বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
যুদ্ধ, সহিংসতা, জাতীয়তাবাদ, টিনএজার, ওয়ার্ল্ড কাপ, লেখক, রাজনীতিবিদসহ সবকিছুই হারুকি মুরাকামির বিষয়। জাপানের সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি ক্রমেই শক্ত একটি অবস্থানে আবির্ভূত হতে চলেছেন। চালু পথে না হেটে তিনি হেটেছেন একটু ভিন্ন পথে। তাই তার বলা এবং লেখায় রয়েছে ভিন্নতার স্বাদ। পারিপার্শ্বিক সবকিছু মনোযোগ দিয়ে দেখেশুনে তিনি তা লেখায় চিত্রিত করেছেন।
আমেরিকান ঔপন্যাসিক জে ম্যাকইনারনির মন্তব্য হলো, মুরাকামি ভেতর ও বাইরের সমকালীন কমন সমস্যাগুলো অনুভব করতে পেরেছেন।
গীতি ফিকশনের স্টাইলের জন্য পূর্ব এশিয়ায় তার সাহিত্যগুলো মুরাকামিস চিলড্রেন নামে পরিচিতি পেয়েছে। শুধু জাপান নয়, দক্ষিণ কোরিয়ায়ও তার বইগুলো প্রায়ই বেস্টসেলার তালিকায় থাকে। এ পর্যন্ত তার ৫০টি বই অন্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণ কাহিনী, রচনা এবং সাক্ষাতকার।
মুরাকামির বই পাঠকদের মধ্যে তাদের সমকালীন জাপানিজদের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অনুভূতি তৈরি করে। এমনটাই বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার চুং ইউক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জাপানিজ লিটারেচার বিষয়ের প্রফেসর নুরিকো কায়ানুমা । তিনি আরো বলেন, অন্যরা এটুকু বুঝতে পারে যে, জাপানের তরুণদের তাদেরই মতো একই অনুভূতি, চিন্তা এবং সমস্যা বয়ে বেড়াতে হয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জাপানিজ লিটারেচারের প্রফেসর জে রুবিন সম্প্রতি হারুকি মুরাকামির জীবনী লিখেছেন। তিনি বলেন, তার কণ্ঠ কি আমাদের এই সময়ের কণ্ঠ? কে জানে? তবে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের প্রতিক্রিয়া বিচার করে এটুকু বলা যায়, তার কাজের মধ্যে এমন মহান একটি গুণ রয়েছে যা তার সাহিত্যকে জীবন্ত করে তোলে।
হারুকি মুরাকামি ১৯৪৯ সালের ১২ জানুয়ারি জাপানের সাবেক রাজধানী কিয়োটোতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তারপর তার পরিবার ওসাকা এবং কোবেতে চলে যায়। মুরাকামির পরিবারে শক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চল ছিল। ছোটবেলা থেকেই সেই পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। মুরাকামি বলেন, আমার পিতামাতা আমাকে সব সময়ই জাপানের সাহিত্য নিয়ে বলতেন।
আমি এটি পছন্দ করতাম। আমি বিদেশি সাহিত্য পড়তাম। বেশির ভাগই ১৯ শতাব্দীর ইওরোপিয়ান লেখকদের বই। এর মধ্যে রয়েছেন চেকভ, দস্তয়েভস্কি ফ্লবেয়ার ,ডিকেন্স। তারা ছিল আমার প্রিয় লেখক।
ডিটেকটিভ স্টোরি, সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করতাম। কার্ট ভোন্নিগাট রিচার্ড ব্রটিগান ,ট্রুম্যান কাপোটের বই পড়েছি। তারপর আমি ইংরেজি চর্চা শুরু করি। সেই বইগুলো আমি ইংরেজিতে পড়া শুরু করলাম। এটি আমার জন্য ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা ছিল।
আমার কাছে অন্য বিশ্বের দরজা খুলে দিয়েছিল। এছাড়া আমি যখন ছোট ছিলাম আমি একটি ট্রানজিস্টর রেডিও পেয়েছিলাম। সেটিতে এলভিস, দি বিচ বয়, দি বিটলসের গান শুনতাম। খুবই আকর্ষণীয় ছিল ব্যাপারটি। সেগুলো আমার জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।