বাংলা ভাষায় 'ক্ষালন' আর 'স্খালন' শব্দের প্রয়োগ নিয়েও রয়েছে বিপত্তি। বিপত্তির কারণ আর কিছু নয়, ধ্বনিসাম্যের কারণে শব্দ দুটিকে একই অর্থে ব্যবহার করা নিয়ে। ক্ষালন শব্দের মূল অর্থ শোধন, ধৌতকরণ। কিন্তু মূল অর্থে এটার ব্যবহার কম। আলংকারিক অর্থ মোচন।
শব্দটি এখন মোচন অর্থেই ব্যবহৃত হয়। সোজা কথায়, ক্ষালন শব্দটি এখন মোচনের ঘাড়ে চলে বাংলা ভাষার ভিসা বাগিয়ে নিয়েছে।
অন্যদিকে স্খালন শব্দের অর্থ পাতন, অপসারণ, বিদূরিতকরণ। ক্ষালন আর স্খালন মোটেও এক চিজ নয়। কিন্তু ভাষা-সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে ক্ষালন আর স্খালন এখন একাকার।
হয়তো খেয়ালের ভুলে। কিন্তু তা যে চালু হয়ে গেছে!
ক্ষালনের ব্যবহার : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'গোরা' উপন্যাসে লিখেছেন, 'কিন্তু ভুলিয়া গেছি বলিলে ললিতার কাছে অপরাধ ক্ষালন হয় না'।
অন্যদিকে 'অমঙ্গলের উৎপত্তি' প্রবন্ধে রামেন্দুসুন্দর ত্রিবেদী লিখেছেন, 'মানুষের পাপ ক্ষালনের জন্য অমঙ্গলের উৎপত্তি'।
স্খলনের ব্যবহার : অশোক মিত্র তার 'সমাজ সংস্থা আশা নিরাশা' প্রবন্ধে লিখেছেন, 'অপরাধ বোধের মধ্য দিয়ে খানিকটা পাপ-স্খালনের সুযোগ মেলে'।
সোমেন্দ্রনাথ বসু তার 'রামমোহন ও বিরোধী আলোচনা'য় লিখেছেন, 'প্রায়শ্চিত্ত করার দ্বারা যে কোনো অপরাধের স্খালন হয়ে যায়'।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।