তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান বুধবার সাংবাদিকদের জানান, তারা খোকনের বিষয়ে তদন্ত শেষ করেছেন এবং বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তদন্ত সংস্থার সহ সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, জাহিদ হোসেন খোকন একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী হয়ে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন।
এই বিএনপি নেতা বর্তমানে পলাতক বলেও জানান তিনি।
তদন্ত সংস্থা বলছে, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে খোকন জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকায় প্রচার চালান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান এবং নগরকান্দা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি হন।
২০১১ সালে তিনি নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জানান।
তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন রায় ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে তিনি ৭৮ জনের জবানবন্দি নেন।
এ মামলায় মোট ৫০ জনকে সাক্ষী করা হচ্ছে বলে সানাউল হক জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।