আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআনের অত্যাশ্চর্য প্রভাব ও প্রাথমিক কুরআনিক প্রজন্ম - ২

কল্যাণের কথা বলি, কল্যাণের পথে চলি।

পূর্বের পর্ব ============ "Amazing Impact of the Qur'an and Earlier Qur'anic Generation" আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার "কুরআন ও সুন্নাহ্‌ স্টাডিজ" বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বন্ধুবর ডঃ নূর মুহাম্মদ ওসমানীর লিখা। ২০০৫ সালে রমজ়ান উপলক্ষে আমাদের প্রকাশিত ম্যাগাজিনের জন্য দিয়েছিলেন তিনি। আমি লিখাটি অনুবাদ করে ছাপিয়েছিলাম সে সময়। রমজ়ান কুরআনের মাস - কুরআন বেশী করে অধ্যয়ন ও বুঝা এবং আমল করার মাস।

আশা করি লিখাটি এক্ষেত্রে সহায়ক হবে কুরআন থেকে হিদায়াত গ্রহন করতে আগ্রহী সবার জন্য এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুরআন অধ্যয়নকারীদের জন্যও। ========== কুরআন ও রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) সাহাবা এই কুরআনকে মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্য চিরস্থায়ী ও সর্বশ্রেষ্ঠ মু’জিজ়া বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাঁর আন্তরিক ও নিবেদিত হৃদয়ের কুরআন তিলাওয়াত শ্রোতাদের হৃদয় বিগলিত করে দিত। তাঁর সুমহান চরিত্রও তাদেরকে ইসলাম কবূল করতে উত্‌সাহিত করেছিল। কুরআন খুব সহজেই তার শ্রোতাদের প্রভাবিত করতে পারে।

আরবের দাউস গোত্রের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্য প্রতিভা তুফায়ল ইবন আমর আদ-দাউসী মক্কায় এসে কুরায়শ নেতাদের সাথে সাক্ষাত্‌ করলে তারা তাঁকে মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে সাক্ষাত না করার ব্যাপারে সাবধান করে দিল এই বলে যে, ‘সে মহা যাদুকর এবং সমাজে মারাত্মক ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। ’ তিনি তাঁর সাথে সাক্ষাত্‌ না করার ওয়াদা করলেন তাদের সাথে। পরে একসময় তিনি মুহাম্মদকে (সঃ) কাবার পাশে নামাজ় আদায়রত অবস্থায় দেখতে পান এবং তাঁর তিলাওয়াতকৃত কুরআনের কিছু অংশ তাঁর কানেও গেল, যা তাঁর কাছে আশ্চর্যজনক ও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। তিনি মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে কথা বলতে এবং তাঁর কাছ থেকে আরো কিছু আয়াত শুনতে সিদ্ধান্ত নিলেন এই ভেবে যে, যদি ওগূলো ভাল হয় তাহলে তিনি তা গ্রহন করবেন আর না হলে ওগুলো অগ্রাহ্য করবেন। এতেতো কোন ক্ষতি নেই।

তুফায়ল (রাঃ) নবী (সঃ) এর ঘরে তাঁর সাথে মিলিত হলেন এবং তাঁর ব্যাপারে কুরায়শদের অভিযোগ সম্পর্কে জানালেন। আল্লাহ্‌র রসূল তাঁর কাছে ইসলামের দা‘ওয়াত পেশ করলেন এবং কুরআনের আরো কিছু আয়াত তাঁর সামনে পড়লেন। তুফায়লের (রাঃ) কাছে এ ছিল এক অত্যাশ্চর্য কালাম এবং এক মহান বাণী, যার রচনা ছিল মানবীয় ক্ষমতার উর্ধ্বে। তিনি তত্‌ক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহন করলেন আর আল্লাহ্‌র দীনের দা‘য়ীয়াহ্‌ হিসেবে নিজ গোত্রের কাছে ফিরে গেলেন রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) দু‘আ নিয়ে। [ইবন হিশাম] উমর ইবন আল-খাত্তাব (রাঃ) ছিলেন কুরায়শদের এক শক্তিশালী যুবাপুরুষ - তাঁর সব সাথীদের সেরা।

