আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতীরা চতেল কনে?সমস্যা কি ???



দৈনিক সমকাল: হঠাৎ খোলস খুলেছে জামায়াত। আ¯ম্ফালন শুরু করেছেন জামায়াতে ইসলামী নেতারা। মুক্তিযু™েব্দর বিরোধিতাকারী এই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা এখন রীতিমতো দল্ফে¢াক্তি করছেন। স্ট^াধীনতা যু™ব্দ এবং মুক্তিযো™ব্দাদের সমালোচনা করছেন ১৯৭১-এ যেভাবে করতেন ঠিক সেভাবেই। সভা-সেমিনারের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিচ্ছেন।

এসবের কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন মুক্তিযু™েব্দর পক্ষের শক্তিসহ রাজনৈতিক বিশেèষকরা। তাদের মহৃল্যায়ন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল কিংবা অনাকাগ্ধিক্ষত পরিবেশ সৃ®িদ্বর অপচে®দ্বার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী পুরনো খোলস খুলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশকে পাকিস্টøানের ভাবধারায় নিয়ে যেতে চাইছে। গত ১১ জানুয়ারি ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃÍ^াধীন বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ গ্রহণের পর জামায়াতে ইসলামী নেতারা বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধান শরিক বিএনপি নেতারা গ্রেফতার হতে থাকলে জামায়াতে ইসলামী নেতারা গণহারে আͧগোপনে যান।

এরপর কয়েক মাস তারা চুপচাপ ছিলেন। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পরও কোনো মšøব্য কিংবা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সংলাপে গিয়ে প্রথমবারের মতো নিজেদের অস্টিøÍ^ প্রমাণের ইঙ্গিত দেন সংগঠনের সেত্রেক্রটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাল্ফ§দ মুজাহিদ। দেশে যু™ব্দাপরাধী নেই বলে মšøব্য করেন তিনি। এরপর থেকে দেশজুড়ে এ নিয়ে বিতর্ক ওঠে।

আকস্টি§কভাবে এ ধরনের মšøব্য করায় নড়েচড়ে বসেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগসহ স্ট^াধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলো এর কারণ খুঁজতে থাকে। তখনই যু™ব্দাপরাধী বিতর্ক উসকে দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেত্রেক্রটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্কèা। ৩০ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের স্ট§রণসভায় গিয়ে তিনি ‘কেউ সুন্দরী নারীর লোভে, কেউ ভারতীয় স্ট^ার্থে মুক্তিযু™েব্দ গেছে’ বলে আপত্তিকর মšøব্য করেন। এ নিয়ে তার বিরু™েব্দ রা®দ্ব্রদ্রোহ মামলাও হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী ঘরানার বু™িব্দজীবী ড. শাহ আবদুল হাল্পুানও কম যাননি। সাবেক এই সচিব মুক্তিযু™ব্দকে গৃহযু™েব্দর সঙ্গে তুলনা করে মুক্তিযো™ব্দাদের খাটো করার চে®দ্বা চালান। জামায়াতে ইসলামী নেতাদের এ ধরনের আপত্তিকর বক্তব্যের পর নেতিবাচক প্রতিত্রিক্রয়া দেখা দিলে তারা আবার হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে যান। তবে এখন তারা নতুন কৌশলে এগুচ্ছেন। দলীয় সমর্থকদের নিয়ে গড়া সংগঠনগুলোর মাধ্যমে মুক্তিযু™েব্দর বিরোধিতা করা হচ্ছে।

সোমবার ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম অব বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে মুক্তিযু™ব্দকে ভারত ও পাকিস্টøানের মধ্যকার যু™ব্দ হিসেবে অভিহিত করার মতো দুঃসাহস দেখানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর এমন ভূমিকায় অবাক হয়েছেন অনেকে। এর পেছনের কারণও অনুসল্পব্দান করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেèষকদের দৃ®িদ্বতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়বড়ে অবস্ট’ানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে আছে। এ কারণেই বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও সা¤ক্স্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামীর পরীক্ষিত বল্পব্দু সংগঠন বিএনপি নেতাদের ধরপাকড় করা হলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। এই দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরু™েব্দ দুটি মামলা থাকলেও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। দু’দফায় বিদেশ সফর করে এসেছেন। গ্রেফতার হননি। অথচ মামলা থাকার অজুহাত তুলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গত জুন মাসে আমেরিকা সফরে যেতে দেওয়া হয়নি।

ওই সময়ে তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সšøানসল্ফ¢বা ছিলেন। তা ছাড়া মামলার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক দুই প্রধানমšúী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। কিন্তু নিজামী নিরাপদে আছেন। এ অবস্ট’ায় যু™ব্দাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রবল হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির বেশির ভাগ নেতা যু™ব্দাপরাধীদের বিচার চাইছেন।

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের শুরুর দিকে নির্বাচন কমিশন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার পক্ষে অভিমত দিলেও পরে জনমত বুঝতে পেরে সরে এসেছে। জাসদের (ইনু) সঙ্গে সংলাপ হওয়ার পর গত ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ¯ক্স®দ্ব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ৪ নভেল্ফ^র সংলাপে গিয়ে এক ধাপ এগিয়ে যু™ব্দাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে। ধর্মভিত্তিক ও স্ট^াধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল নিবল্পব্দন না করার সুপারিশ করেছে। প্রধান উপদে®দ্বা ড. ফখরুদ্দীন আহমদও আইনি প্রত্রিক্রয়ায় যু™ব্দাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার পরামর্শ দিয়েছেন।

