হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের বড় পাঠকদের জন্য প্রচুর কিশোর সাহিত্য উপহার দিসেন। আর তা এতই সফলভাবে যে, হুমায়ুনকে বুঝতে অনায়াসে জেমস জয়েস থেইকা কামু, কাফকা ক্রিটিকের মাথায় চইলা আসেন। তা অনেকটাই ক্রিটিকের জ্ঞান আর ডিজায়ারের প্রেসার। আর ক্রিটিকের এ্রই আতলামির লগে হুমায়ূনরে নোবেল দেওনের আব্দার জানায়া তাঁর পাঠকদের মানববন্ধনের (অথবা অনলাইন ক্যাম্পেইন অথবা সাক্ষরাভিযান) অগাধ সম্পর্ক আছে বইলা মনে করি। সেইহেতু, হুমায়ূনও ওই ক্রিটিকের আতলামি লেবেলের সাহিত্যিক না আর তার নাদান পাঠকদের মানবন্ধনও তারে তাই নোবেল আইনা দেয় না।
ভাগ্য ভালো যে, এই দাবিতে হেরা হরতাল ডাকেন নাই। অনেকে আবার স্মার্টনেস দেখাইতে প্রথমেই হুমায়ুন আহমেদকে অধিক গুরুত্ব দিয়া ফ্যাশন জাহির করতেছেন, দেখি।
আমি যে ধরণের সাহিত্য চিন্তা রাজনীতি খুঁজতে খুঁজতে আজকে যেসব লেখকের ভোক্তা তার ভিতর হুমায়ুন আহমেদ নাই। তিনি একজন কিশোর সাহিত্যিকের মর্যাদা লইয়া আমার কাছে বাইচা থাকবেন।
কিশোর সাহিত্য পড়া দরকার হয় না অনেকদিন, মনই চায় না।
আমি, মামারা, স্মার্টনেসমুক্ত হবার পায়তাড়ায় আনস্মার্ট, খ্যাত পরিমণ্ডলে ঘুরাফিরা করি।
হুমায়ুন তৎকালীন কলকাতামুখী ঢাকার বাংলা সাহিত্য দুনিয়ায় বাংলাদেশের গদ্য সাহিত্যের একটা মেইনস্ট্রিম স্ট্যান্ডার্ড তৈরি কইরা দিসেন। গত দুই দশক ধইরা স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন বাংলা ভাষার সাহিত্যিকরা যেই মহান ভাষা আন্দোলন চালায়া যাইতেছেন, তাতে ভাষা সৈনিকের মর্যাদার মাঠে হুমায়ুন আহমেদরে সেনাপতি বানায়া দেয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সেইটা লাগবো না দুইটা কারণে। কারণ, তাঁর সেইটা দরকার নাই।
অপরটা হইল, কিশোর সাহিত্য বড়দের জন্য লিখা গেলেও বড়দের যুদ্ধে কিশোরদের ব্যবহার করা যায় না, লিগ্যালি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।