বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুরাকামির লেখার ধরন পাল্টে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল তিনি জাপানের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরতদের নিয়ে লিখেছেন। ১৯৮০ সালের দিকে জাপানের অর্থনৈতিক নানা অবস্থার বিরুদ্ধে লিখেছেন। সমাজের বাধা, বিপত্তি, নানা সমস্যা নিয়ে তিনি লিখেছেন। এসব ব্যাপার নিয়ে মুরাকামি বলেন, প্রতি ক্ষেত্রেই আমার গল্পের ধরন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।
আমি মনে করি, কোনো গল্প হচ্ছে সমাজের জন্য এক প্রকার রোল মডেলের মতো। এটিই যে কোনো ফিকশনের শক্তি।
মুরাকামি সব সময়ই একজন অতিপ্রজ। গেল সাত বছরে তিনি অনেক কিছুই করেছেন। তিনি ছোটগল্পের অনুবাদ করেছেন, ছোটদের বই লিখেছেন, ভ্রমণ কাহিনী রচনা, শর্ট নভেল এবং দুটি নন-ফিকশন লিখেছেন।
সাত বছরের মধ্যে মুরাকামি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য উপন্যাস লিখেছেন কাফকা অন দি শোর। এতে সফোকিস-এর ইডিপাস রেক্স-এর পটভূমি রয়েছে। উপন্যাসটিতে কাফকা তামুরা নামে ১৫ বছর বয়সী এক বালকের জীবন কাহিনী অঙ্কিত হয়েছে। বালকটি জীবনের অর্থ খুজতে টোকিওর রাস্তা জুড়ে ঘুরে বেড়ায়। সে একটি অসুখী পরিবার থেকে উঠে আসা।
চার বছর বয়সে বালকটির মা এবং বড় বোন তাকে রেখে চলে যায়। তার বাবা ছিলেন নামকরা ভাস্কর। তিনি তার ছেলেকে শিগগিরই পারিপার্শ্বিকতায় অভিজ্ঞ করে তোলেন এবং তারপর মারা যান। উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কিছু সমালোচক এতে অ্যান্টি-ফেমিনিজম এবং অকারণ যৌন দৃশ্য আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
আবার কেউ কেউ একে জাপানের উত্তাল সময়ের ফিলোসফিকাল রোমন্থন হিসেবে ভাবছেন।
বিদেশের মাটিতে মুরাকামির খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাইওয়ানের একটি সংবাদপত্র সম্প্রতি মন্তব্য করেছে, হয়তো তার মুখ জাপানের ব্যাংক নোটে স্থান পাবে। যেমনটা পেয়েছিল ঔপন্যাসিক নাৎসিউম সোসেকি । সম্প্রতি হারুকি মুরাকামি সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ফ্রাঞ্জ কাফকা লিটারেরি প্রাইজ পেয়েছেন।
এ প্রাইজটি গতবার পেয়েছিলেন নোবেল জয়ী হ্যারল্ড পিন্টার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।