আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
আজকের দিনটা কেমন? জানি না!
সকালে মৃদু শীত, গাছের মগডালে ঝিমায় কাকেরা। এই হালকা শীতের মাঝেও সবাই ছুটছে নিতান্ত অনিচ্ছায় যার যার কাজের পানে। তবুও কিছু কিছু উদাস লোক দাড়িয়ে আছে কিছু একটা অপেক্ষায়! যাত্রাবাড়ীর মোড়ে মুখে আধাপাকা একটা লোক চোখে চশমা, বয়সের দাগ মুখে স্পস্ট, কপালে লেগেছে সিজদার দাগ। কেন যেন দাড়িয়ে আছে?
এক মহিলা তার বয়সও অনেক।
সে কাদছে মীরপুরে বুদ্ধিজীবি শহিদ মীনারে দাড়িয়ে, গায়ে বহুদিন পর পড়েছে রঙ্গীন শাড়ী। এত দিন পড়তে মন চায়নি, যখনি বিয়ের শাড়ীটার দিকে তাকাতো চোখ ভিজে আসতো নিজের অজান্তে। কেউ দেখলে বোঝায় চোখে সমস্যা! আসলেই সমস্যা, মনের চোখটায় বড়ই সমস্যা!
কিছু কিছু সুসজ্জিত গাড়ীবহর অতিথিকে নিয়ে ঢুকলো বিশাল আড়ম্বরে। অতীথি শুয়ে আছেন, মনে হয় সে বেশ ক্লান্ত, বড় ক্লান্ত। যাত্রাবাড়ীর লোকটা যখন তাকে দেখলো, তখন তার চোখটাও ভিজে আসলো।
যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছে তার চোখটাও ভিজে আসলো। অতীথি সে দিকে তাকালো না, মনে হলো তার অভিমান তাকে অনেক উচুতে নিয়ে গেছে। প্রচুর সম্মান দেয়া হলো। শহরের কিছু লোক অপেক্ষা করছে তার জন্য।
কিছু দিন আগে র্যাংগস বিল্ডিং এ কিছু মানুষ মরে পচতে চলছে।
দেশের প্রক্তন চালকেরা আজ বিচারের আশায় ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। দক্ষিণান্ঞ্চলের অনাহারে থাকা মানুষের জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। সামনে একটা কঠিন সময়। কিন্তু আজকের সকালটা অন্য রকম। কারন এক ভাই আজ অশ্রু ফেলবে বুক ভরা অভিমান নিয়ে, মনে তার হাজারো প্রশ্ন চারিদিকে নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়বে।
এক স্ত্রী বহুদিন পর তার স্বামীর আগমনে চড়িয়েছে রঙ্গীন শাড়ী তার চোখেও অশ্রু, তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন। শহরের সবচেয়ে অলস ছেলেটা উদাস মনে বসে থাকতো যে সারাদিন তার চোখেও আজ জল, মনে একটা প্রশ্ন।
অতীথি আর কেউ নয় আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। তার মনে কোনো প্রশ্ন নেই, আছে অভিমান। তবুও মনে একটা প্রশান্তী: বাড়ী এসেছে সে।
কিন্তু অভিমান নিয়ে সে শুয়ে থাকবে, কারো সাথে কথা নয়।
জাতী হিসেবে আমরা শুধু ভালোবাসতে পারি, জল ফেলতে পারি কিন্তু কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না, তার অভিমানও ভাঙাতেও পারি না। শুধু দেখতে পারি কিছু যুদ্ধপরাধীরা হাতে ফুল নিয়ে তার কবরে যাবে ফুল দিতে।
ইস, তার মতো সাহস থাকলে বুকে মাইন বেধে যদি তাদের গাড়ীর নীচে পড়তে পারতাম, তাহলে বোধ হয় আমি এ লজ্জা থেকে মুক্তি পেতাম! আল্লাহ রহম করো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।