তিনি ছিলেন সাহস, শক্তিমত্তা ও সাহিত্যিক গুণের জন্য সম্মানিত ও প্রশংসিত। ইসলামের চরমতম শত্রুদেরও একজন ছিলেন তিনি। একদিন তিনি রসূলুল্লাহ্‌কে (সঃ) কাবার পাশে নামাজ়ের অবস্থায় দেখেন এবং তাঁকে সূরা আল-হাক্কাহ্‌ তিলাওয়াত করতে শুনেন। তিনি এর আশ্চর্যজনক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে পড়েন। উমর (রাঃ) মনে মনে ভাবলেন, এটা কবিতা হবে।

আশ্চর্যজনকভাবে রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ তখন পড়লেন, “এটা কোন কবির কথা নয়, বরং তোমরা খুব কমই বিশ্বাস করো। ” তিনি তখন বিস্ময়াভূত হয়ে পড়লেন এবং ভাবলেন এটা কোন গণকের কথা হবে হয়তো কারণ তার মনের কথা ধরে ফেলা হয়েছিল। আর তখনি রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) পড়লেন, “এটা কোন গণকেরও কথা নয়, বরং তোমারা খুব কমই চিন্তা ভাবনা করো। ” উমর (রাঃ) চমকে উঠলেন কুরআনের সেই বিস্ময়কর জবাবে যা ছিল তাঁর অন্তর্নিহিত প্রশ্নের উত্তর। তিনি কুরআনের বিরাটত্ব এবং রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) মহানুভবতার পরিচয় উপলব্ধি করলেন।

তবে আরো অনেকদিন পর্যন্ত তিনি ইসলাম গ্রহন করেননি। নিজের উপাস্যদের বিরুদ্ধে রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) অব্যাহত সমালোচনাতে বিরক্ত হয়ে উমর (রাঃ) একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই ঝামেলা তিনি চিরতরে মিটিয়ে দেবেন। রসূলুল্লাহ্‌কে (সঃ) হত্যার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পথে তিনি বন্ধু নুঈম বিন আব্দুল্লাহ্‌র কাছে শুনলেন তাঁর নিজের বোন এবং ভগ্নিপতি এবং আরো অনেক আত্মীয় ইসলাম কবূল করেছে। তার উচিত্‌ আগে এদের ব্যাপারটা দেখা। রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) দিক থেকে উমারের (রাঃ) দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাবার জন্যই নুঈম একথা বলেছেন।

উমর (রাঃ) তাঁর বোন ও ভগ্নিপতিকে কুরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দু’জনকে আঘাত করতে থাকেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না তিনি তাঁর বোনের কপালে রক্তের দাগ দেখেন। এতে উমর (রাঃ) অনুশোচনাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং কুরআনের সূরা ত্বা-হার প্রথম দিককার কয়েকটা আয়াত পড়েন। আর এটা তাঁর হৃদয় গলিয়ে তাঁকে স্বর্গীয় ঝর্ণাধারায় অবগাহন করানোর জন্য ছিল যথেষ্ট। আল্লাহ্‌ সন্তুষ্ট হোন তাঁর উপর।

[রাউদুল আনফ, ২/১২০-১২৪] জ়ুবায়র ইবন মুত্‌য়িম (রাঃ) মদীনা এলেন বদরের এক বন্দীকে মুসলমানদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি মসজিদে নববীতে এলেন যখন রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) নামজ়ে সূরা তূর (৫২ নং সূরা) পড়ছিলেন। তিনি এর সুন্দর কথায় বিমোহিত হয়ে যাচ্ছিলেন, আর গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) ৭ নং আয়াতে পড়লেন, “নিশ্চয়ই আপনার রব্বের আজ়াব অবশ্যই আসবে। ” তিনি এতই ভীত হয়ে পড়েছিলেন যে মনে করছিলেন আল্লাহ্‌র আজ়াব বুঝি তখনি এসে পড়বে।

রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) পড়ে যেতে থাকলেন এবং ৩৫-৩৭ নং আয়াতে পড়লেন, “এরা কি কোন কিছু ছাড়া আপনা আপনিই সৃষ্টি হয়ে গেছে নাকি নিজেরা নিজেদের সৃষ্টি করেছে? আসল কথা হলো এরা দৃঢ় প্রত্যয়ী নয়। নাকি তোমার রব্বের ধন-ভাণ্ডার এদের করায়ত্ব, কিংবা তার উপর এদের কর্তৃত্ব চলে?” এর মাধ্যমে তিনি পুরোপুরি বুঝতে পারলেন যে এই কিতাব আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ। দেরী না করেই তিনি রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) দরবারে হাজ়ির হয়ে ইসলাম গ্রহন করলেন। [বুখারী, কিতাব আত-তাফসীর, সূরা তূর / আল-বাকিল্লানী, ই‘জাজ় আল-কুরআন, পৃষ্ঠা ২৭] ইবন কাসীর (রঃ) তাঁর তাফসীরে বর্ণনা করেছেন যে একদল আবিসিনীয় খৃষ্টান রসূলুল্লাহ্‌কে (সঃ) দেখতে এবং তাঁর কাছ থেকে সরাসরি কুরআন শুনতে মদীনায় আসল। আল্লাহ্‌র রসূল (সঃ) তাদেরকে কুরআন পড়ে শোনান।

তারা কুরআনের সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হন এবং তাদের চোখ দিয়ে অশ্রুধারা প্রাবাহিত হতে থাকে। আল্লাহ্‌ তা‘আলা কুরআনে এদের সম্পর্কে বলেছেনঃ “তারা যখন রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বানী শুনতে পায় তখন সত্যকে জানা এবং চেনার কারণে তাদের চোখগুলো অশ্রুশিক্ত হয়ে যায়। তারা বলে উঠে, “আমাদের প্রভূ, আমরা ঈমান এনেছি। আমাদের নাম তুমি সাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিখে নাও। ” [কুরআন ৫/৮৩] এটা ছিল রসূলে করীমের (সঃ) তিলাওয়াতের বিস্ময়কর প্রভাব যা মু’জিজ়া সাধন করতো।

কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের আরবের জন্য এটা যথেষ্ঠ ছিল যে সে কুরআনের কোন আয়াত শুনবে আর স্বীকৃতি দেবে যে এটা বিশ্ব-জাহানের মালিকের কাছ থেকে ছাড়া আর কারো কাছ থেকে আসেনি। আরব হওয়ার কারণে তারা সহজেই কুরআনের অনন্য সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক গুন উপলব্ধি করতে পারতো। এটা মানবীয় ক্ষমতার উর্ধ্বে যে তারা এধরণের একটি কালাম রচনা করবে। সাহাবীদের তিলাওয়াত ও তার প্রভাব শুধু রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) এর তিলাওয়াতই নয়, সাহাবীদের তিলাওয়াতও শ্রোতাদের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। তাঁদের কেউ কেউ তিলাওয়াতের জন্য খুব বেশী প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন।

রসূলে করীম (সঃ) মুসআব ইবন উমায়রকে (রাঃ) ইয়াস্রিব পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ্‌র দীন প্রচার করতে এবং নতুন মুসলমানদের কুরআন ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় শিক্ষা দিতে। তাঁর তিলাওয়াত ইয়াসরিবের [মদীনা] অনেক হৃদয়কে বিগলিত করেছে এবং তারা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করেছেন। [ইবন আল-কায়্যিম, জ়াদ আল-মা‘আদ, ৩/৪৩-৪৪] এক রাতে আবূ-মুসা আল-আশ‘আরীর (রাঃ) তিলাওয়াত রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং তিনি (সঃ) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর তিলাওয়াত শুনছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন এবং বললেন, “তোমাকে দাউদের (আঃ) মতো সুমিষ্ট কণ্ঠ দান করা হয়েছে। ” [বুখারী, ফাদায়েলে কুরআন, হাদীস নং ৪৬৬০ / তিরমিজ়ী, মানাকিব আবূ মূসা, হাদীস নং ৩৭৯০] আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদের (রাঃ) তিলাওয়াত রাসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) চোখে অশ্রু নিয়ে আসে।

