যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
বিগত জোট সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানার ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী । সেই মক্তিশালী ব্যানারটি সবসময়ই নানাভাবে ছিনতাই করার চেষ্টা হয়েছে । ছাত্রদল, ছাত্রলীগ এমন কি বামধারার দলগুলোও সে চেষ্টা করেছে ।
এই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারটিকে ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশী কলংকিত করেছে ছাত্রশিবির । সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্রভূমিতে ছাত্র শিবিরের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এই নিষিদ্ধ দলটি নানাভাবে লুকিয়ে-ছাপিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে । এই মতাদর্শীরা সাধারণ চাত্র-ছাত্রীদের ব্যানার ব্যবহার করে সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলে । এমনটি করেছির জোট সরকারের আমলে ।
সরকারী চাকুরীতে কোঠা বাতিলের আন্দোলন শুরু হয় প্রথমে আর শেষ অবধি এইসব সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানার থেকে শিবির সুযোগ বুঝে বলতে শুরু করে মক্তিযোদ্ধা কোঠা বাতিলের আন্দোলন । কিন্তু প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয় ।
আবার সেই শুয়োরমুখো শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মেনুপুলেট করে শুরু করেছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ব্যানার নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোঠা বাতিলের আন্দোলন । এবার তাদের পাল্টা কোঠা বাতিল বিরোধী আরেকটি ব্যানারে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ করছে । যেহেতু সাধারণ চাত্র-ছাত্রীদের নামে ব্যানার করে কিছু সাধরণ নিরীহ শিক্ষার্থীকে মেনুপুলেট করে তারা বোরখার আড়ালে গিয়ে এই আন্দোলন শুরু করেছে তাই সাধারণ শিক্ষার্থরা কোন সংঘর্ষে কিংবা প্রতিরোধে যায়নি ।
কিন্তু আজ কিছু চিহ্নিত শিবিরকর্মীকে সেই মিছিলে পাওয়া গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই শিবির কর্মীদের ধাওয়া করে এবং মারধোর করে ।
এর আগে শিবিরকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাদের কর্মকান্ড পরিচলনা করতে গেলে াপরাজেয় বাংলায় কানে ধরে জনসম্মুখে মাফ চেয়ে জানে বেচেছিল । কিন্তু এদের কোন লাজ-লজ্জা নেই কানে ধরে তওবা করার পরও এরা নানাভাবে সাধরণদের বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের বৃথা চেষ্টা করে চলছে ।
মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিল চাওয়া কোনভাবে একজন স্বাধীনতা প্রেমিক বাঙালির কাম্য হতে পারে না । আর সেই কোঠা তো কোন চাকুরীর সর্বাংশ নয় ।
মাত্র ১৩% আর বাকি ৮৭ % শতাংশ যোগ্যতা আর মেধায় নির্বাচিত হবে । সেখানে আপত্তি থাকতে পারে যারা রাজাকারের সন্তান তাদের । কিংবা যারা বিষয়টি স্রেফ কোঠা হিসেবে বিবেচনা করছে তারা ।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই এই কোঠা, যা সারা বিশ্বের নানা দেশে বিদ্যমান । শিবিরের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা রুখতে হবে ।
তাই অবশ্যই বুঝতে হবে কারা চায় মুক্তিযোদ্ধা কোঠা বাতিল হোক । মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।