অত্যন্ত প্রখর চিন্তাবিদ ছিলেন তিনি। উপমহাদেশে মওদুদীবাদী, জামাতী
মতবাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ট হক্কানী আলেম। একজন আধ্যাত্মিক
মহাপুরুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসীম শক্তির অধিকারী।
তাঁর পবিত্র আত্মা চিরশান্তি লাভ করুক।
============================================
দৈনিক সমকাল / ১৭ জানুয়ারী ২০০৮, বৃহস্পতিবার
------------------------------------
সিলেটের ফুলতলীর পীর আর নেই
সিলেট ব্যুরো
------------------------------------
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ সিলেটের ‘ফুলতলীর পীর’ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল লতিফ চৌধুরী আর নেই।
১৫ জানুয়ারী ২০০৮ মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে তিনি সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটে তার নিজ বাসভবনে ইণ্তেকাল করেন (ইন্না... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে ৭ পুত্র ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সিলেটজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
বুধবার তার জানাজায় অংশ নিতে ভক্ত-অনুরাগীসহ হাজার হাজার মানুষ জকিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। বিকেল সোয়া ৪টায় জকিগঞ্জের মনসুরপুরী হাওরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ফুলতলী গ্রামে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন তারই বড় ছেলে মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
মাওলানা আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ১৯১৩ সালে জকিগঞ্জের ফুলতলী গ্রামে সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম মাওলানা আব্দুল মজিদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন ওলিকুল শিরোমণি হজরত শাহজালাল (রহঃ) এর অন্যতম সঙ্গী হজরত শাহ কামালের বংশধর। কর্মজীবনের প্রারম্ভে তিনি ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বদরপুর আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাওলানা আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন।
ব্রিটিশবিরোধী তথা উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সত্রিক্রয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি ছাত্র সংগঠন আঞ্জুমানে তালামীষে ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।