[বুখারী, প্রাগুক্ত, হাদীস নং ৪৬৬৮] সালিম (রাঃ) এত মধূর ভাবে তিলাওয়াত করতেন যে আয়িশা (রাঃ) অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) এই বলে তাঁর প্রশংসা করেছেন, “আল-হামদুলিল্লাহ্‌ - সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্‌র, যিনি আমার উম্মতের মাঝে তোমার মতো লোক সৃষ্টি করেছেন। ” আবূ বকর (রাঃ) যখন নিজ ঘরে নিজ মুসাল্লায় বসে কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখন তাঁর গোত্রের নারী ও শিশুরা তন্ময় হয়ে তাঁর তিলাওয়াত শুনতে জমায়েত হত, যা কুরায়শদের হতবুদ্ধি করে দিয়েছিল। ” [ইবন হিশাম, ১/৩৭৩-৩৭৪] রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) সাহাবারা [আল্লাহ্‌ তাদের উপর সন্তুষ্ট হোন] কুরআন তিলাওয়াত করতেন এর হুকুমের বাস্তবায়ন করার জন্য। তাঁরা এর শৈল্পিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পড়তেন না। তাঁরা কুরআন পড়তেন, এটা অনুধাবন করতেন এবং এর হুকুম বাস্তবায়িত করতেন তাত্‌ক্ষণিকভাবে নিজেদের জীবনে।

আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাঁদেরকে জেরুসালেম থেকে কাবার দিকে মুখ ফিরাতে বলেছেন, তাঁরা সাথে সাথেই কাবামুখী হয়ে সে নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন। মদ হারাম করার নির্দেশ আসলে তারা সাথে সাথে তা থেকে বিরত থাকেন; মদের পাত্র ভেঙ্গে ফেলেন এবং মদীনার রাস্তাগুলোতে মদের নহর বয়ে যায়। আল্লাহ্‌ তা‘আলা বললেন, “তোমরা নিজের প্রিয় বস্তু দান করা ব্যতিরেকে পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবেনা। ” (আলি ইমরানঃ ৯২)। আবূ তালহা (রাঃ) সাথে সাথে তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান বাগান আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করে দেন।

আল্লাহ্‌ নবীর সামনে তাদের আওয়াজ় নীচূ করার নির্দেশ দিলেন - [আল-হুজুরাতঃ২]। অবস্থা এমন হল যে উমরের (রাঃ) মতো উঁচূ কণ্ঠের লোক এরপর এত আস্তে কথা বলতেন যে লোকেরা বহু কষ্টে তাঁর কথা শুনতে পেত। সাবিত বিন কায়স (রাঃ) তাঁর বাড়ি থেকে বের হয়ে রসূলুল্লাহ্‌র (সাঃ) সামনে আসতেই ভয় পেলেন। তাঁর অনুপস্থিতি দেখে তিনি অসুস্থ কিনা তা জানার জন্য রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) তার বাড়ীতে খোঁজ নিতে লোক পাঠান। তিনি বললেন, “আমিতো জোরে কথা বলে অভ্যস্থ।

আর আমি ভয় পাচ্ছিলাম আমি যদি রসূলুল্লাহ্‌র (সঃ) সামনে জোরে কথা বলি তাহলে আল্লাহ্‌ আমার আমলগুলো [ সৎকাজগুলো] বরবাদ করে দেবেন। ” রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) তাঁকে আশ্বস্ত করলেন এবং বললেন যে তিনি জান্নাতীদের অন্তর্ভূক্ত। মহিলা সাহাবীদেরকে যখন পর্দা করার নির্দেশ দেয়া হয় [আল-আহজ়াবঃ ৫৯] তখন তাঁরা সাথে সাথে বড় চাদর দিয়ে নিজেদের সারা দেহ, মাথা ও বুক ঢেকে নেন; কেউ কেউ মুখও ঢেকে নেন। এগুলো ছিল সাহাবাদের [রাদিয়াল্লাহু আনহুম] জীবনে কুরআনের প্রভাবের ব্যাপারে কিছু আলোচনা। তাঁরা কুরআনের নির্দেশ শুনতেন এবং তার সামনে আত্মসমর্পন করতেন।

নীচের আয়াত তাদের আচরণের এ দিকটির সাক্ষ্য বহন করেঃ “ঈমানদারদের অবস্থাতো এই যে, তাদেরকে যখন আল্লাহ্‌ ও রসূলের দিকে এজন্য ডাকা হয় যে, রসূল তাদের মামলার বিষয়গুলো ফয়সালা করে দেবেন তখন তারা বল্‌ ‘আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম’। বস্তুতঃ এ রূপ লোকেরাই কল্যাণ লাভ করে। ” [কুরআন, ২৪/৫১]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।