"রাজনীতি মানুষের কাজ, ছাগুদের উচিৎ কাঁঠাল পাতা চিবানো, লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে!"
। । কৈফিয়ৎ নয়। ।
চলে যাবে বলেই বুঝি এসেছিলে!
হারিয়ে যাবে তাই মন অতলে খুঁজেছিলে,
হৃদয় আসনে আসীন ছুড়ে ফেলতেই করেছিলে!
ভুলে যাবে বলে ভালবেসেছিলে?
বৃষ্টিধারা হয়েছিলে পোড়াতে তপ্ত অনলে!
তুমি চন্দ্র, ঘোমটা সরিয়েছ যেতে মেঘ আড়ালে।
শূন্য করতে পথ, পূর্ণতা হয়ে কিছুদূর হেঁটেছিলে ,
থাকবে বুকের বাঁ-পাশটায় পাঁজর এর অতলে।
উড়বেই যদি দিগন্তে স্বপ্ন-মানবী কেন ধরা দিলে?
বিষণ্ণ বিকেলে আমার একটু লালচে আকাশ হয়েছিলে,
ভেড়াতে আমায় শুধু বিষণ্ণ-ধূসর যন্ত্রণা-কাতরের দলে!
পাশে ফিরে পাইনি যে হাত অযথা কেন বাড়ালে,
চলেই যাবে যদি কেন তবে এসেছিলে?
নিকষ আঁধারের নির্জনতায় যদি প্রদীপ হলে,
কেন নিভু নিভু শেষ আশ লুপ্ত করা হাওয়া হলে?
আমিতো হারিয়েই ছিলাম, পীঠ ঠেকিয়ে দেয়ালে,
অযথাই প্রবেশাধিকার-হীন দরজা কোন খুলে দিলে,
ওপারে বিলাপ রেখেছ, মিথ্যে উচ্ছ্বাসে কেন ভাসালে!
সুখ চিনিনি! দিগন্তের কোমলতা তুমিই দেখালে,
যদি বাঁচবেনা সাথে, কেন সঞ্জীবনী পান করালে,
কেন অধরমধু তৃষিতে অকাতর দিলে,
যদি মিথ্যেই হয় সে স্রোতধারা, মোহনা আমার দখলে!
যদি আসবেনা প্রতি মুহূর্তে কেন সময়ে ভাগ বসালে?
হবেনা জানি সে নয়ন দর্শন, আমাতে কেন তাকিয়েছিলে
কেন সে মিষ্টি হেঁসে যাবেনা বলেছিলে সে বিকেলে?
পুষ্প আমার নয় বলনি, কেন শুভ্র কানন দিলে,
যদি সমস্তটা আমার বিসর্জন দেবে ধূসর মৃত ফুলে?
যদি রাখবেনা ধরে, প্রণয়! কেন জড়ালে?
আজ কাঁদিনা আর! অক্ষিময় জলকণা রেখে গিয়েছিলে,
কাতর-শীতার্ত! তৃষ্ণার্ত, বিষণ্ণ পথিকে হারালে,
শত সহস্র পথের ঠিকানা খুঁজে হারিয়ে পাওয়া পথ খেয়ালে
(হারিয়ে) পথিক একা পড়ে পথের শেষে গন্তব্যহীনতার মায়াজালে।
আজ শুধু রয়েছি, অর্ধমৃত আত্মা জাগ্রত দেহকে বলে,
কেন নশ্বর তুমি প্রণয় বালুচরে দিলে মেলে,
হৃদয় এর স্বপ্নডানা! কেন জেনেও, প্রসারণে মৃত্যু পলে
পথ বিষণ্ণ-কণ্টক সম্মুখে শুধু জেনেও দিকভ্রান্ত পথিক হলে!?
নিরুত্তর-নিঃশব্দ-বিষণ্ণ দুঃস্বপ্ন হয়ে সামনে এসে দাঁড়ালে,
আমি নিরুত্তর যদি জিজ্ঞাসে মরি, কেন দূরে চলে গেলে?
চলে যাবে বলেই বুঝি এসেছিলে?
দিতে এক-বুক নীল, কিছু লালচে ভালবাসার ছলে?
