ইমরোজ
একজন আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলো, "ইমরোজ, বেনজিরের মৃত্যুতে এত চুপচাপ কেন? উনি কি এতই আনইম্পোর্টেন্ট আপনার কাছে, কিছুই লিখলেন না"?
মনে পড়ছে বেনজরিরকে নিয়ে আমি ২১ সে অক্টোবর ২০০৭ সালে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। "যাবার সময় চোর, আর ফেরার সময়ে অক্সফোর্ড আর হাভার্ড গ্রেজুয়েট" এই শিরোনামে।
বেনজিরকে মূল্যায়ন করার আগে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছিলাম। মনোমহন সিং, হামিদ কারজাই, ফখরুদ্দিন আহমেদ, সবার দায়-সাড়া শোক বার্তা শুনছিলাম। ভাল- লাগছিলো না।
কারণ পাকিস্তানকে যথেষ্টই ঘৃণা করি, কিন্তু বেনজির যেন ছিলেন গোবরে পদ্মফুলের মতই। '৭১ সালে তাঁর বাংলাদেশ বিরোধী ক্যাম্পেইনের কথা জানতাম, তবুও তাকে দোষ দিতে পারি না, কারণ বাপের বিরুদ্ধে কেউ কি যেতে চায়, বা পারে? তবুও যাওয়া উচিত ছিলো বলেই আমি মনে করি। কারণ তার বাবা সঠিক ছিলেন না, ইয়াহিয়া নীতির ব্যাপারে। সেটা অন্য প্রসংগ।
মি. বুশ যখন তাঁর পেঁচার মত মুখ-খানা টিভির সামনে এনে এমন ভাবে ভাষণ দিলেন যেন বেনজিরের সাথে না জানি তাঁর কত সখ্যতা ছিলো।
তখন মেজাজ টা আরও খারাপ হলো। তিনি যেন কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিচ্ছিলেন। বললেন, "বেনজির জানতেন তার জীবনের হুমকি আছে, এই সেই হেন তেন..."
আপনি জানতেন না মি. বুশ? পার্ভেজ মুশাররফকে প্রেসিডেন্ট বানাইছেন, জানতেন তখন তিনি যে সেনাবাহিনী প্রধান? হিপোক্রেট কথাকার। পাকিস্তানের অবস্থার জন্য আপনার করার কিছুই ছিলো না? নাকি নতুন করে আল-কায়দা কে ফায়দা লুটার ব্যবস্থা করে দিলেন?
পাকিস্তানে কিছু হলেই, আমেরিকা এফ বি আই, সি আই এ পাঠাতে উদ্দত হয়। একবার তো সেনাবাহিনী পাঠাতে চাইছিলেন।
কেন? বেনজিরের উপর প্রথম হামলার পর আপনার "সো কল্ড কন্সার্ন" কই গ্যাছিলো মি. বুশ? পারলেন না তাঁর নিরাপত্তা দিতে? আপনে না সারা দুনিয়া শাসন করেন? বেনজির যখন গাড়িতে উঠছিলেন, আসে-পাশে নিরাপত্তা কর্মি কই ছিলো? তারা জলজ্যান্ত একটা একে-৪৭ আলা মানুষকে সামনে দেখলেন না?
মোশাররফ তাঁকে আগেও মারার চেষ্টা করেছেন। প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর গাড়ি বহরে প্রথম হামলা চালায় আই এস আই (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা)। আর তাঁর মরার পর তিন দিনের শোক ঘোষনা হাস্যকর, উপহাস ছাড়া আর কিছুই না। কাকে কি বলি, পাকিস্তান একটা বর্বর দেশ। তা ১৯৭১ সাল থেকে আজ অবধি প্রমাণ করে আসছে।
যিনি গণতন্ত্র চাইবেন তাকেই খুন করা এদের সহজাত নেশা এবং পেশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।