বিতীয় কেস স্টাডি ছিল মিয়ানমারের একজন গ্লাভস প্রস্তুতকারকের উপর। তিনি অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে একটি গ্লাভসের ফ্যাক্টরি তৈরি করেছেন। সেখান থেকে উন্নতমানের গ্লাভস তৈরি হয়। কিন্তু সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ না দেওয়ায় তিনি এগুলো বিক্রি করতে পারছেন না।
তিনি এখন কি করবেন? ঘুস দিবেন নাকি লস দিয়েই ব্যবসা বন্ধ করবেন?
ইউএসএর একটি ফেডারেল আইন (Foreign Corrupt Practices Act of 1977) এ প্রসঙ্গে আজকের আলোচনায় আসে। এ আইনে বাণিজ্যের প্রয়োজনে দেশের বাইরে ঘুষ দেওয়াকে বৈধ বলা হয়েছে। আর বৃটিশদের ইতিহাস তো নতুন করে বলার কিছু নেই। চিন্তা করছিলাম, তাহলে ভালো কে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।