৩১ অক্টোবর স¤ক্সাদকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য সংক্ষুব্ধদের প্রতি আহ্বান জানান। সংক্ষুব্ধরা অবশ্য এর সঙ্গে একমত হননি। তারা রা®দ্ব্রীয়ভাবে যু™ব্দাপরাধীদের বিচারের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকারসহ মুক্তিযু™েব্দর সেক্টর কমান্ডার লে. জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলী বীরউত্তম, মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউল্কèাহ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল (অব.) সিআর দত্ত বীরউত্তম, লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান বীরউত্তম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এবং লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীও রা®দ্ব্রীয় পর্যায়ে যু™ব্দাপরাধীদের বিচারের পক্ষে। তবে তথ্য উপদে®দ্বা ব্যারি¯দ্বার মইনুল হোসেন যু™ব্দাপরাধীদের বিচার দাবি করায় অসšেøাষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি ১১ অক্টোবর যু™ব্দাপরাধীদের বিচার না করার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তার দাবির সঙ্গে একমত নন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা যু™ব্দাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তথ্য উপদে®দ্বাকেও অভিযুক্ত করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্টø সোমবার বলেন, যু™ব্দাপরাধীদের বিচার না করার দায় এড়াতে পারেন না তথ্য উপদে®দ্বা। তিনি ১৯৭৩ সালে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে ভোট দেওয়া এমপিদের একজন।

ওই সময়ে তিনিও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অংশ ছিলেন। সুতরাং কেন অজুহাত তোলা হবে? আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী সমকালকে জানান, নতুন করে আগ্রাসী ভহৃমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশজুড়ে ধহৃম্রজাল সৃ®িদ্বর অপচে®দ্বা চালাচ্ছে। ওই অপশক্তি বাংলাদেশে অপরাধ করেছে। নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে। মানবতার বিরু™েব্দ অপরাধ করেছে।

তিনি যু™ব্দাপরাধীদের বিচার দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগ নরঘাতক যু™ব্দাপরাধীদের কখনোই ক্ষমা করেনি। সপরিবারে বঙ্গবল্পব্দু হত্যাকা-ের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান যু™ব্দাপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করেছেন। ওই ব্যক্তিই যু™ব্দাপরাধীদের আ¯ম্ফালন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানান, বিশৃগ্ধখলার জন্য যু™ব্দাপরাধীদের বিচারের ইস্যু তোলা হচ্ছে বলে মšøব্য করেছেন একজন উপদে®দ্বা। তিনি ৩৬ বছরে যারা যু™ব্দাপরাধীদের বিচার করেনি, তাদের বিচারের কথাও বলেছেন।

এ অবস্ট’ায় জামায়াতে ইসলামী খুঁটির জোরে দল্ফে¢াক্তি করবে, এটাই স্ট^াভাবিক। মেননের বিশেèষণ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমšúী খালেদা জিয়াসহ মšúীদের অনেকেই কারাগারে আছেন। অথচ ওই সরকারের প্রধানতম শরিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা যারা মšúী ছিলেন, তাদের বিরু™েব্দ কোনো ব্যবস্ট’া নেওয়া হচ্ছে না। তিনি এই রহস্যের কারণ জানতে চান। জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর অভিমত, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিশ্চিত বিপদের মুখে পড়েছে বলেই জামায়াতে ইসলামী নেতারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচে®দ্বা চালাচ্ছেন।

তারা ধর্মকে কেন্দ্র করে আগামী দিনগুলোতে আরো উস্ট‹ানি দেবেন। কিন্তু তাতে জনগণ বিভ্রাšø হবে না। শাস্টিø তাদের পেতেই হবে। ইনুর দৃ®িদ্বতে, ওয়ান ইলেভেনের পরিবর্তনের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নয়। তা ছাড়া তাদের প্রধান মিত্রশক্তি বিএনপি রাজনৈতিক বিপদে পড়েছে।

ওই দলটি ভাঙছে। বর্তমান প্রশাসনও অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামীবাল্পব্দব নয়। তাই বিপদে পড়ে পুরনো খোলস খুলতে শুরু করেছে। সিপিবি সাধারণ স¤ক্সাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের বিশেèষণ, জামায়াতে ইসলামীর নেতিবাচক ভহৃমিকা হঠাৎ নয়। তারা ঘাপটি মেরে ছিল।

মুক্তিযু™ব্দবিরোধী এই অপশক্তি আবারো প্রমাণ করেছে, তারা পুরনো অপকর্মের কিছুই ভোলেনি। এরা নব্য পাকিস্টøান প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্টøানের ভাবধারায় ফিরে যেতে চাইছে। রাজনৈতিক বিশেèষকদের অভিমত, যু™ব্দাপরাধীদের বিরু™েব্দ পুরো জাতি ঐকমত্য হয়ে আছে। এই ইস্যুকে পুরনো জঞ্জাল হিসেবে চিহিক্রত করে ঠুনকো অজুহাত দাঁড় করালে চলবে না। যু™ব্দাপরাধীদের বিচার করতে হবে।

তবেই গণতšú নিরাপদ হবে। নইলে তাদের আ¯ম্ফালন বাড়তেই থাকবে। গণতšú, সার্বভৌমÍ^ ও স্ট^াধীনতাসহ পুরো অস্টিøÍ^ই হুমকির মুখে পড়বে। তা ছাড়া সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা গেলে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের কেন গ্রেফতার করা যাবে না?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.