ইমরোজ
হমপগ্রের কথা সবারই জানা। তিনি একজন বিশিষ্ট সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। এবং একজন তুমুল জনপ্রিয় ব্লগার।
কুরবানীর ঈদের দিন তাহার জীবনে এক বিষময় ঘটনা ঘটিয়া গেলো। যাহার জন্য রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত শোক প্রকাশ করিয়াছিলেন।
ঈদের দিন সকালে হমপগ্র তাহার কুরবানীর গরুটিকে ঘুমন্ত দেখিতে পাইলেন। নামাজ থেকে আসিবার পথে নানা ধর্মীয় বাণী ছাড়িতে ছাড়িতে এক কসাই ধরিইয়া আনিতেছিলেন। বলছিলেন, "জানো তো কসাই মিয়া, কুরবানীর ঠিক আগ মূহুর্তে প্রানীটির জীবন আল্লাহ নিয়ে যান, কী শান্তি"। এই আর দু একটা কথা আর কী।
বাসায় আসিয়া কসাইকে ঘুমন্ত গরু দেখাইয়া দিয়ে কাজ শুরু করিতে বলিলেন।
কিন্তু কসাই গরুর গায়ে হাত দিতেই বুঝিলো, এই হালার জান আল্লাহতালা কুরবানীর অনেক আগেই নিয়াছিলেন। তাই তো ঘুমন্ত দেখাইতেছে। খবর গুরুতর। সারা দেশে খবর পরে গেল। এরকম সুশীল সামাজিক জীব হত্যা, থুক্কু সুশীল সামাজিক জীবের কুরবানীর প্রানী হত্যা বলিয়া কথা।
অগত্যা, হেলিকাপ্টারে করে সেনাপ্রধান, প্রধান উপদেষ্টা আসিয়া উপস্থিত। এক গরুর অকাল মৃত্যুতে এতগুলো গরুর আগমন দেখিয়া লোকজন তো চোখ মাথায় তুলিলো। হমপগ্রের পসার দেখিবার যো। ফখরুদ্দিন সাহেব আবার গরুর পেটে হাত দিয়ে কি যেন দেখিতেছিলেন। সেনাপ্রধান তাকে জিজ্ঞেস করিলেন "কী করছেন কী"?
-দেখি স্যার পেটে যদি আরেকটা থাকে তাহলে সেটা দিয়ে...
নাহ পেটে কিছু ছিলোনা এক ঝাক ঘাস ছাড়া।
এরিমধ্যে আসিয়া জুটিলেন নোবেল লরিয়েট ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। তিনিও দুঃখ ভারাক্রান্ত ভাবে মরা গরু দেখিতেছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলিলেন,
-আমি যখন খবর পেলাম, তখন মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি, লুঙ্গি আর গেঞ্জি গায়ে। সেই অবস্থায় খবর শুনে ছুটে এসেছি। লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে...বলেই হাসিতে হাসিতে তিনি গরুর শোক প্রকাশিতেছিলেন।
বুঝা গেল বঙ্গদেশে গরু হত্যা বড় অপরাধ, তবে জবাই করিয়া নহে। বিষ খাওয়াইয়া। জবেহ করিবার আগেই নাকি প্রাণী অগত্যা স্বর্গ পাড়ি দেয়। তাই সেটা হত্যা নহে, উৎসব। যাহোক তারপরে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হইয়াছে।
ধারণা করা যাইতেছে গরুটাকে সামহোয়ার ইন এর কেউ বিষ দিয়া থাকিবে। ধরা সে পড়বেই। সেনাপ্রধানের আশ্বাস বলিয়া কথা। রাষ্ট্রপতি একশোক বার্তায় বলিয়াছেন, "গরু হত্যাটিতে তিনি নিদারুণ মর্মাহত হইয়াছেন"।
(ইহা একটি কাল্পনিক কাহিনী, কারও সাথে মিলিয়া গেলে আমি সত্যিই কাকতাল মনে করিব না)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।