আজও রয়েছ, শতাব্দই পূর্বে যেমন ছিলে,
জানি আসবেনা, আলোকবর্ষ পরেও ফিরে এলে,
বলে যেও কেন চলে গেলে,
ছুঁয়ে দিও বুকটা একবার সেই আগের আদলে।
সেদিন প্রাণহীন মৃতদেহ হয়েছি জানলে,
হেঁসো মিষ্টি করে, ভালোবাসো বলে। ।
। । স্বীকারোক্তি। ।
জানি এ শুধুই ছেলেমানুষি ছন্দ মেলাবার চেষ্টা, তবে এর সামান্য বিশেষত্ব রয়েছে।
কিছুটা একান্ত, তবে রয়েছে। কবিতার সংজ্ঞা কি? অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করে, কিন্তু আমার কাছে কবিতা আজও তোমার চোখ, হাসিমুখ আর চুলের মিষ্টি গন্ধ! আমার কাছে কবিতা আজও শিশির ঝরা কোন ভোরে তোমাকে জড়িয়ে খানিক উষ্ণতা খোঁজার ছেলেমানুষি। তুমি কোথায় আছো না জেনেই তোমাকে ভালোবেসে যাওয়ার পাগলামি। আর কবিতাও আমার কাছে পাগলামির আরেক নাম। তোমার জন্য শব্দের পর শব্দ গেঁথে যাই, তুমি পড়ে দেখার সময় পাও না, জানোও না কেউ লেখে তোমার জন্য, তবু লিখে যাই! এটা তো পাগলামীই তাই না? যে দু'একবার সম্বোধনে ধন্য করেছ তার মধ্যে পাগলটাই বেশ মনে পড়ে, হ্যাঁ আমি সত্যিই তাই, তোমার জন্য তাইতো লিখতে বসি অর্থহীন শব্দগুলো! সাজাতে চাই ঘর শব্দ বোনার অজুহাতে।
অলীক হলেও ভালোবাসি বলার চেষ্টাটুকু করেই যাই। কিছু প্রশ্ন উত্তরহীন থেকে যায় তাই ওদেরকে একত্র করার চেষ্টা করি, হয়ত একদিন তোমাকে শোনাতে পারবো হৃদয়ের প্রতিটি উচ্চারণ! হয়ত একদিন তুমি হাসবে আমার চোখে তাকিয়ে আবার! হয়ত কাদবে কবিতার ছেলেমানুষি ছন্দে!
। । স্বপ্নে বাঁচো, স্বপ্নময়ী। ।
তুমি অসম্ভব, মিথ্যে বড্ড বেশী,
যতবার জেনেছি কতোটা দূরে তুমি,
অজান্তে পতিত হয়েছি সত্যে, ভালোবাসি।
যতোটা সুপ্ত হয়েছ হৃদয়ের সমস্তটা ভেদ করে,
প্রতিবাদী হয়েছি বারবার তবু তলিয়েই গেছো,
তোমায় ডাকিনি জ্যোৎস্না-স্নানে যাবো বলে,
বলিনি সঙ্গী হও কোন বৃষ্টিভেজা বিকেলে
হও ভিজে চুপচুপে, শাড়ীর আচল ছড়িয়ে।
বলিনি ঠোঁট তোমার স্পর্শ করেই পূর্ণ হবো,
তবু শূন্যতাকে অস্বীকার করাও অবান্তর!
তোমাকে চেয়েছি প্রতিটি প্রহরে
আর ভেবেছি চিন্তার জঞ্জাল শহরে,
এঁকেছি কতো শতবার কতো বিচিত্র কালিতে,
তুমি তবু সেই অপূর্ব চোখের মিষ্টতা হয়ে রয়েছ,
হৃদয়ের গোপনতম প্রকোষ্ঠে!
তোমার আড়ষ্ট শরীর ছুঁয়ে দেখিনি কোন রাতে,
তবু স্বপ্ন মাঝে তোমার আগমন অবাক করে!
বাস্তবতাকে হার মানিয়ে তোমায় ভালোবেসে যাই,
শুধু হাস্যকর আবেগের বসে,
যাই তোমায় ভালোবেসে।
। ।
কিছু গল্প ছিল কোথাও। ।
আজ রুপকথাদের ছুটি হলো!
নিঃশব্দে বলা শব্দগুলো আরেকটু অর্থহীন,
যন্ত্রণাকাতর হৃদয় ব্যাথার প্রচন্ডতায় আরেকটু নির্বিকার,
আর স্ফীত হাঁসির বিস্তৃতি পুরনো সে কারণেই বারবার!
সে লুকোনোর প্রচেষ্টা ! সেই রাতভর হাহাকার,
সে চলমান অনন্তে প্রানন্ত প্রচেষ্টা অন্ত খোঁজার!
এ আবেগহীন বেদনার কারণ অজানাই থেকে যাক,
এ রক্তধারার গন্তব্য তুমি জেনো তবু।
জোনাকির আলো
চাঁদের শুভ্রতার বলি,
চাওনি জানি, দেইনি সেসব শুধু অস্তিত্ব স্ব!
তোমাতে করে বিসর্জন হতে চেয়েছি নিঃস্ব!
মাঠের ওপাশে মেঘটুকুর স্পর্ধার মতো করে
হয়ত ছুঁতে চেয়েছি কোন বিকেলে,
তাতে নেই আক্ষেপ এতোটুকু!
নেই লজ্জাবোধ, কৃতজ্ঞতা!
একটি যতি দেবার তরে লিখছি,
সে সব হিসেবের বিশৃঙ্খলায়।
অবচেতনের গোধূলি চেতনে জেগেছে অবশেষে!
ত্যাগ করে সবটুকু নিঃশেষে,
এখন যাবার বেলা...
ঘনিয়েছে বাহারী মেলা!
বিসর্জনে মহান হবার প্রত্যাশা!
আজ আমার ছুটি হলো, ফুলগুলোর
কিছু পথচলার,
কিছু হাঁসি, একান্ত কান্নার
বিদায় দেবার ছিল!
কিছুটা কষ্টের,
ছুটি হলো আজ,
ওরা ছুটি নিলো আজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।