নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
জেলা সরকারি উকিল হানিফ খান জিজ্ঞেস করলেন "নভেম্বর ২০০৭ এর ৩ তারিখ শনিবার সকাল ৮টার সময় আপনি এয়ারপোর্টের ফাস্টফুডের দোকানের পিছন দিকের বুথে বসে কফি পান করছিলেন"।
খুনের প্রত্যড়্গদর্শী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া রেজাউল করিম বললেন, ‘হাঁ আমি তাই করছিলাম’
‘এবং আপনি আপনার মাত্র পাঁচ ফুট দূরের বুথে ছুরিকাহত হয়ে মরতে এক ব্যক্তিকে দেখেননি। ’
‘না দেখিনি, কারন আমি ঐদিনের সংবাদপত্র পড়ায় ব্যসত্ম ছিলাম’।
‘দোকানের ক্যাশিয়ার আপনাকে মনে রেখেছে। আপনি খুব ব্যসত্মতা দেখাচ্ছিলেন তখন, আপনি ২০ টাকা বিলের জন্য ৫০ টাকার নোট দিয়েছিলেন তাকে এবং বাকি ৩০ টাকা ফেরত নেবার জন্য অপেড়্গা করেননি আপনি’।
‘আমার পেস্নন ধরার তাড়া ছিল’।
‘আপনি সময় সমন্ধে সচেতন ছিলেন, কিন্তু তবু আপনি পরের বুথেই বুকে ছুরিবিদ্ধ মৃত ব্যক্তিকে খেয়াল করেননি’।
‘আমি হয়তো দেখেছিলাম তাকে, কিন্তু আমি সরাসরি তার দিকে তাকাইনি’।
‘আপনি কি এটাও শোনেননি যে, সে বার্গার আর কফির অর্ডার দিয়েছিল’।
‘হয়তো শুনেছি, কিন্তু আমার মনে নাই।
আমি তখন ব্যসত্ম ছিলাম সংবাদপত্রের শেয়ারবাজারের খবর পড়ায়। আমারও সেখানে কিছু শেয়ার আছে কিনা’।
‘২ মিনিট পর আমি ব্যবসা-বাণিজ্যের খবর পড়ছিলাম। সেখানে সামনের বছরে ব্যবসার প্রকৃতি কোথায় যেতে পারে সে সমন্ধে বেশ বড় একটি ফিচার ছিল। আমি সেটি পড়ার পর খেয়াল করলাম, ২ মিনিটেরও কম সময় আছে চট্রগ্রামের পেস্নন ধরার জন্য’।
কোর্টের পিছনের দিকে বসা পুলিশের গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর রায়হান চৌধুরী একটু এগিয়ে এসে ইন্সপেক্টর এস হায়দারকে ফিসফিসিয়ে বললেন ‘যদিও এই ব্যক্তিটি নিজে খুনের জন্য অভিযুক্ত না, তবুও সে সরাসরি মিথ্যা বলে কোর্টের মিথ্যা না বলার শপথ ভঙ্গ করেছে’।
প্রশ্ন: কিভাবে বুঝলেন রেজাউল করিম মিথ্যা বলছেন।
(জহির উদ্দিন পাটওয়ারী, ইত্তেফাক থেকে সংগ্রহ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।