বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
আর কে নারায়ণের সঙ্গে আমার একমাত্র সাক্ষাতটি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তখন তার বয়স নব্বইয়ের কাছাকাছি। কয়েক বছর আগে টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর তিনি ইন্টারভিউ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। খুব সম্ভবত এটিই তার সর্বশেষ ইন্টারভিউ।
বৃহত্তম সুইডিশ ডেইলি আফটনব্লাডেটের জন্য আমি তার একটি প্রোফাইল তৈরি করেছিলাম।
তখন সৌভাগ্যক্রমে কালচারাল এডিটর সম্প্রতি ইনডিয়া ভ্রমণ করে এসেছিলেন এবং ইনডিয়া তাকে মোহিত করে ফেলেছিল। তাই তিনি খুব আনন্দের সঙ্গেই আমার পরামর্শ গ্রহণ করলেন। নারায়ণ সম্পর্কে একটি আর্টিকল তৈরি করতে আমার ওপর দায়িত্ব দেন তিনি। নারায়ণ মোটেও সুইডিশদের কাছে পুরোপুরি অপরিচিত ছিলেন না। ঘটনাক্রমে তার সঙ্গে ১৯৫০ সালে মুভি স্টার গ্রেটা গার্বোর নিউ ইয়র্কে দেখা হয়েছিল।
গ্রেটা গার্বো বেদন্ত সমাজ সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী ছিলেন। নারায়ণ তাকে গায়ত্রী মার্ত্রা সম্পর্কে বলেন। সে অবশ্য ট্রান্সমেনডেন্টাল মেডিটেশনের চেষ্টা করে। নারায়ণ আমেরিকায় তার ট্রাভেল ডায়রিতে গার্বোর কথা উল্লেখ করেছিলেন। গার্বো তাকে একটি সিগারেট সেধে ছিলেন।
সুইডিশ ভাষায় প্রথম প্রকাশিত নারায়ণের বই ছিল ‘দি ইংলিশ টিচার’। এটি ছিল কবি আর্টুর লাঙ্কভিস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ার্ল্ড লিটারেচার প্রজেক্টের অংশ। লাঙ্কভিস্ট ফেডেরিকো গার্সিয়া লোরকা, পাবলো নেরুদা এবং অক্টাভিও পাজের বইয়ের অনুবাদক। পরের দু'জন পরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। ১৯৬৮ সালে তিনি সুইডিশ একাডেমিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
একাডেমিটি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের বাছাই করে। এ সত্ত্বেও লাঙ্কভিস্টের বাকি জীবনে কোনো ইনডিয়ান লেখককে ওই পুরস্কার দেয়া হয়নি। তিনি ১৯৯১ সালে মারা যান।
অনুবাদ : একরামুল হক শামীম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।