ওঝা শব্দটির মূলও ছিল উপাধ্যায়, যার অর্থ পন্ডিত বা জ্ঞানী।
বর্তমানে সাপের বিষ যে নামায় সে তাকে বলে ওঝা। তবে অবনীন্দ্র নাথ ঠাকুর যখন বলেন, 'সাপ হইয়া দংশে ওঝা হইয়া ঝাড়েন', তখন তিনি কিন্তু উপাধ্যায় বোঝান না।
বাংলায় ওঝার একাধিক অর্থ রয়েছে। যারা মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক ভূত ছাড়ায়, তাদেরকেও ওঝা বলা হয়।
যেমন চন্ডীদাস লিখেছেন, 'কেহ কহে নাই, ওঝা দে ঝাড়াই রাইয়েরে পেয়েছে ভূতে'।
ওঝা শব্দটি এক সময় উপাধি হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বাংলা ভাষায় একজন বিখ্যাত কবির নাম ছিল কৃত্তিবাস ওঝা।
বাজিকর, কুহকী আর মায়াবী বলতেও এক সময় ওঝা শব্দটি ব্যবহৃত হতো ( 'রেতে করে মানুষ দিবসে করে অজা, রাণী বলে দূর হেন ছার ওঝা' --ঘনরাম চক্রবর্তী)।
সংস্কৃত উপাধ্যায় শব্দ থেকে বিবর্তিত হতে হতে বাংলায় শব্দটি শেষ পর্যন্ত ওঝা রূপ ধারণ করেছে।
যেমন : উপাধ্যায় > উজবায় > ওজঝাঅ > ওঝা।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।