রুমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকাল ৪.০০টায় বের হই সিঙ্গাপুর জু দেখতে। ৪.৩০টা থেকে ৬.৩০টা পর্যন্ত ঘুরে বিভিন্ন রকমের জীবজন্তু দেখি ও তাদের ছবি তুলি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকমের জীবজন্তু এখানে আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সাদা বাঘ। এর আগে আমি কখনও সাদা বাঘ দেখিনি।
খুবই সুন্দর দেখতে এই বাঘগুলো। সম্পূর্ণ সাদার মধ্যে কালো ডোরাকাটা দেখতে অপুর্ব লাগছিল। এছাড়া কুমির, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, জিরাফ, হাতী, বিভিন্ন ধরনের সাপ এবং আরো অনেক প্রজাতির জীবজন্তু জু'তে আছে। সেখান থেকে বের হয়ে এসে মুস্তাফা সেন্টারে ঢু মারলাম মোবাইলের জন্য। কিন্তু একটা দোকান হওয়ায় দাম অনেক বেশী।
কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে একটা বাংলাদেশী হোটেলে দুই রকমের ভাজি আর চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে রুমে এসে দে ঘুম।
পরের দিন সকালে গেলাম বার্ড পার্ক দেখতে। বার্ড পার্কে যে কত রকমের পাখি আছে তা না দেখলে বোঝা যায় না। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকমের পাখি এখানে এনে রাখা হয়েছে। অনেক পাখি আছে যেগুলোর নামও কোনদিন শুনিনি, দেখা তো দূরের কথা।
এখানে সুন্দর একটা ওয়াটার ফল আছে। বিভিন্ন রকমের পাখির অনেক ছবি তুললাম। ঘুরে ঘুরে যখন ক্লান্ত হয়ে যাই তখন প্যানারোল (এক ধরনের ট্রেন) -এ চড়ে জিরিয়ে নিই। তারপর আবার নতুন উদ্যোমে শুরু করি পাখি দেখা ও ছবি তোলা। একা হওয়ার কারণে অন্যান্যদের জালিয়ে মেরেছি।
সামনে দিয়ে যেই গিয়েছে, তাকে দিয়েই ছবি তুলায়ে নিয়েছি। দুপুর ১.৩০টা পর্যন্ত বার্ড পার্ক ঘুরে ওখানকার কেএফসি-তে খেয়ে হোটেলে ফিরে আসি।
ছবি: ১ম ৬টি ছবি জু'এর।
২য় ৬টি ছবি বার্ড পার্কের।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।