যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
প্রবাসীদের জন্যে দেশের যে কোন খবরই গুরুত্বপূর্ন।
বিশেষ করে গত বছর যখন বিএনপি জামাত জোট একটা পাঁতানো নির্বাচনের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছিলো - সেই সময় আমরা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম - দেশটাকে কি কখনও একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে না?
বিশেষ করে ২৮শে অকক্টোরের ঘটনা ছিল ভাবার মতো।
পুলিশের সুস্পস্ঠ নিষ্ক্রিয়তা আর জোটের বড় দলের রহস্যজনক আচরন জামাতের কর্মীদের জন্যে একটা ভয়াবহ পরিনতি সৃষ্টি করেছিলো।
আমরা পাচ্ছিলাম পরষ্পর বিরোধী খবর। একদল বলছে - জামাতের কর্মীদের শুধু শুধু পিঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরেকদল বলছে - জামাতের কর্মীরাই প্রথম শুরু করেছে। এরা বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে প্রথম গুলি বর্ষন করে। সিএনএন এবং বিবিসিতে একটা ফুটেজ দেখানো হয়েছে - যাতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক পিস্তল উচিয়ে গুলি বর্ষন করছে।
পরে ডেইলি স্টার থেকে একটা ছবি পেয়ে সেইভ করে রেখেছিলাম।
নতুন সরকার আসলো।
আশা করেছিলাম - পুরো ঘটনাটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার না করে একটা সুস্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল সত্য বেড়িয়ে আসবে। মানুষ স্বস্তি পাবে এই দেখে যে - আসল অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে।
কি দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে - শিবিরের মৃত দেহগুলো নিয়ে জামাতের সমর্থকদের যতটা দু:খ পেতে দেখেছি - তার চাইতে বেশী রাজনীতি করতে দেখলাম। আজ পর্যন্ত একটা পোস্টও দেখলাম না - যা প্রমান করে যে জামাত শিবির সত্যই ঘটনার বিচার চায়।
এর কারন কি?
একটু নিরপেক্ষ তদন্ত কি আসলে থলের বিড়াল বের করে দেবে?
যেমন ধরা যাক - ছবির যুবকটা।
তাকে খুঁজে বের করা এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা কি সত্যই কঠিন কাজ?
কে এই যুবককে আড়াল করে রেখেছে? কি তার পরিচয়? কেন সেই দিন এই যুবক লক্ষ জনতার ভিতরে গুলি বর্ষন করে একটা ভয়াবহ পরিনতির জন্ম দিয়েছিলো?
জানেন কি কেউ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।