"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে। "
"(হে নবী,) তুমি বলো, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসো, তাহলে আমার কথা মেনে চলো, তাহলে আল্লাহ তায়ালাও তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তিনি তোমাদের গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন; ..."
(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ৩১)
"... তোমাদের মাঝে যদি কোনো ব্যাপারে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়, তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার জন্যে) আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, ..."
(সূরা আন নেসাঃ আয়াত ৫৯)
"এটা হচ্ছে আমার (দেখানো) সহজ সরল পথ, অতএব একমাত্র এ পথেরই তোমরা অনুসরণ করো, কখনো ভিন্ন পথ অবলম্বন করো না, কেননা (ভিন্ন পথ অবলম্বন করলে) তা তোমাদের তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে ..."
(সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৫৩)
আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন কিছু প্রবর্তন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে - কোন ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের নির্দেশ বহির্ভুত কোন কাজ করলে তা প্রত্যাখ্যাত।
জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বক্তৃতা দিতেন তখন তাঁর চোখ দু'টি লাল হয়ে যেতো, তাঁর কণ্ঠস্বর বড় হয়ে যেত এবং তাঁর রাগ বৃদ্ধি পেত, যেন তিনি কোন সেনাবাহিনীকে সতর্ক করছেন।
তিনি বলতেন, আল্লাহ তোমাদের সকাল-সন্ধ্যায় ভালো রাখুন। তিনি আরও বলতেন, আমাকে কিয়ামতসহ এভাবে পাঠানো হয়েছে। এ কথা বলে তিনি তাঁর মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুল মিশাতেন। তিনি আরও বলতেন, অতঃপর সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথ। (দ্বীনের ব্যাপারে) নতুন বিষয়গুলো (অর্থাৎ নতুন বিষয় সৃষ্টি করা) সবচেয়ে খারাপ এবং সব বিদ্আতই ভ্রান্তি।
তারপর তিনি বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার নিজের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি কোন সম্পদ রেখে যায় তা তার পরিবারবর্গের জন্য। আর যে ব্যক্তি কোন ঋণ অথবা অসহায় সন্তান রেখে যায় তার দায়িত্ব আমারই উপর। (মুসলিম)
আবু নাজীহ ইর্বায ইবনে সারিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্বালাময়ী ভাষায় আমাদের উপদেশ দিলেন।
এতে আমাদের সকলের মন গলে গেলো এবং চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে লাগল। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! এটা তো বিদায়ী উপদেশের মত। কাজেই আমাদের আরও উপদেশ দিন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহকে ভয় করার জন্য তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি। আর তোমাদের উপর হাব্শী গোলাম শাসনকর্তা নিযুক্ত হলেও তার কথা শুনার ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি।
আর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এ সুন্নাতকে খুব মজবুতভাবে আকড়ে ধর এবং সমস্ত অবৈধ বিষয় থেকে বিরত থাক। কেননা প্রতিটি "বিদআত"ই পথভ্রষ্টতা। (আবু দাঊদ ও তিরমিযী)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।