আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন রকম মাছের ল্যাগুন আছে। চমতকার একটি দেখার মত জিনিস এটি। অনেক রকমের নাম জানা, না জানা মাছের সমাহার আছে এই অ্যাকুয়ারিয়ামটিতে। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, অনেক প্রজাতির জেলিফিস এবং আরো অনেক রকমের সুন্দর সুন্দর মাছ আছে, যা বলে শেষ করা যাবে না। সেসব মাছের অনেক ছবি তুললাম।
তারপর গেলাম ডলফিন ল্যাগুনে ডলফিনের খেলা দেখতে। ওহ, অপুর্ব লাগল ডলফিনের খেলা। পুরোটা সময় অনেক এনজয় করলাম। অনেক ছবিও তুললাম ডলফিনের খেলার।
এরপর মনোরেলে চড়ে আরেক ষ্টেশনে গেলাম এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক সিংহের মূর্তির সাথে অনেক ছবি তুললাম।
জায়গাটা খুবই সুন্দর। আশেপাশে অনেক ফুলের গাছ আছে। সেগুলোতেও ছবি তুললাম। এরপর সিঙ্গাপুর ইমেজ সেন্টারে গেলাম এবং সেখানেও ছবি তুললাম। স্কাই টাওয়ারে চড়ে অনেক উপর থেকে ভ্রমণ করে আসলাম।
উপর থেকে সেন্টোসার অনেক ছবিও তুললাম। ওটার পরে লুগি রাইডেও চড়ি। এটাও প্রায় আগেরটার মতই। নীচ থেকে উপর, উপর থেকে নীচে ভ্রমণ শেষে একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে করি।
এরপর আসি সেন্টোসার মূল আকর্ষন অর্থাত সংস অব দ্যা সী দেখার জন্য।
ও ভাল কথা, এখানে এসেই আমি প্রথমে এটার টিকিট কেটে রাখি। কারণ পরে আর নাও পাওয়া যেতে পারে এজন্য। আপনারাও আগে এখানে এসে এটার টিকিট কেটে রাখবেন।
১ম শো শুরু হয় রাত ৭.৪৫-এ। এক্সিলেন্ট একটা ইভেন্ট এটা।
দেখতে দেখতে শুধু আমি নই, সবাই বিমোহিত হয়ে গেছি। এনিমেশন এবং স্পেশাল ইফেক্টের মাধ্যমে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে, বর্ণনার বাইরে। সরাসরি না দেখলে আসলে কিছুই অনুভব করা যায় না। দু:খের বিষয় হচ্ছে, আগের রাতে ব্যাটারী চার্জ দেয়ার পরও এটি শুরু হওয়ার অল্প আগে চার্জ ফুরিয়ে যায়। ফলে এটার কিছুই ভিডিও করতে পারিনি।
বড় একটা আফসোস থেকে গেল। আপনাদের কাছে অনুরোধ, সিঙ্গাপুর আসলে অবশ্যই সেন্টোসা ঘুরে দেখবেন এবং বিশেষ করে সংস অব দ্যা সী শো'টা মিস করবেন না।
পরদিন সকালে মুস্তাফা সেন্টার থেকে কিছু কেনাকাটা করে দুপুরে বাসে রওনা দিই এবং সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া এসে(কুয়ালালামপুর) পৌছায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।