যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
বাংলাদেশের সংবিধানে যখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, যেখানে বিশ্বের সকল উন্নত দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন...সেখানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আটকে রাখা হয়েছিল। কারা লাভবান ছিল? নিশ্চিত ভাবে প্রশাসন ক্যাডার। এরা গাছেটাও খাচ্ছিল - তলারটাও কুড়াচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টরে চাপে সরকার যখন বিচার বিভাগের পৃথকীকরন শেষ করে আনছে - তখন প্রশাসন ক্যাডার একটা সভা করে তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সেটা তারা করেছে অবৈধ ভাবে।
একটা মাফিয়া চক্রের মতো সরকারের ভিতরে থেকে সরকারকে চাপ দিয়ে বিব্রত করার প্রচেষ্টা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন - ফরহাদ মাজহার।
তার বক্তব্য দেখুন -
"বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানে শুধু পৃথককরণ নয়, এর অর্থ জণগণ যাতে সুবিচার পায় তারও ব্যবস্থা করা। কিš' এখানে পৃথককরণের নামে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তা প্রতারণা মাত্র। রাষ্ট্র অখণ্ড, এখানে বিচার বিভাগ এককভাবে স্বাধীন থাকতে পারে না।
পৃথককরণের বিষয়টি মানা গেলেও এর স্বাধীনতার বিষয়টি মানা যায় না। ফরহাদ মজহার বলেন, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত র্কাকর করা ঠিক হবে না। এটা সাংবিধানিক প্রশ্ন। সুতরাং সংসদই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নিলে দেশ আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে তিনি মত দেন।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তরা বলেন, বিচার বিভাগকে এতোটা স্বাধীনতা দিলে তা অকার্যকর হয়ে পড়বে। এর ফলে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হবে। " (দৈনিক আমাদের সময়)
"আমি ব্যক্তিগতভাবে বিচার বিভাগের কোন স্বাধীনতা বিশ্বাস করিনা। " - (দৈনিক সমকাল)
প্রশাসন ক্যাডারের সমাবেশে গিয়ে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে উসকানী দিয়ে কি উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চাচ্ছেন - এই বুদ্ধিজীবি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।