জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।
আমি চুজী না। কিন্তু, আমি মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি।
ছোটবেলা যখন উঠোনে আচার রোদে দেয়া হতো, তখন মায়ের হাজারও নিষেধেও কাজ হতো না। মা চোখের আড়াল হতেই চুপি চুপি আচারে হাত চলে যেত।
হিসাবটা খুব সোজা ছিল--আমি চাই, তাই নিব।
অথচ এখন... কতগুলো ভ্যারিয়েবলের জন্ম হয়েছে।
একটা সামান্য ঘটনাকে অসংখ্য ছোট ছোট কম্পোনেন্টে বিভক্ত করে ফেলা শিখে গিয়েছি।
যেটা সরল অংক হতে পারতো সেই ছোটবেলার মত, সেখানেই অসংখ্য হিসাব জমে যায়। দ্বিমাত্রিক, ত্রিমাত্রিক, চতুর্মাত্রিক, পঞ্চমাত্রিক ছাড়িয়ে ডাইমেনশনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে, চক্রবৃদ্ধি হারে।
সবগুলোর আলাদা করে হিসাব কষতে হয়।
অংকের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু অংকে পারদর্শীতা বাড়ে নি। তাই হিসাব মিলে না কিছুতেই। সবগুলো মাত্রা কখনই এক বিন্দুতে ছেদ করে না।
আমি গিজগিজে অংক ভরা কাগুজে খাতা ছিঁড়ে ফেলি, ব্যর্থতা দীর্ঘশ্বাসে ঢেকে।
অংক যখন মিলবে না, তখন সে অংক কষা শুরু করায় নিজেকে কষে চড় দিতে ইচ্ছা হয়। এত লোভ কিসের? জোর করে টেনে সব কিছুকে এক বিন্দুতে মিলানোর সাহস পেতে ইচ্ছা করে খুব...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।