আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি “টেলিভিশন”, ডেকে এনে এরকম নিম্নমানের ছিনেমা দিয়ে মানুষকে ঠকানোর কোনও মানে আছে কি????

কিছুদিন আগেও মানুষ বাংলা সিনেমার নাম শুনলে নাক শিটকাত, কিন্তু এখন মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখে। আর যখন বাংলা সিনেমা তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আস্তে আস্তে ফিরে পেতে শুরু করেছে তখনি আমরা হাতে পেলাম “টেলিভিশন” এর মত লোক ঠকান একটি নিম্নমানের ছবি। যেটা মানুষকে ডেকে এনে প্রতারিত করল। আমি সিনেমা বিশারধ নই তবে বাংলা সিনেমার প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আছে সেই দায়বদ্ধতা থেকেই “টেলিভিশন” সিনেমাটি নিয়ে কিছু লেখা দরকার মনে করছি। “টেলিভিশন” সিনেমাটি প্রথম যে বাজে কাজটি করেছে সেটা হল ইসলামকে রীতিমত ছোট করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ ছিনেমাটিতে আঞ্চলিচ ভাষা ব্যাবহারের কারণে এর অধিকাংশ কথাই বোধগম্য নয়। সিনেমাটিতে কাহিনীতেও লজিক ছাড়া অনেক ঘটনা দেখানো হয়েছে। সিনেমাটিতে একজন ধর্মান্ধ চেয়ারম্যানের দ্বারা তার গ্রামে টেলিভিশন নিষিদ্ধ। মজার ব্যাপার হল যে গ্রামে আজ পর্যন্ত কোনও মানুষ টিভিই দেখেনি সেখানে চেয়ারম্যানের ছেলে তার গ্রামেরই প্রেমিকার সাথে স্ক্যাইপ চ্যাট করে। চেয়ারম্যান হজ্জে যেতে গিয়ে আদম ব্যবসাইদের প্রতারনার শিকার হন অথচ বর্তমানে হজ্জের জন্য বিদেশ গমন বিষয়ে মানুষকে প্রতারনার থেকে বাঁচিয়ে সঠিক পদ্ধতি জানানোর দায়িত্ব চেয়ারম্যানের উপরেই থাকে।

সব থেকে বড় অসঙ্গতি হল ধর্মান্ধতার জন্য চেয়ারম্যান কোনও দিন ছবি তুলেননি অথচ ছবি না তুলে কিভাবে ২০১৩ সালে চেয়ারম্যান হওয়া যায় সেটা ছিনেমার পরিচালক, লেখকরাই ভাল বলতে পারবেন। আমাদের জন্য সব থেকে দুঃখের হল আমরা যতই কথা বলি না কেন এত নিম্নমানের ছিনেমা হলেও এটি হয়ত অনেক বাহবা পাবে কারণ বর্তমানে ধর্মকে পিষ্ট করে কিছু একটা করলেই সেটা দেশের ছিনেমাপ্রেমি সাধারন মানুষের কাছে কদর না পেলেও সমালোচকদের মন ঠিকই ভরে দেয় আর দেশের বাইরের পুরষ্কারতো একটাও হাতছাড়া হয়না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.