যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
আসলে প্রতিটা কবিতটাই খুব ব্যক্তিগত কবিতা। তবে এই কবিতাটা যখন লিখছি তখন ইংরেজি নিয়মে আমার জন্মদিবস শুরু হয়ে গেছে। বন্ধু /পরিচিতরা ফোনে শুভেচ্ছা জানানোও শুরু করেছেন।
জন্মদিবস হওয়াতে কবিতার মধ্যে কোন বিশেষত্ব যুক্ত হয় বলে আমি মনে করিনা কখনোই। হয়ত উপলব্ধি আর পরিবর্তনের ক্ষণকে চিহ্নিত করা যায় অনেকটা। প্রথমে ভাবছিলাম কবিতাটা কখনোই ব্লগে দেবনা। কেননা এটা এক ধরণের আত্মপরায়ণতাকে সামনে আনে। যদিও আমি মনে করিনা আমি আত্মপরায়ণ নই, তবুও ইচ্ছে করছিল না।
ঢাকায় ফিরে ব্লগে ঢুকে বাকী বিল্লাহ এবং কালপুরুষ দার জন্মদিনের অনবদ্য শুভেচ্ছা চোখে পড়ল, এবং বুঝতে পারলাম যে এতটা যোগ্য বোধহয় আমি এখনো হয়ে উঠিনি। এরপর কৌশিক সহ অনেক বন্ধুই এটাকে আমার কবিতার নতুন মোড় বলে মনে করছেন। আমি তাই পাঠকের হাতেই তুলে দিচ্ছি এর বিচারের ভার। সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রস্তাব
প্রস্তাবটা জটিল নয় মোটেও
গঠনেও বেশ স্পষ্ট,
এমনকি এর ভাষিক রীতি নিয়েও যদি কথা ওঠে
সেক্ষেত্রে প্রথম বিচারেই উৎরে যাবে,
যদিও ঠিক এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না এমন কোন সম্ভাবনা
যেটাকে আমি ভাবতে পারি একান্ত আমার
অদ্ভুত!!
কি হল, নিশ্চুপ আছ যে;
আমার প্রস্তাব কি তোমাকে আহত করেছে
কোন কূটিল ষড়যন্ত্রের আভাস কি দানা বাঁধছে
তোমার বুকে
একটা শংকিত উৎকন্ঠা কি থেমে থেমে বেজে চলতে শুরু করেছে
খুব ভেতরে?
ঘড়ির কাঁটার মত টিক টিক টিক.....
অনেকটা আমার মতই........
একদম দুশ্চিন্তা কোরোনা
নিশ্চিত জেনো
মানব-শরীর, সর্ম্পকের চাইতেও পচনশীল
একবার কাদায় ডুবে গেলে, আমি গলে যাব খুব দ্রুত
ফলে প্রমাণের দেউরিতে মাথাকুটে মরলেও
কেউ খুঁজে পাবেনা আধখানা আঙ্গুলের ছাপ
আর কেইবা খুঁজবে বল
মাছ আর ব্যাকটেরিয়া খেয়ে ফেলবে সবটুকু এ্যালিবাই
আসলে তোমার শংকিত হবার মত কোনকিছুই ঘটবেনা,
ভয় পেয়না.......
এখানে কেউ আসবে না
এখানে কারো আসা যাওয়া নেই....................
দেখ, ঘটনাটা এত নিখুঁত হবে যে
আমাদের পাশে বসে থাকা ডাহুকটা
আরেকবার ডেকে ওঠার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে
কষ্টকরে অর্জিত অর্থ নিয়ে তুমি নিশ্চিন্তে ফিরে যেতে পারবে আপন গৃহে
নিজের সন্তান আর প্রিয় মানুষদের কাছে
ফেরার সময় তুমি অবশ্যই তাদের জন্য উপহার কিনে নিয়ে যাবে
তোমাকে আবারও বলি
পুরো ঘটনাটা ঘটবে খুব দ্রুত
অনেক দেখে শুনে কেনা অস্ত্রটা
কাজ করবে নি:শব্দে...বিশ্বস্ততার সাথে
আমার প্রথম আয়ের অর্থ লগ্নি করা আছে ওটাতে,
কাজশেষে তুমি ওটাকে নদীতেই ফেলে দেবে
আমার সতের বছরের পরিকল্পনা
তিলেতিলে গড়ে তোলা,
সবগুলো সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা
সফল হবে নিশ্চয়ই
হ্যা এখানটায়
না আরেকটু ওপরে
হ্যা এবার ঠিক আছে
এই তো;
না না এখনি নয়
আমি চারপাশ একটু দেখে নেই
জানি কেউ আসবেনা তবুও
অভ্যাস.....
ঠিক আছে,
তবে খুব শক্ত করে ধরে রেখোনা
হাতের পেশীগুলোকে একটু সহজ করে দাও
এই তো চমৎকার !!
কি হল, হাত কাঁপছে কেন তোমার
..........................
দু:খিত; আমার দৃষ্টিভ্রম!!!
তুমি ঠিক যেখানটায় বড় করে টিপ দাও
আমার ঠিক সে জায়গায়টায় অস্ত্রের মুখটা চেপে ধর
দারুন!! এবার একদম ঠিক হয়েছে
দাড়াও, আমি আরেকটু সরে দাড়াই
তুমি এইভাবেই ধরে রাখ
হ্যা, এখান থেকে ঠিকঠাক স্রোতের গভীরে যেয়েই পড়ব
হুমম, নিখুঁত
হয়ত ডুবে যাব, কিংবা ভেসে যাব
তুমিও ভুলে যাবে একদিন, অথবা এই ডাহুকটা মনে রাখবে
কি নির্লিপ্ত ডাহুক....
এবার বরং তুমি চোখ বন্ধ কর,
আমি চাইনা
ঠিক এই মুহুর্তে তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাক
আমি চাইনা একটা মহৎকর্মের কোন বাজে স্মৃতি
তোমাকে তাড়া করে বেড়াক
বাকি জীবন..........
...........কি বললে,
আমি এত কথা বলছি কেন
দু:খিত, তোমার সময় নষ্ট করছি
অনেক রাত হয়েছে
তোমার তো আবার বাসায় ফিরতে হবে
টাকাগুলো নাও
আমার সারাজীবনের জমানো সঞ্চয়....
অর্থহীন সংগ্রহ
..................
তোমাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ...................
......................
.................
ঝপাৎ!!!......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।