আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুদের হাতে আগুন কিংবা লোহা দিতে হয়না আর পাগল সাকোঁ নাড়িস না, বলতে হয়না!!

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াচ্ছে ? শিক্ষকদের কি শিক্ষা দিতে চায় 'তারাঁ'!!?!! জানিনা । জানি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন সম্মানিত শিক্ষককে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে সম্মানিত আদালত । সম্মানিত আদালত , সম্মানিত শিক্ষকদের কারাদণ্ড দেবার আগে কি একবারো ভেবেছে কেন আদালত সরকারের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে ?? নাকি হরলিক্স এর মতন কোনদিন আমাদের শুনতে হবে সবাই তো ব্যবহৃত তাই আমিও ।

তাহলে সেটা ঠিক হবেনা । কেননা আমরা এখন এই শব্দটাকে ব্যবহারের আগে সম্মানিত লিখি । এভাবে কারো জন্য ব্যবহৃত হলে তাদের সামনে থেকেও এই সম্মানিত শব্দটা সরে যাবে , বিলুপ্ত হবে । যেমন অনেক শব্দ এখন তার আগে এই বিশেষণটা আর পায়না । শিক্ষক, সবসময়ই সম্মানিত শিক্ষক (তিনি দল করুক , কিংবা বেশ্যাই হোক) ।

তাকে অসম্মানিত করলে ব্যাক্তি শিক্ষক অপমানিত হননা । অপমানিত হয় সেই জাতি , রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থা । অবশ্য যদি আপনি শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড মনে করেন । হাতের ডাণ্ডা কিন্তু মেরুদণ্ড নয়, মেরুদণ্ড হচ্ছে আপনাকে যে দণ্ডটা মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে রাখে । অবশ্য আমরা দেশের স্বার্থে জনগণের নিরপত্তার জন্য কিছু মানুষের কাছ থেকে মেরুদণ্ডটা কেড়ে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেই ।

সেই মানুষগুলোর এই মেরুদ্ণ্ডহীনতাকে খাটো করবেন না । বরং তাদের দেশের স্বার্থে এমন ত্যাগকে আমাদের সাধুবাদ জানানো উচিত। সভ্যতার কাছে সবসময়ই কিছু মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবে সবকিছু ত্যাগ করে সভ্যতাকে এগিয়ে নেয় । যেমন রাজাবাদশাহদের আমলে রাজকন্যা কিংবা রাণীদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষাকারী পুরুষদের একটি বিশেষ দণ্ড উৎসর্গ করে তাদের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত হতো । এমনকি তাদের কথা বলার শক্তি কে বিনাশ করা হতো জিহ্বা কেটে দিয়ে যেন রাজ্যের গোপনীয়তা প্রকাশিত না হয় ।

সভ্যতার পালাবদলে দেশকে , রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য সভ্যতা তৈরী করেছে এমন কিছু রক্ষী নিয়োজিত করে যাদের মেরুদণ্ড উৎসর্গ করে তারা সেই কাজে যোগ দেয় । শুধু তাই নয় তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্র মর্গেজে রখে দেয় মেধা-মনন-বুদ্ধি-মানবিকতা । তাদের এই আত্মত্যাগ সভ্যতা নিশ্চয়ই মনে রাখবে । কিন্তু রোবট সবসময়ই আপনার বাধ্যনুগত থাকেনা । ডিজ অর্ডার হলেই শেষ ।

মানুষের হাতেই ফ্রাংকেস্টাইন জন্ম হয় । সেই মেরদণ্ড ত্যাগী , মেধা-মনন-বুদ্ধি-মানবিকতা রাষ্ট্র এর মর্গেজে রাখা মানুষ গুলো অনেক সময়ই ফ্রাংকেস্টাইন হয়ে ওঠে । তাদেরও রাজ্য পরিচালনা শখ হয় । কিন্তু সেই মেরুদণ্ডহীন, মেধা-মনন-বুদ্ধি-মানবিকতাহীন ফ্রাংকেস্টাইনদের কাছে রাষ্ট্রের নিরপত্তার ভার দেয়া যায় কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ভার দেয়া যায় না । বোকা ফ্রাংকেস্টাইনদের বোঝেনা কেন তাদের কাছ থেকে মানুষ কিছু জিনিস রেখে দেয় ।

তাদের পক্ষে কতোটুকু কৃষ্টি-সৃজনশীলতা সম্ভব ?? তাদের তৈরী করা হয়ে রাষ্ট্রের নিরপত্তা রক্ষার জন্য , রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নয় । তাই রাষ্ট্রে এতো শ্রেণীর মানুষ, সবার জন্য সব কিছু নয় , সবার সবকিছু জানার কিংবা পারার দরকার হয়না । যেমন শিশুদের হাতে আগুন কিংবা লোহা দিতে হয়না আর পাগলকে সাকোঁ না নাড়ানোর কথা বলতে হয়না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.